Saturday, April 19, 2025

বিপুল সন্তান সংখ্যা চান ইলন মাস্ক, জাপানি নারীকেও দিয়েছেন শুক্রাণু

 

বিপুল সন্তান সংখ্যা চান ইলন মাস্ক, জাপানি নারীকেও দিয়েছেন শুক্রাণু

বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক শুধু প্রযুক্তির দুনিয়ায় নয়, ব্যক্তিজীবনেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাস্ক একটিবৃহৎ পরিবারগড়তে চানএমনকি অনেকটাসন্তান বাহিনীতৈরির মতো একটি পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তিনি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মাস্ক তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর মাধ্যমে সম্ভাব্য মায়েদের খুঁজছেন এবং গর্ভাধানের প্রক্রিয়া সহজ করতে সরাসরি সারোগেট মাদার বা গর্ভভাড়া ব্যবস্থার প্রস্তাবও দিচ্ছেন। এতে করে তিনি ভবিষ্যতে বড়সড় এক পরিবার গড়ার লক্ষ্য পূরণ করতে চান।

এই উদ্যোগে জড়িত একাধিক নারী জানিয়েছেন, মাস্কের পক্ষ থেকে তাঁদের কড়া গোপনীয়তা চুক্তি অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়া হয়। ২৬ বছর বয়সী ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার জানান, তিনি মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা হয়েছেন। তাঁর ভাষায়, মাস্ক তাঁকে বহুবার বার্তা দিয়ে ভবিষ্যতে আবার গর্ভবতী করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এক বার্তায় মাস্ক তাঁকে বলেন, “আমি আবারও তোমাকে গর্ভবতী করতে চাই।পাশাপাশি মহাবিপর্যয়ের আগে বহু সন্তান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের সন্তানের মায়েদের তালিকায় আছেন গায়িকা গ্রাইমস, নিউরালিংকের নির্বাহী শিভন জিলিস, সাবেক স্ত্রী জাস্টিন মাস্ক অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার। পর্যন্ত তিনি ১৪ সন্তানের জনক হলেও, বাস্তব সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি জাপানি কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি এক উচ্চপর্যায়ের জাপানি নারীকেও শুক্রাণু সরবরাহ করেছিলেন।

শিভন জিলিস, যিনি মাস্কের চার সন্তানের মা, তাঁকেবিশেষ মর্যাদারঅধিকারী হিসেবে দেখা হয় মাস্কের ঘনিষ্ঠ পরিসরে। তাঁকে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে, এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক আলোচনায় মাস্কের পাশে দেখা গেছে।

সেন্ট ক্লেয়ার জানান, প্রথমে মাস্কের সহযোগী জ্যারেড বারচালের মাধ্যমে তিনি . কোটি ডলারের প্রস্তাব পান, যার সঙ্গে ছিল প্রতি মাসে এক লাখ ডলার সহায়তা। শর্ত ছিল, সন্তানের পিতৃত্ব গোপন রাখতে হবে এবং জন্মসনদে মাস্কের নাম লেখা যাবে না। তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করলেও সন্তান প্রসবের পর সরকারি নথিতে মাস্কের নাম দেননি। পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে মাসিক সহায়তা কমে দাঁড়ায় ৪০ হাজার ডলার, এবং এরপর আরও কমিয়ে ২০ হাজার ডলার করা হয়।

এছাড়াও, ক্রিপ্টো ইনফ্লুয়েন্সার টিফানি ফংসহ আরও কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, মাস্ক তাঁদের সন্তান নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ফং তাঁর বার্তাগুলো প্রকাশ করলে মাস্ক তাঁকে সামাজিক মাধ্যমে আনফলো করে দেন।

মাস্ক বহু সন্তান নেওয়ার পেছনে একটি ব্যক্তিগত দর্শনের কথা বারবার বলে আসছেনতিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বজুড়ে কমে যাওয়া জন্মহার মানবজাতিকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলতে পারে। তাঁর মতে, “জনসংখ্যা না বাড়লে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে।এই ভাবনা থেকেই তিনি মনে করেন, বুদ্ধিমান সক্ষম মানুষের আরও বেশি সন্তান নেওয়া উচিতভবিষ্যতের মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে।

বান্ধবীকে নিয়ে ‘হাসি-ঠাট্টা’, খুন হলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

ঢাকার বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

বান্ধবীকে নিয়ে ‘হাসি-ঠাট্টা’, খুন হলেন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।


নিহত শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (নবাব পারভেজ)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের ছেলে। পারভেজ প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারোয়ার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। 

এ সময় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স-এর দুই ছাত্রী প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে সেখানে উপস্থিত হন। এই ছাত্রীদের নিয়ে হাসাহাসির মধ্যে থেকেই ঘটনা ঘটেছে।

বান্ধবীকে নিয়ে ‘হাসি-ঠাট্টা’, খুন হলেন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।



ওসি আরও জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারভেজকে প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। 

জাহিদের বুকে 'স্টেপ' এর চিহ্ন দেখা গেছে। বর্তমানে তার লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং নিহতের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি।’

কুর্মিটোলা হাসপাতালে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মওদুদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘প্রাথমিকভাবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (স্কলার্স এবং প্রাইমএশিয়া) শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং অল্প সময়ের মধ্যে পুরো ঘটনাটি উদঘাটন করতে সক্ষম হব।’ তিনি আরও জানান, নিহত জাহিদুল ইসলামের বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে।

এদিকে, এই ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই দাবি করেন যে, স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও জড়িত রয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিহত জাহিদুলসহ কয়েকজনের কথাকাটি হয়। 

এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে, যার ফলে জাহিদুল মারা যান। তবে এসব দাবির সত্যতা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

“কষ্টপাই, তবু থাকি নিজের বাসায়”—বাবুই পাখির শ্রমে গড়া শান্তির ঠিকানা



একদিকে শান্ত জলের পুকুর, হালকা হাওয়ায় ঢেউ তুলতে কাঁপছে চাষের প্রান্ত। অন্যদিকে সরু মাটির রাস্তা, চারপাশে কিছু তাল গাছ আর ঝোপঝাড়ের ফাঁকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি একাকী তালগাছ। এটি যেন গ্রামীণ বাংলাদেশের এক চেনা, চিরন্তন দৃশ্য। তালগাছ হয়তো এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না, কিন্তু এর অস্তিত্ব হারায়নি। আজও গ্রামের পুকুরপাড় বা রাস্তার ধারে এক-আধটি তালগাছ দাঁড়িয়ে আছে, তাদের উপস্থিতি জানান দেয়।

এই তালগাছই আজও আশ্রয় হয়ে রয়েছে এক শিল্পী পাখির—বাবুইয়ের জন্য। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাবুই পাখি তালগাছের পাতায় তাদের ঘর বানিয়েছে। যদিও আজকাল এই গাছ ও পাখির সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে, তবুও কিছু স্থানে এখনো দেখা যায় তাদের চমৎকার নির্মাণ—বাবুইয়ের বাসা।

মৌলভীবাজারের গয়ঘর গ্রামের একটি তালগাছে চোখে পড়েছে এক চমৎকার দৃশ্য। তালপাতায় গাঁথা অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা পথচলতি মানুষের নজর কাড়ছে। গ্রামের বাসিন্দা মো. আমির জানালেন, এক সময় এই দৃশ্য ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক। তবে এখন তালগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, এমন বাসা দেখা যেন সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক বিকেলে গয়ঘর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, একটি বাড়ির পুকুরপাড় ঘেঁষে আকাশের দিকে মাথা তুলেছে তালগাছ, যার ডালে ছড়িয়ে আছে বাবুইয়ের বাসা। কিছু বাসা তৈরি হয়ে গেছে, আবার কিছু এখনও নির্মাণাধীন। বিকেল গড়াতে বাবুই পাখিরা তাদের বাসায় ঢুকে পড়ছে। কেউ ভিতরে প্রবেশ করছে, কেউ বা পাশের জায়গায় বসে পরিবেশের পর্যবেক্ষণ করছে। এই দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব এবং জীবন্ত।

বাবুই পাখির বাসা যেন প্রকৃতির আঁকা নিখুঁত শিল্পকর্ম। জটিল কাজ হলেও বাবুই পাখি খুব সূক্ষ্মভাবে ঠোঁট ব্যবহার করে এগুলো তৈরি করে। গ্রীষ্মকালে তাদের প্রজননের সময়। পুরুষ বাবুই একত্রিত করে খাঁটি তাল, খেজুর, ধান এবং ঘাসপাতা, যেগুলোর পাতলা আঁশ দিয়ে গাছের ডালে একের পর এক গিঁট বাঁধে। এরপর ঠোঁট দিয়ে সেলাইয়ের মতো করে তৈরি করে বাসা। বাসা প্রস্তুত করতে সময় লাগে সাত থেকে দশ দিন। এরপর স্ত্রী বাবুই আসে, ডিম পাড়ে, ছানা ফোটে, এবং কিছু সময় পরে তারা উড়তে শেখে।

একটি বাসায় তিনটি ডিম পেড়েছে স্ত্রী বাবুই। ডিম থেকে ছানা বের হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৩ দিন। আর ছানাগুলি উড়তে শেখে ১৫ থেকে ১৯ দিনের মধ্যে। বাবুই পাখির আয়ুষ্কাল প্রায় চার বছর। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও এদের দেখা পাওয়া যায়।

সন্ধ্যার দিকে গয়ঘরের আরেকটি তালগাছের নিচে দেখা গেল, বাবুইদের কিছু নতুন বাসা তৈরি হচ্ছে। অন্ধকার নেমে আসছে, আর ধীরে ধীরে তাদের কিচকিচ শব্দ শোনা যাচ্ছে। চারপাশে এক নিঃশব্দতা ছড়িয়ে পড়েছে, যেন প্রকৃতি গভীর ঘুমে।

এভাবেই হয়তো বাবুইদের বাসা অনুপ্রাণিত করেছিল কবি জনীকান্ত সেনকে তাঁর বিখ্যাত কবিতায়:


“বাবুই পাখিরে ডাকিব বলিছেছড়াই,
কুঁড়েঘরে থাকতে করশিল্পের বড়াই…
বাবুই হাসিয়া কহে, সন্দেহ কি তাহায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকিনিজেরবাসায়।”


হয়তো বাবুইর মতো এ মাটির মানুষও তাই বলে—সুখ না থাকলেও, তবুও নিজস্ব গড়া ঘরে শান্তি আছে। কারণ ঘর মানে শুধু আশ্রয় নয়, এটি ভালোবাসা, পরিশ্রম এবং গর্বের প্রতীক।

টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত বানানোর সহজ পদ্ধতি

টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত বানানোর সহজ পদ্ধতি

এখন গরমের মাঝে ঠান্ডা একটি কাঁচা আমের শরবত সত্যিই দারুণ। এটি যেমন স্বাদে ভরপুর, তেমনি স্বাস্থ্যকরও! চলুন দেখি, কিভাবে সহজে এটি প্রস্তুত করা যায়।

উপকরণ

  • ১টি বড় কাঁচা আম (ছোট টুকরো করে কাটা)
  • কাঁচা লঙ্কা – স্বাদ অনুযায়ী (১-২টি, কুচানো)
  • আদা – একটি ছোট টুকরো (কুচানো)
  • লবণ – আধা চা চামচ
  • চিনি – ১/৩ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি করতে পারেন)
  • পানি – পরিমাণমতো
  • বিট লবণ – সামান্য
  • ভাজা জিরা গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • পাতি লেবুর রস – ½টি
  • পুদিনা বা ধনেপাতা – স্বাদ বৃদ্ধির জন্য (ঐচ্ছিক)
  • বরফ – পরিবেশনের জন্য
  • চাট মসলা – সাজানোর জন্য
বানানোর পদ্ধতি
  1. আম সেদ্ধ করুন:

    • একটি প্যানে কাঁচা আমের টুকরো রাখুন। এর সাথে কাঁচা লঙ্কা, আদা, লবণ, এবং চিনি দিন। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে সেদ্ধ করুন।
  2. ঠান্ডা করে ব্লেন্ড করুন:

    • আম সেদ্ধ হলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। এতে বিট লবণ, ভাজা জিরা গুঁড়া, পাতি লেবুর রস এবং চাইলে পুদিনা-ধানেপাতা মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন।
  3. ছেঁকে নিন:

    • ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন যেন টেক্সচার মসৃণ হয়।
  4. পরিবেশন করুন:

    • একটি গ্লাসে বরফ দিন, তার উপর কিছুটা কাঁচা আমের মিশ্রণ ঢালুন। এরপর ঠান্ডা পানি মিশিয়ে গ্লাস ভরে দিন। উপর থেকে একটু চাট মসলা ছিটিয়ে দিন।
টিপস

  • চিনির পরিমাণ কমিয়ে গুড় ব্যবহার করেও স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরি করতে পারেন।
  • পার্টি ড্রিঙ্ক হিসেবে সোডা ওয়াটার দিয়ে পরিবেশন করেও অন্যরকম মজা পাওয়া যাবে!

এই গরমে সতেজ থাকতে চাইলে, হাতে কাছে রাখুন একটি গ্লাস টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত! 🥭🥤

পাবদা মাছ: ভালোবাসেন? মুখে তোলার আগে জানুন এর প্রভাব

পাবদা মাছ: ভালোবাসেন? মুখে তোলার আগে জানুন এর প্রভাব


ঝাল সরষে বা বাটার মধ্যে রান্না হোক, পাবদা মাছ দেখলেই অনেক বাঙালির চোখ-মুখে আনন্দ ফুটে ওঠে। বাজারে উঠলেই লোকেরা ঝড়ের মতো হুড়োহুড়ি করে কিনতে থাকে, কারণ এর স্বাদ সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু কি শুধু জিভের তৃপ্তির জন্য পাবদা মাছ? নাকি শরীরের জন্যও উপকারী?

বাঙালির খাবার টেবিলে মাছ মানে আবেগ। ইলিশ, রুই, কাতলার পাশাপাশি মিঠে জলজাত পাবদা মাছও অনেকের প্রিয় তালিকায় রয়েছে। তবে প্রতিবার খাওয়ার আগে একবার ভাবুন তো, এই মাছের পুষ্টিগুণ কী? এর শরীরে কি প্রভাব রয়েছে?

পাবদা মাছের পুষ্টিগুণ


প্রতি ১০০ গ্রাম পাবদা মাছ থেকে আপনি পাবেন:

  • জল: ৭৫ গ্রাম
  • প্রোটিন: ১৮.১ গ্রাম
  • চর্বি: ২.৪ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট: ৩.১ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম: ১১০ মি.গ্রা.
  • আয়রন: ১.০ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন সি, ফসফরাস ও আয়োডিন
  • শক্তি: ১০৬ ক্যালোরি
পাবদা মাছের উপকারিতা

✅ সহজে হজম হয়:
কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় পাবদা মাছ হজমে সহায়তা করে। যারা পেটের সমস্যা নিয়ে ভোগেন, তাঁদের জন্য এটি একদম উপযোগী।

✅ রক্তাল্পতায় উপকারী:
আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য এই মাছ খাওয়া উপকারি হতে পারে।

✅ হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো:
উচ্চ ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়তা করে এবং বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

✅ ওজন ও পেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা:
প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় খনিজের সমৃদ্ধ হওয়ায় এই মাছ দুর্বল শরীরের অবস্থা ও ওজন বাড়াতে সহায়ক।

✅ হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক:
ওমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২, আয়রন এবং জিঙ্কের পরিপূর্ণতা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

✅ লোক্যালোরি, হাইল নাইট্রিশন:
মাত্র ১০৬ ক্যালোরি থাকায় এটি অন্য মাংস জাতীয় খাবারের তুলনায় অনেক স্বাস্থ্যকর বিকল্প।

কিছু সতর্কতা

👉 প্রত্যেকের শরীর একরকম নয়। কারও শরীরে মাছের অ্যালার্জি থাকলে বিশেষ কোনো রোগ থাকলে এই মাছ ক্ষতির কারণ হতে পারে।

👉 নতুন কিছু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

উপসংহার

স্বাদে যেমন অনন্য, পুষ্টিগুণেও তেমনই সমৃদ্ধ পাবদা মাছ। তাই মুখের তৃপ্তি নয়, শরীরের উপকারিতার কথাও মাথায় রাখা জরুরি। পরের বার পাবদা মাছের পাতেই তুলুন, জানুন-বুঝুন—সুস্বাদু ও সুস্থ জীবনের জন্য।

Popular News

Categories

accident (5) actor (1) agriculture (6) bangladesh (50) bd model (1) BDR (1) business (12) campus (1) crime (18) drama (5) Economy (5) education (14) entertainment (12) environment (17) gardening (9) gaza (1) goat (1) hadees (7) health (37) heath (1) holiday (1) hsc (1) india (6) inspiration (1) international (42) ipl (3) italy (1) jobs (6) life style (8) media (4) movie (7) national (3) newzealand (1) online job (1) pakistan (4) pets (1) politics (15) quran (2) qurbani (3) railway (1) red carpet (3) religion (6) science news (3) sports (32) story (4) suicide (1) technology (14) tours and travels (1) weather (7)