Saturday, April 19, 2025
টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত বানানোর সহজ পদ্ধতি
এখন গরমের মাঝে ঠান্ডা একটি কাঁচা আমের শরবত সত্যিই দারুণ। এটি যেমন স্বাদে ভরপুর, তেমনি স্বাস্থ্যকরও! চলুন দেখি, কিভাবে সহজে এটি প্রস্তুত করা যায়।উপকরণ
- ১টি বড় কাঁচা আম (ছোট টুকরো করে কাটা)
- কাঁচা লঙ্কা – স্বাদ অনুযায়ী (১-২টি, কুচানো)
- আদা – একটি ছোট টুকরো (কুচানো)
- লবণ – আধা চা চামচ
- চিনি – ১/৩ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি করতে পারেন)
- পানি – পরিমাণমতো
- বিট লবণ – সামান্য
- ভাজা জিরা গুঁড়া – ১ চা চামচ
- পাতি লেবুর রস – ½টি
- পুদিনা বা ধনেপাতা – স্বাদ বৃদ্ধির জন্য (ঐচ্ছিক)
- বরফ – পরিবেশনের জন্য
- চাট মসলা – সাজানোর জন্য
আম সেদ্ধ করুন:
- একটি প্যানে কাঁচা আমের টুকরো রাখুন। এর সাথে কাঁচা লঙ্কা, আদা, লবণ, এবং চিনি দিন। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে সেদ্ধ করুন।
ঠান্ডা করে ব্লেন্ড করুন:
- আম সেদ্ধ হলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। এতে বিট লবণ, ভাজা জিরা গুঁড়া, পাতি লেবুর রস এবং চাইলে পুদিনা-ধানেপাতা মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন।
ছেঁকে নিন:
- ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন যেন টেক্সচার মসৃণ হয়।
পরিবেশন করুন:
- একটি গ্লাসে বরফ দিন, তার উপর কিছুটা কাঁচা আমের মিশ্রণ ঢালুন। এরপর ঠান্ডা পানি মিশিয়ে গ্লাস ভরে দিন। উপর থেকে একটু চাট মসলা ছিটিয়ে দিন।
- চিনির পরিমাণ কমিয়ে গুড় ব্যবহার করেও স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরি করতে পারেন।
- পার্টি ড্রিঙ্ক হিসেবে সোডা ওয়াটার দিয়ে পরিবেশন করেও অন্যরকম মজা পাওয়া যাবে!
এই গরমে সতেজ থাকতে চাইলে, হাতে কাছে রাখুন একটি গ্লাস টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত! 🥭🥤
পাবদা মাছ: ভালোবাসেন? মুখে তোলার আগে জানুন এর প্রভাব
প্রতি ১০০ গ্রাম পাবদা মাছ থেকে আপনি পাবেন:
- জল: ৭৫ গ্রাম
- প্রোটিন: ১৮.১ গ্রাম
- চর্বি: ২.৪ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট: ৩.১ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম: ১১০ মি.গ্রা.
- আয়রন: ১.০ মি.গ্রা.
- ভিটামিন সি, ফসফরাস ও আয়োডিন
- শক্তি: ১০৬ ক্যালোরি
✅ সহজে হজম হয়:
কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় পাবদা মাছ হজমে সহায়তা করে। যারা পেটের সমস্যা নিয়ে ভোগেন, তাঁদের জন্য এটি একদম উপযোগী।
✅ রক্তাল্পতায় উপকারী:
আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য এই মাছ খাওয়া উপকারি হতে পারে।
✅ হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো:
উচ্চ ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়তা করে এবং বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
✅ ওজন ও পেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা:
প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় খনিজের সমৃদ্ধ হওয়ায় এই মাছ দুর্বল শরীরের অবস্থা ও ওজন বাড়াতে সহায়ক।
✅ হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক:
ওমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২, আয়রন এবং জিঙ্কের পরিপূর্ণতা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
✅ লোক্যালোরি, হাইল নাইট্রিশন:
মাত্র ১০৬ ক্যালোরি থাকায় এটি অন্য মাংস জাতীয় খাবারের তুলনায় অনেক স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
👉 প্রত্যেকের শরীর একরকম নয়। কারও শরীরে মাছের অ্যালার্জি থাকলে বিশেষ কোনো রোগ থাকলে এই মাছ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
👉 নতুন কিছু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
উপসংহারস্বাদে যেমন অনন্য, পুষ্টিগুণেও তেমনই সমৃদ্ধ পাবদা মাছ। তাই মুখের তৃপ্তি নয়, শরীরের উপকারিতার কথাও মাথায় রাখা জরুরি। পরের বার পাবদা মাছের পাতেই তুলুন, জানুন-বুঝুন—সুস্বাদু ও সুস্থ জীবনের জন্য।
ফুটন্তফুলের জাদু: আপনার শখের বাগানে রাখুন এই ৩টি গাছ
ফুলদানির কাটাফুল নয়, চাই গাছেই ফুটে থাকুক কাটানো ফুল—যার ঘ্রাণে ভরবে আপনার ঘর-বাড়ি, মনও মেজাজ। ছোট্ট বারান্দা বা বাসার এক কোনে যদি সৌরভ ছড়ানোর কিছু গাছ রাখতে চান, তাহলে এই তিনটি ফুলগাছ হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ পছন্দ।
হালকা গোলাপী ফুলে ভরা মাধবীলতা শুধু নয়ন মুগ্ধ করে, তার মৃদু সুবাসও আপনার মন ভালো করে দেয়। এই গাছটি রেলিং বা বাঁশের কাঠামোয় জড়িয়ে বাড়িকে দেবে এক প্রাকৃতিক সাজ।
- টবের আকার: মাঝারি আকারের টব।
- মাটির মিশ্রণ: বাগানের মাটি + কম্পোস্ট + কোয়াকোপিট + বালি। সঙ্গে ১ চামচ হাড় গুঁড়ো বা ফসফেট।
- রোদ প্রয়োজন: দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টার রোদ পেলে গাছ ভালো বাড়বে।
- জল দেওয়ার নিয়ম: উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে জল দিন, টবে যেন জল দাঁড়িয়ে না থাকে।
🌿 ২. গন্ধরাজ — নামেই যার পরিচয়
সাদা ছোট ফুল, অথচ সুবাসে একেবারে অনন্য। গন্ধরাজ গাছ যত বড় হয়, তত বাড়ে তার সৌন্দর্য আর ঘ্রাণের পরিমাণ। জায়গার অভাব হলে টবেও দিব্যি মানিয়ে যায়।
- টবের আকার: ১০-১২ ইঞ্চি গভীর টব উপযুক্ত।
- মাটি: দোআঁশ এবং বেলে মাটির মিশ্রণ সবচেয়ে ভালো।
- জৈবসার: ৫০% ভারি জৈবসার মিশিয়েনিন।
- জল দেওয়ার নিয়ম: গাছের গোড়ায় জল জমতে দেওয়া চলবে না, তবে একবার শুকনো থাকলেও চলবে।
- সূর্যালোক: পর্যাপ্ত রোদ পেলে ফুল ফুটে সবচেয়ে ভালোভাবে।
🌿 ৩. বেলফুল — মনমাতানো মিষ্টি ঘ্রাণে
গরমের দিনে হালকা সুবাসে মন ভালো করে দেয় ছোট ছোট সাদা বেলফুল। সাজিয়ে তুলুন আপনার বারান্দা বা জানালার পাশে।
- মাটি: দোআঁশ মাটিই সবচেয়ে উপযোগী।
- জল নিষ্কাশন: টবে যেন জল জমে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করুণ।
- সার: রাসায়নিক সার দিতে চাইলে ফসফেট ও ইউরিয়া দিন। জৈবসার হিসেবে গোরবা খোল ব্যবহার করুন।
- সূর্য: রোদ পেলে গাছ ভালো ফুটবে।
- ছাঁটাই: প্রতি মাসে একবার নিয়মিত ছাঁটাই করলে ফুলের সংখ্যা বাড়বে।
শেষ কথা:
শখের বাগান মানেই শুধু চোখের আরাম নয়, গন্ধে মুগ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতাও। তাই ফুলদানিতে নয়, এবার ফুল ফুটুক গাছেই—আর তার সুবাস ছড়াতে থাকুক আপনার বাড়ির প্রতিটি কোণে।
তেলাপিয়া মাছ আসলেই কি খাওয়ার জন্য ক্ষতিকর?
তেলাপিয়া—এই মাছ অনেকেই বেশ স্বাদ নিয়ে খান, আবার কেউ কেউ দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নেন। অনেকের মনে, তেলাপিয়া মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আদৌ কি তাই?
কেন তেলাপিয়াকে ‘আবর্জনা মাছ’ বলা হয়?
অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তেলাপিয়াকে "গারবেজ ফিশ" বা "আবর্জনা মাছ" বলেই অভিহিত করেন। কারণ, এই মাছ সাধারণত শেওলা, বর্জ্য এবং নানান অচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। তবে ঠিকভাবে চাষ হলে তেলাপিয়া হতে পারে একদম নিরাপদও, পুষ্টিকর খাবার।
পুষ্টিগুণ আছে, সন্দেহ নেই
তেলাপিয়া মাছের মধ্যে রয়েছে:
- উচ্চ মাত্রার প্রোটিন
- পটাশিয়াম
- ভিটামিন বি-১২
- ফসফরাস
এই উপাদানগুলো শরীরের পেশী, স্নায়ু এবং বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই যদি মাছটি নিরাপদভাবে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চাষ করা হয়, তাহলে এটিকে খাওয়ায় মোটেও ক্ষতিকর নয়।
সমস্যাগুলো কোথায়?
সমস্যা দেখা দেয় অসাধু ব্যবসায়ীদের অস্বাস্থ্যকর চাষাবাদে। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই তেলাপিয়া মাছ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে:
- রাসায়নিক দ্রব্য
- দূষিত খাবার
- যেমন হাঁস, মুরগি বা শূকরের দেহাবশেষ
একটি গবেষণায় জানা গেছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ামাছের শরীরে জমা হচ্ছে মারাত্মক রাসায়নিক পদার্থ, যার মধ্যে রয়েছে:
- ডিবিউটিলিন – প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যা মানুষের দেহে প্রবেশ করলে স্থুলতা, হাঁপানিসহ হরমোনজনিত সমস্যাসৃষ্টিতে পারে।
- ডাইঅক্সিন – আরও ভয়ঙ্কর, কারণ এটি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
তাহলে তেলাপিয়া খাবেন কিনা?
✔️ হ্যাঁ, খাবেন—তবে সচেতনভাবে।
যদি আপনি নিশ্চিত হন যে মাছটি পরিষ্কার, নিরাপদ ও সঠিক পরিবেশে চাষকরা—তাহলে এটিতে কোনও সমস্যাই নেই।
❌ তবে রাসায়নিক ব্যবহার করে চাষকরা মাছ এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ দীর্ঘমেয়াদে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
উপসংহার:
তেলাপিয়া নিজেই ক্ষতিকর নয়, বরং এর চাষপদ্ধতির উপরেই নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য কতটা নিরাপদ থাকবে। তাই বাজার থেকে মাছ কেনার সময় অবশ্যই উৎস সম্পর্কে খোঁজ নিন। সঠিকভাবে চাষ করা তেলাপিয়া হতে পারে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার।
Popular News
-
পুলিশ পুরান ঢাকার একটি মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার (অথৈ) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনা...
-
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার সময় খাতা না দেখানোর কারণে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ইমন হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আট দিন মৃত...
-
বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ছাড়ালো, শনাক্ত ৩৭ কোটি পার মানচেস্টার, যুক্তরাজ্য: করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তার এখনও থামেনি। বিশ্বজুড়ে...
-
ঢাকার বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। হত্যা...
-
🔴 জরুরি অনুরোধ 🙏 আমি তপু কর্মকার । আমার মেয়ে টুই কর্মকার গত ২৩শে জুন, সকাল ৬:৪৫ মিনিটে যুগশিখা স্কুলের কোচিং ক্লাসে যাওয়ার উদ্দেশ্...
-
📢 এসএসসি রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ ১০ জুলাই! ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হতে পারে ১০ জুলাই । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ফ...
-
জরুরি নির্দেশনা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৬টি করণীয় তারিখ: ১৫ জুন ২০২৫ | সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক 📢 শিক্...
-
রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রী চেম্বার বিতর্ক: ভিডিও, ব্ল্যাকমেইল ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস শিক্ষক বলছেন ব্ল্যাকমেইলের শিক...
-
কীওয়ার্ড: ভারতে করোনা আপডেট, করোনা সংক্রমণ ২০২৫, করোনায় মৃত্যু, করোনা ভাইরাস ভারত, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট, ভারত করোনা পরিসংখ্যান, পশ্চিমবঙ্গ...
-
🎓 এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫: নকলমুক্ত পরিবেশ, নতুন নিয়ম ও নির্দেশনা [সর্বশেষ আপডেট] ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা ও সমমানের পরীক্ষাকে কেন্দ্র কর...