🛫 গল্প: গতি বনাম প্রশান্তি

যাত্রীবাহী একটি বিশাল বিমান উড়ছিল আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে—৩০ হাজার ফুট উচ্চতায়, ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার গতিতে। হঠাৎ, এক তীব্র গতির ওয়ারক্রাফট জেট এসে দাঁড়াল বিমানের পাশে।
জেটের পাইলট গতি কমিয়ে বিমানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শুরু করল। এরপর রেডিওতে বিমানের পাইলটকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলল,
“বিমানে বসে নিশ্চয়ই বিরক্ত হচ্ছেন? দেখুন, আমি কী করতে পারি!”
বলেই সে তার দুরন্ত গতির প্রদর্শনী শুরু করল—জেটটি বিদ্যুতের মতো কখনও সামনে ছুটে গেল, কখনও পেছনে, কখনও বিমানের চারপাশে পাক খেল, আবার গভীর সমুদ্রের কাছাকাছি নিচু স্তরে নেমে এসে মুহূর্তেই ফিরে এল বিমানের পাশে।
তারপর সে জিজ্ঞেস করল,
“কেমন লাগল?”
বিমানের পাইলট হেসে উত্তর দিলেন,
“চমৎকার! এবার দেখুন, আমি কী করি।”
জেট-পাইলট অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কিছুই ঘটল না। বিমানের গতি অপরিবর্তিত রইল—একইভাবে সোজা চলতে থাকল।
সময় গড়াল। প্রায় ১৫ মিনিট পর, বিমানের পাইলট রেডিওতে বললেন,
“তা, কেমন লাগল?”
জেট-পাইলট বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“আপনি করলেনটা কী?”
বিমানের পাইলট হেসে উত্তর দিলেন,
“আমি আসন থেকে উঠে দাঁড়ালাম, পা ঝাঁকিয়ে নিলাম, বিমানের পেছনে গিয়ে ওয়াশরুম ব্যবহার করলাম, এক কাপ কফি বানালাম এবং চকোলেট পেস্ট্রি খেলাম।”
🎯 শিক্ষণীয় দিক:
- যৌবনকালে তোমার গতি এবং অ্যাড্রেনালিনের স্বতঃস্ফূর্ততা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকবে।
- কিন্তু বয়স যত বাড়বে, ততই বাড়বে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা।
- আর তখনই তুমি বুঝবে— মনোযোগ আকর্ষণের চেয়ে আত্মপ্রশান্তি অনেক বেশি মূল্যবান।
“যেখানে গতি থেমে যায়, সেখানে শুরু হয় উপলব্ধির গভীরতা।”