Friday, April 25, 2025

দুই ঘন্টা অবরোধ শেষে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা

দুই ঘন্টা অবরোধ শেষে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টার জন্য অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই অবরোধ শুরু করেন এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে তা প্রত্যাহার করেন, ফলে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

অবরোধ প্রত্যাহারের আগে কুয়েটের গণ-অনশনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচিগুলো হলো:দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জনের আহ্বান
সব ক্যাম্পাসে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি
একদফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল
বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ

এর আগে সোমবার টিএসসির জন্য একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, যেখানে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্য পদত্যাগ না করলে শাহবাগ অবরোধ করা হবে। নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল করে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।

অবরোধের সময় শিক্ষার্থীরা “দালাল ভিসির গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে” এবং “কুয়েট ভিসির গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে”—এমন স্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। তাদের এই অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং দাবি স্পষ্ট, এবং তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উঠে এসেছে একটি শক্তিশালী পরিবর্তনের সংকেত।

UGC Delegation Engages with KUET Protesters Amid Ongoing Turmoil


Tensions at Khulna University of Engineering and Technology (KUET) remain high as a three-member delegation from the University Grants Commission (UGC) visited the campus today to address the concerns of protesting students.

The delegation, which included UGC members Professor Tanzimuddin Khan, Professor Saidur Rahman, and Ahmed Shibli, Joint Secretary of the Secondary and Higher Education Division, arrived at KUET around 10:00 AM. Their visit aimed to facilitate dialogue with students who have been vocal about their demands, particularly the resignation of the Vice-Chancellor.

Initiating the discussion, the delegation reached out to students on hunger strike, urging them to end their protest for the sake of their health and well-being. However, the students remained resolute, insisting they would not cease their hunger strike until their demands are adequately addressed.

Following this, the delegation convened a closed-door meeting with student representatives that extended for nearly two hours. During this private session, students recounted experiences of alleged physical assaults and voiced concerns about administrative neglect. They also addressed what they believe is misinformation being propagated by the Vice-Chancellor through official statements and media outlets.

In response to these grievances, UGC representatives committed to conducting a thorough and impartial review of the circumstances surrounding the protests. “They assured us that a report with their recommendations will be sent to the Ministry, which will make the final decision,” revealed one student after the meeting.

Despite these assurances, a sense of dissatisfaction lingered among many protesters. “We submitted a memorandum to the chief adviser two months ago, yet no visible actions have been taken. Some officials were even unaware of it,” a protester pointed out, highlighting the ongoing frustrations within the student body.

As the situation unfolds, it is clear that the dialogue between the UGC and the KUET students is just a step in addressing deeper issues at play and the urgent need for accountability within the administration. The outcome of this engagement remains to be seen, but the students’ resolve underscores their determination for change.

IPL 2025: এক ভেন্যুতে সর্বাধিক জয়ের রেকর্ড কার নাগালে? কোথায় রয়েছেন অন্যরা?

IPL 2025: এক ভেন্যুতে সর্বাধিক জয়ের রেকর্ড কার নাগালে? কোথায় রয়েছেন অন্যরা?

মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম এখন আইপিএল ইতিহাসের একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে, যেখানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অর্জন করেছে তাদের ২৯তম জয়। এই জয় মুম্বইয়ের নিজস্ব ভেন্যুতে সর্বাধিক জয়ের রেকর্ড তৈরি করেছে। এখন তাদের পেছনে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, যারা ২৮টি জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

মুম্বইয়ের জয়

বৃহস্পতিবার, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হায়দরাবাদকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা তার নাম স্ট্যান্ডে যুক্ত করার দিনটি উদযাপন করেছেন। এটি ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বে মুম্বইয়ের দ্বিতীয় জয়। এই জয়ের ফলে তারা পয়েন্ট টেবিলে ৭ম স্থানে উঠে এসেছে।

হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাট করে ১৬২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে, মুম্বই ১৮.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। যদিও কোনো ব্যাটার বড় ইনিংস খেলেননি, তবুও দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জয়টি এসেছে।

এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি জয় (আইপিএল ইতিহাসে)

  • 🏟 ২৯ জয় – মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ওয়াংখেড়ে (মুম্বই)
  • 🏟 ২৮ জয় – কলকাতা নাইট রাইডার্স, ইডেন গার্ডেন্স (কলকাতা)
  • 🏟 ২৪ জয় – রাজস্থান রয়্যালস, সাওয়াই মান সিং স্টেডিয়াম (জয়পুর)
  • 🏟 ২১ জয় – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম (হায়দরাবাদ)
  • 🏟 ২১ জয় – রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (বেঙ্গালুরু)

হায়দরাবাদের অবস্থা

অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এখনও জয় পেতে পারেনি। তারা বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে পরপর হার মানেছে। মাঠ বদলালেও তাদের ভাগ্য পাল্টায়নি।

এবারের আইপিএলে মুম্বই ও কলকাতার দলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। আপনার প্রিয় দলের জয় নিয়ে আপনি কতটা উচ্ছ্বসিত? মন্তব্যে জানান!

ক্লাসেন-মনোহরের লড়াইয়ে সম্মানজনক স্কোর: হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তোলে ১৪৩ রান

ক্লাসেন-মনোহরের লড়াইয়ে সম্মানজনক স্কোর: হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তোলে ১৪৩ রান

বুধবার, হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে এক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৩ রান সংগ্রহ করে তারা।

রাজ্যের শোকাবহ সূচনা

ম্যাচের শুরুতেই হায়দরাবাদের টপ অর্ডার দারুণভাবে ব্যর্থ হয়। মাত্র ১৫ রানের মধ্যেই ফিরে যান প্রথম চার ব্যাটার। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর হায়দরাবাদ বিপদে পড়ে যায়। এমন কঠিন সময়ে উইকেটে আসেন হেনরিক ক্লাসেন এবং অভিনব মনোহর।

ক্লাসেন-মনোহরের জুটি

দুইজনের মধ্যে গড়ে ওঠে ৯৯ রানের একটি মূল্যবান জুটি, যা হায়দরাবাদের ইনিংসে একটি আশা তৈরি করে। ক্লাসেন ৪৪ বল খেলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন, যেখানে তার ব্যাটিংয়ে ছিল একাধিক মারকাটারি শট। শেষ ওভারে তার আউট হওয়া কিছুটা হতাশার হলেও মনোহর ৩৭ বলে ৪৩ রান করেন এবং তিনিও শেষ ওভারে আউট হন।

মুম্বইয়ের পেসারদের আগুন ঝরানো পারফরম্যান্স

ম্যাচের শুরুতেই মুম্বইয়ের পেসাররা ভয়ঙ্কর হওয়ার পাশাপাশি টপ অর্ডারকে ধ্বংস করে দেয়। ট্রেন্ট বোল্ট প্রথমে ট্র্যাভিস হেডকে শূন্য রানে ফেরত পাঠান। এরপর দীপক চাহারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন ঈশান কিষাণ, যেখানে রিপ্লেতে দেখা যায় যে বল তার ব্যাটে লাগেনি।

অভিষেক শর্মা (৮) এবং নীতীশ কুমার রেড্ডি (২) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর পাওয়ার পাওয়ার প্লের শেষে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৪ রান। যা চলমান আইপিএলে হায়দরাবাদের জন্য সবচেয়ে কম পাওয়ার প্লের স্কোর।

বোল্ট এবং চাহারের দাপট

ট্রেন্ট বোল্ট ম্যাচে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান, আর দীপক চাহার ৪ ওভার দিয়ে মাত্র ১২ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট লাভ করেন। ইনিংসের শুরু খারাপ হলেও ক্লাসেন এবং মনোহরের সাহসী ব্যাটিং কিছুটা হলেও হায়দরাবাদের মর্যাদা রক্ষা করে।


হায়দরাবাদের সামনে এখন ম্যাচে ফিরে আসার প্রচেষ্টা থাকা দরকার, যেন তারা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আরও ভাল করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আশঙ্কাজনক ফলাফল: দুই জিপিএ ৫ পেয়ে ফেল!

ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষায় আশঙ্কাজনক ফলাফল: দুইজিপিএ ৫ পেয়ে ফেল!

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৯৪ শতাংশ অকৃতকার্য হয়েছেন। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই এসএসসি এবং এইচএসসিতে দুই জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে কলা, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটেও, যেখানে ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। মোট প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী যারা দুটি জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন, তারা এবার ভর্তি পরীক্ষায় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞান যাচাই করা হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাফল্য প্রদর্শনের চাপের কারণেও শিক্ষকদের মাঝে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অনেক শিক্ষক যদি দক্ষতা হারান, তখন গড় নম্বর বৃদ্ধি করে ফেলার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্যমতে, তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ২ হাজার ৬০৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে দুই জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। বিজ্ঞান ইউনিটে এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৭২২ জন, মানবিক ক্ষেত্রে ১৯ হাজার ৮৩৯, এবং বাণিজ্যে ৮ হাজার ৫৩৩ জন।

পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১৮ হাজার ৭৪৭ জন পাস করতে সক্ষম হয়েছেন, অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরনুর রশিদ জানান, “শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের প্রকৃত যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটছে না। অনেক সময় শিক্ষকদের সঠিক নম্বর দেওয়ার জন্য চাপও সৃষ্টি হয়। ফলস্বরূপ যেসব নম্বর প্রাপ্ত তারা সেগুলোর যোগ্যতা হারাচ্ছে।”

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, “স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। ফল প্রকাশের রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মান অবশ্যই প্রধান।”

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষার মান সম্পর্কে এ চিত্র চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, বিশেষ করে বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিবেচনায়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।

শিক্ষাবিদরা সতর্ক করেছেন যে, আমাদের শিক্ষাপদ্ধতিতে ত্রুটি রয়েছে। একাডেমিক পরীক্ষাগুলো যাতে শেখার বিষয়কে মাপার পরিবর্তে ফলাফলের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সে কারণে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।

পারভেজ হ*ত্যা*র তদন্তে প্রধান আসামী মেহেরাজের রুদ্ধদ্বার স্বীকারোক্তি

পারভেজ হত্যার তদন্ত: প্রধান আসামি মেহেরাজের বক্তব্য

২৪ এপ্রিল - সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুল করিম জানিয়েছেন, পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ মারামারির সময় ছুরিকাঘাত করে পারভেজকে হত্যা করেছেন, তবে তাঁর দাবি, এটি হত্যা উদ্দেশ্যে ছিল না।

মেহেরাজকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বান্ধভী স্বাক্ষীর ফোনের কলের কারণে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ওইদিন পারভেজকে কিছু শিক্ষা দিতে যান, কিন্তু ঘটনাক্রমে মারামারির মধ্যে পারভেজের মৃত্যু ঘটে। হত্যা প্রত্যক্ষ করতে না চাইলে তিনি পুলিশকে এড়াতে গা ঢাকা দেন।

র‌্যাবের সহায়তায় ঘটনাটির সাথে জড়িত দুই ছাত্রীর পাশাপাশি অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লে. কর্নেল জাহিদুল করিম বলেন, তাদের আটক করা গেলে হত্যার প্রকৃত কারণ সামনে আসতে পারে।

এদিকে, নিহত পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় এই হত্যার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বহিরাগতসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এটি খুবই দুঃখজনক যে, নিহত পারভেজ একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন, এবং তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে, এবং আমাদের উচিত এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করা।

পারভেজ হত্যা: দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার

জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে পারভেজের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সোমবার (২১ এপ্রিল) দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি ইস্যু করা হয়।

সাময়িকভাবে বহিষ্কার হওয়া দুই ছাত্রী হলেন: ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী এবং ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

পারভেজ হত্যা: দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অবাঞ্ছিত ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা তাঁদের সাময়িক বহিষ্কারের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পারভেজের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।

পারভেজ হত্যা: কীভাবে ঘটেছিল ঘটনাটি?

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ প্রাইমএশিয়া গলিতে চা ও সিঙ্গাড়া খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তিনজন ছাত্রীকে দেখার পর তাঁদের দিকে কিছু হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করেন, যা ছাত্রীরা ভিন্নভাবে নিয়েছিলেন। তাঁরা পরে তাঁদের বন্ধুদের ফোন করেন, ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর পর উভয় পক্ষকে ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি। মাহাথি, মেহেরাব এবং আবুজর গিফারী নামের তিনজন স্থানীয় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পারভেজের ওপর হামলা চালান।

যখন পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন, হামলাকারীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে এবং পিঠে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোক অনুভব করছে এবং এটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তার একটি গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

বর্তমান তদন্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে। আমরা পারভেজের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং ঘটনার সঠিক বিচার প্রার্থনা করি।


পারভেজ হত্যা: কীভাবে ঘটেছিল ঘটনাটি?


Popular News

Categories