🌍 কে হবেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার?
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন এলন মাস্ক, যার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, যার সম্পদ প্রায় ১৯ হাজার কোটি ডলার।
গত বছর এলন মাস্কের সম্পদ একসময় ৪০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে টেসলার শেয়ারে ধস নামে, ফলে কমে যায় তার সম্পদের পরিমাণ।
অনেকেই মনে করেন, এলন মাস্কই হতে যাচ্ছেন পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার—অর্থাৎ ১ লাখ কোটি ডলারের মালিক। কিন্তু মজার বিষয় হলো, পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হয়তো হবেন না এলন মাস্ক কিংবা জেফ বেজোস!
বরং হবেন এমন একজন, যার নাম অনেকেই শোনেননি। তার নাম সাতোশি নাকামোতো—বিটকয়েনের স্রষ্টা। সাতোশি নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন ১ মিলিয়ন বিটকয়েন একটি ওয়ালেটে—যা একেবারেই প্রকাশ্য, যে কেউ দেখতে পারে, তবে সেটি স্পর্শ করতে পারে না কেউই।
💰 কিভাবে সাতোশি হতে পারেন ট্রিলিয়নিয়ার?
বর্তমানে একটি বিটকয়েনের দাম পৌঁছেছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার মার্কিন ডলার-এ। ক্রিপ্টোবিশ্বের বিশ্লেষকদের মতে, এই দাম যেভাবে বেড়েই চলেছে, শিগগিরই এটি ১ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সেদিনই সাতোশি নাকামোতোর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার—সম্পূর্ণ লিকুইড ডিজিটাল সম্পদ, কোনো শেয়ারের কল্পিত মূল্য নয়।
❓ কিন্তু সাতোশি কে?
সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো—এই সাতোশি নাকামোতো কে, তা আজও কেউ জানে না। তিনি কি একজন ব্যক্তি, নাকি একটি দল—সেই প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্য।
সম্ভবত তিনি যখন ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হবেন, তখনই হয়তো নিজেকে প্রকাশ করবেন। তবে বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, তিনি ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১২তম সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি।
📌 শেষ কথা
সুতরাং, ইতিহাসে প্রথম ট্রিলিয়ন ডলার আয়কারী ব্যক্তি হয়তো হবেন না কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিইও, বরং হবেন এক রহস্যময় নাম—সাতোশি নাকামোতো। নামটা কিন্তু মনে রাখবেন!
