প্রেমের ফাঁদে রাষ্ট্রদূত: সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টায় প্রতারক চক্র
ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আলদুহাইনকে টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে সম্পর্ক গড়ে তোলে তারা, পরে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ দাবি করা হয়।
এই ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কাওয়াই প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ম্যানপাওয়ারের মালিক মো. দেওয়ান সমিরের (৫৮) বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক এই আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেওয়ান সমিরকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি প্রেমের সম্পর্ক গড়ার মাধ্যমে কৌশলে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাতেন। ওইদিন রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়।
আটকের পর পরদিন আদালতে তোলা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই মো. আরিফুল ইসলাম তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করলেও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভাটারা থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, দেওয়ান সমির দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতারক চক্রের হয়ে কাজ করে আসছিলেন। তাদের মূল কৌশল ছিল—সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে অর্থ আদায়ের জন্য ব্ল্যাকমেইল করা।
প্রতারণার এ প্রক্রিয়ায় সৌদি রাষ্ট্রদূতকেও ফাঁদে ফেলে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে প্রতারকচক্র। একপর্যায়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে তারা রাষ্ট্রদূতের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি করে এবং এ অর্থ আদায়ের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে দেওয়ান সমির।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০’ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে গত ১০ এপ্রিল আটক করে আদালতের নির্দেশে ৩০ দিনের কারাবন্দি করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment