Saturday, April 12, 2025

"এত গতির ইন্টারনেট আগে কখনও পাইনি" — স্টারলিংকের প্রদর্শনীতে ঢল প্রযুক্তিপ্রেমীদের

দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে স্টারলিংকের ইন্টারনেট।

ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের বিরল সুযোগ পেয়েছেন দর্শনার্থীরা। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই প্রযুক্তিপ্রেমীদের ভিড় ছিল প্রদর্শনী ঘিরে।




বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) পরীক্ষামূলকভাবে আয়োজন করে এই প্রদর্শনীর। দর্শনার্থীরা সরাসরি স্টারলিংকের ইন্টারনেট সংযোগে যুক্ত হয়ে অভিজ্ঞতা নেন— যেখানে ওয়েবসাইট লোড হচ্ছে চোখের পলকে, আর ভিডিও চলছে একটুও বাফার না হয়ে।

বিএসসিএলের মুখপাত্র ওমর হায়দার জানান, “আজ বিডার অনুরোধে আমরা এই ডেমোটি আয়োজন করেছি। স্টারলিংকের ইন্টারনেট কার্যক্রম বাস্তবে কেমন, তা এখানকার দর্শনার্থীরা সরাসরি ব্যবহার করে দেখতে পেরেছেন। প্রদর্শনীটি আগামীকালও চলবে।”

একজন দর্শনার্থীর ভাষায়, “এত দ্রুত ইন্টারনেট কল্পনাও করিনি। সত্যিই অভাবনীয় অভিজ্ঞতা।”

শিক্ষার্থী নাহিদ সাব্বির বলেন, “ইন্টারনেটের এমন গতি আগে কখনও পাইনি। মনে হলো স্বপ্ন দেখছি।”

আরেক দর্শনার্থী নাদিয়া জামান জানান, “স্পেসএক্সের স্টারলিংক আমাদের দেশেও এভাবে কাজ করছে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। এই প্রযুক্তি আমাদের ভবিষ্যতের কাজের ধারা বদলে দেবে। অফিস বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এটি এলে কার্যক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, স্টারলিংক লো-আর্থ অরবিট (LEO) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেট সরবরাহ করে থাকে। দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকাতেও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চগতির সংযোগ সম্ভব। বাংলাদেশেও শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিংক চালুর উদ্যোগ চলছে।

এক ঝলকে দুর্দান্ত গতি

স্টারলিংকের সংযোগে যুক্ত হয়ে দর্শনার্থীরা দেখছেন— চোখের পলকে লোড হচ্ছে ওয়েবসাইট, ঝকঝকে ভিডিও চলছে বাফারিং ছাড়াই। এক দর্শনার্থী মন্তব্য করেন, "এত দ্রুতগতি সত্যিই চমকে দেয়। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট যে এতটা কার্যকর হতে পারে, তা ভাবতেই পারিনি।"

নাহিদ সাব্বির, এক শিক্ষার্থী, বলেন, "এখানের ইন্টারনেট টেস্ট করে মনে হলো যেন স্বপ্ন দেখছি। এত স্পিড কখনও পাইনি।"

নাদিয়া জামান নামে আরেকজন পর্যবেক্ষক জানান, "স্পেসএক্সের স্টারলিংক যে এভাবে আমাদের দেশে কাজ করছে, তাতে আমি অভিভূত। এটা আমাদের ভবিষ্যতের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে বদলে দেবে। অফিস বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এই প্রযুক্তি পায়, তবে কাজের গতি বহুগুণ বেড়ে যাবে।"

উল্লেখ্য, স্টারলিংক মূলত লো-এার্থ অরবিট (LEO) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে, যা দুর্গম এবং প্রান্তিক এলাকায়ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ সম্ভব করে। শিগগিরই বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে স্টারলিংকের কার্যক্রম চালুর জন্য প্রস্তুতি চলছে।

বিশ্বের ৫০টি শক্তিশালী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

 বিশ্বের ৫০টি শক্তিশালী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

বিশ্বের শক্তিশালী ৫০টি দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজ সম্প্রতি এই তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশ ৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্বের ৫০টি শক্তিশালী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ


তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডকেও পেছনে ফেলেছে। শীর্ষস্থানে রয়েছেযুক্তরাষ্ট্র, যার পরই আছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য জার্মানি। 

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় ৪৭তম স্থানে রয়েছে, যা ইউএস নিউজের তৈরি। তালিকার শীর্ষ পাঁচে রয়েছে:

  1. যুক্তরাষ্ট্র
  2. চীন
  3. রাশিয়া
  4. যুক্তরাজ্য
  5. জার্মানি

এই র‌্যাংকিং দেশের নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব, রফতানি, সামরিক শক্তি এবং পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে করা হয়েছে।

ভারত ১২তম, এবং তালিকায় পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ভুটান ও মালদ্বীপের নাম নেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ১৪তম, আর ইসরাইল ১০ম অবস্থানে রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে:

  • সৌদি আরব ৯ম
  • ইরান ১৬তম
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত ১১তম
  • তুরস্ক ১৭তম
  • কাতার ১৯তম
  • কুয়েত ২৫তম
  • মিশর ৩২তম
  • জর্ডান ৫০তম

এশিয়াতে মালয়েশিয়া ৪৩তম এবং ইন্দোনেশিয়া ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ৮৯টি দেশের মধ্যে ৭১তম হলেও ২০২৩ সালে ৬৯তম ছিল, অর্থাৎ সাত ধাপ পিছিয়ে গেছে।

ইউএস নিউজ জানায়, তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব, আন্তর্জাতিক সংবাদে উপস্থিতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে, যার অবস্থান ১২তম। তবে পাকিস্তান, ভুটান কিংবামালদ্বীপ তালিকায় জায়গা পায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বের এমন কিছু দেশ রয়েছে, যারা নিয়মিত আন্তর্জাতিক শিরোনামে উঠে আসে,বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে অংশ নেয় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ধারা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসবদেশের পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক বাজেট এবং কূটনৈতিক অবস্থান গোটা বিশ্ব পর্যবেক্ষণ করে, যা কখনো আস্থা,আবার কখনো উদ্বেগ তৈরি করে।

"পাওয়ার সাবর্যাং কিং" অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্ষমতা নির্ধারণে ছয়টি মূল বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করা হয় বিশ্ব নেতৃত্বে ভূমিকা,অর্থনৈতিকপ্রভাব, শক্তিশালী রপ্তানি খাত, রাজনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক জোট ও মিত্রতা এবং সামরিক শক্তি।এই সূচকে যারা এসব ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে, তারাই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিচারকের আসনে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করার পর, কেন ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ ছেড়ে যাচ্ছেন বিশাল দাদলানি?

ইন্ডিয়ান আইডল ছেড়ে যাচ্ছেন বিশাল দাদলানি

বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীত পরিচালক বিশাল দাদলানি বিদায় জানিয়েছেন সঙ্গীত রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-কে। ছয় বছর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ৬ এপ্রিল সম্প্রচারিত ‘ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে থেকে তার এই বিদায়ের ঘোষণা আসে। ইনস্টাগ্রামে শ্রেয়া ঘোষাল ও বাদশার সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিশাল জানান, এবার বিদায়ের সময় এসেছে।


এক আবেগঘন পোস্টে তিনি লেখেন,

“টানা ছয় সিজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আজ রাতে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমি জানি শো আমাকে যেমন মিস করবে, আমিও শো এবং এর মানুষগুলোকে ততটাই মিস করব।” তিনি ধন্যবাদ জানান সহ-বিচারক, প্রতিযোগী, উপস্থাপক ও প্রযোজনা দলের সকলকে, বিশেষ করে শ্রেয়া, বাদশা এবং অন্য সবাইকে।

বিদায়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশাল বলেন,

“গত ছয় বছরে প্রতি সিজনে ছয় মাস মুম্বাইয়ে থাকতে হয়েছে। এর ফলে অন্য কোনো শো বা নতুন সুরের কাজ করার সময় হয়নি। এবার আমি আমার সৃষ্টিশীল কাজ, নতুন কম্পোজিশন ও কনসার্টে মনোযোগ দিতে চাই।”

তার এই ঘোষণা সহকর্মীদের মধ্যে শোক ও শ্রদ্ধার সৃষ্টি করেছে। উপস্থাপক আদিত্য নারায়ণ বলেছেন,
“একটি যুগের সমাপ্তি। দাদা, তোমাকে ছাড়া ইন্ডিয়ান আইডল আর আগের মতো হবে না।”

বিশাল দাদলানি ২০১৮ সালে ‘ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১০’ দিয়ে বিচারক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং তিনি ব্লকবাস্টার সিনেমায় বহু হিট গানও পরিচালনা করেছেন, যেমন ‘ওম শান্তি ওম’, ‘দোস্তানা’, ‘সুলতান’, ‘ব্যাং ব্যাং’, ‘ওয়ার’ ইত্যাদি।

রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে আ.লীগ সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: ধর্ম উপদেষ্টা।

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে। তিনি বলেন, “দেশে তারা যতটা উন্নয়নের কথা বলেছে, বাস্তবে তার চেয়েও বেশি অর্থ লুটপাট হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই—যেখানে একটি সরকার নিজ দেশের জনগণকে কষ্টে ফেলে এত বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।”


তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে। “সময় সীমিত হলেও, সরকার চেষ্টা করছে যতটা সম্ভব সেই অর্থ উদ্ধার করা যায়,”—উল্লেখ করেন তিনি।

রবিবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনার ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান, ইউএনও ইয়াছমিন চৌধুরী, এবি পার্টির নেতা শামসুল হক শারেক এবং নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী।

টেলিকম খাতে বড় সিদ্ধান্ত: উঠল প্রযুক্তি ব্যবহারের দুই নিষেধাজ্ঞা

টেলিকম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত: প্রযুক্তি ব্যবহারের দুটি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল।


দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ দুটি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার, যা এই খাতে বড় পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ২৯৩তম সভায় ডিডব্লিউডিএম প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পিজিসিবি ও রেলওয়ের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত পুরোনো বিধিনিষেধ বাতিল করা হয়েছে।

ডিডব্লিউডিএম ব্যবহারে সবুজ সংকেত

এখন থেকে এনটিটিএন (নেশনওয়াইড টেলিকম ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) থেকে লিজ নেওয়া ফাইবার অপটিক লাইনে ডেনস ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (DWDM) প্রযুক্তি স্থাপন ও ব্যবহার করা যাবে। আগে এ প্রযুক্তির ব্যবহারে বাধা থাকায় মোবাইল অপারেটররা ব্যয়বহুল বিকল্প ব্যবস্থায় নির্ভর করছিল।

পিজিসিবি ও রেলওয়ের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণেও ছাড়

একইসঙ্গে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে তাদের নিজস্ব অবকাঠামোর বাইরে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে না। তবে তাদের প্রতিযোগিতায় সক্ষম রাখতে আলাদা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গঠনের সুপারিশ করেছে বিটিআরসি।


বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিউল আলম পারভেজ বলেন, “আগে অপারেটররা সরকারি ফাইবার থেকে লিজ নিলেও DWDM ব্যবহারের অনুমতি ছিল না, এখন সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি অপারেটরদের স্বাধীনতা বাড়াবে।”

নেটওয়ার্ক মনিটরিংয়ের নিয়ন্ত্রণ ফিরছে অপারেটরদের হাতে

এই সিদ্ধান্তের ফলে চার বছর পর মোবাইল অপারেটরদের হাতে ফিরছে নেটওয়ার্ক মনিটরিংয়ের নিয়ন্ত্রণ। DWDM প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্নতা শনাক্ত করতে পারবে এবং সেবার মান উন্নত করতে পারবে। এর ফলে যেমন গ্রাহকের ভোগান্তি কমবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে কল ড্রপ, ভয়েস কোয়ালিটি, ইন্টারনেট স্পিডসহ নানান বিষয় সরাসরি মনিটর করা সম্ভব হবে। তবে সেজন্য নির্ধারিত সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকবে এবং বিটিআরসির তদারকি বজায় থাকবে।

অপারেটরদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ

২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অপারেটররা DWDM মেশিন ব্যবহার করলেও ২০২১ সালে ওই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ফাইবার অপারেটরদের হাতে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। বর্তমানে বেসরকারি অপারেটরদের কাছ থেকে ফাইবার ভাড়া নিতে গড়ে প্রতি মিটার ১৭ টাকা খরচ হচ্ছে, যেখানে আগে সরকারি ফাইবারের খরচ ছিল ৫-৭ টাকা।


ফলে ৪৫ হাজার মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে মাত্র ৩৫% ফাইবার সংযুক্ত। এ অবস্থায় অপারেটররা DWDM ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে, এবং অবশেষে তা অনুমোদন পায়।

সেবার মান বাড়বে, খরচ কমবে

গ্রামীণফোনের সিসিএও তানভীর মোহাম্মদ বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি ট্রান্সমিশন ক্ষমতা বাড়াবে এবং সেবার মান উন্নত হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাবলিক এনটিটিএন অপারেটরদের (পিজিসিবি, বিআর) উচিত আমাদের সব ধরনের ফাইবার সেবা দেওয়া। পাশাপাশি এমএনওদের ‘লাস্ট মাইল’ সংযোগে অনুমোদন দেওয়া হলে ট্রান্সমিশন সাশ্রয়ী হবে।”


গ্রাহকেরও যেন সুফল মেলেবাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, “এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এতে অপারেটররা ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষ হবে এবং পিজিসিবি-রেলওয়ে যদি প্রতিযোগিতায় নামে, তবে ট্রান্সমিশন খরচও কমবে, যার সুফল মিলবে সাধারণ গ্রাহকের ঘরে।”

চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান: প্রেস অফিস

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের লন্ডন সফর: অর্থ পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

লন্ডন সফরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ঘোষণা করেছেন যে, অর্থ পাচার রোধ এবং চুরি হওয়া সম্পদ ফেরানোর লক্ষ্যে তিনটি বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় অর্থায়ন এবং তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা করবে।


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ১৭-২১ মার্চ লন্ডনে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, যদি যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়, তাহলে এসব প্রতিষ্ঠান সম্পদ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এই সফরের অংশ হিসেবে গভর্নর বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন দ্বারা আয়োজিত বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এবং দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন, ব্রিটিশ এমপি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি উল্লেখ করেন, "চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধার করা শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্বও।"

লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রায় ৩০টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সেখানে গভর্নর আহসান মনসুর জানান, পাচার হওয়া সম্পদ ফেরাতে বিশ্বব্যাংক এবং আইসিএআরের সহযোগিতায় একটি ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে বেসরকারি আইন সংস্থাগুলো কার্যকরভাবে যুক্ত হতে পারে।

একই সময় গভর্নর আল জাজিরা, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, গার্ডিয়ান, এবং ডেইলি মেইলকে সাক্ষাৎকার দেন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার কৌশল নিয়ে যুক্তরাজ্যের দুটি কৌশলগত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এদিকে, দুদক ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ১০টি শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এই উদ্যোগে দুদকের নেতৃত্বে সিআইডি, এনবিআর ও বিএফআইইউ যৌথভাবে কাজ করছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই উদ্যোগগুলো একটি গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পদ ফিরে পাওয়ার পথে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

Downtown Artist & Label Services Expands Roster

Downtown Artist & Label Services Expands Roster

Downtown Artist & Label Services (DA&LS) is enhancing its role in the global music scene with exciting new signings and catalogue acquisitions. The latest artists to join their roster include:

  • Sofi Tukker (Grammy-nominated duo)
  • Capital Cities (indie-pop favorites)
  • Twenty One Pilots (acquired catalogue for their self-titled 2009 album)

These new additions highlight Downtown’s commitment to offering top-notch distribution, marketing, and artist-focused services.

Sofi Tukker Brings U.S. Catalogue to Downtown

Capital Cities Signs for Catalogue and Future Releases

Capital Cities, known for their hit single "Safe and Sound," has partnered with DA&LS to manage their entire catalogue and future projects. Their first release with Downtown, "A Hurricane of Frowns," debuted on February 14 and has already led to a more than 30% increase in daily Spotify streams.

“Downtown has made an immediate impact in amplifying our reach,” said Ryan Merchant and Sebu Simonian of Capital Cities. “We’re energized by this partnership and excited for what’s next.”

Sofi Tukker Brings U.S. Catalogue to Downtown

Sofi Tukker is also joining DA&LS, bringing their U.S. catalogue, which includes popular tracks like "Purple Hat." The duo first gained fame in 2015 with their single "Drinkee," earning a Grammy nomination for Best Dance Recording. Their debut album, Treehouse, released in 2019, also received a Grammy nomination.

This signing reflects Downtown's strategy of aligning with globally recognized artists.

Twenty One Pilots’ Early Catalogue Upstreamed

Twenty One Pilots' debut album, released in 2009 through CD Baby, has transitioned to DA&LS. This album was a key step in the band’s rise to global success, and the move aims to unlock new opportunities for their early work.

A Proven Track Record in Artist Growth

DA&LS is building a strong reputation for helping independent artists grow. Since 2022, artists like Rebecca Black and Roar have moved from CD Baby to DA&LS. Black’s album, Let Her Burn, gained traction, especially with her single "Salvation," which debuted at No. 10 on Spotify U.S. Meanwhile, TV Girl experienced a 350% increase in streaming after joining DA&LS in mid-2022, with their song "Lovers Rock" recently exceeding half a billion streams.

Looking Ahead: Downtown’s Vision

“We’re thrilled to welcome such innovative talent to our roster,” said Bryan Mooney, Global VP of A&R at DA&LS. “Each artist embodies the creative independence and excellence we support. Our goal is clear: empower artists to grow on their own terms while keeping ownership and control.”

Mooney emphasized that these signings further demonstrate how Downtown’s ecosystem can elevate artists and catalogues, turning momentum into long-term success.

Popular News

Categories

accident (5) actor (1) agriculture (6) bangladesh (50) bd model (1) BDR (1) business (12) campus (1) crime (18) drama (5) Economy (5) education (14) entertainment (12) environment (17) gardening (9) gaza (1) goat (1) hadees (7) health (37) heath (1) holiday (1) hsc (1) india (6) inspiration (1) international (42) ipl (3) italy (1) jobs (6) life style (8) media (4) movie (7) national (3) newzealand (1) online job (1) pakistan (4) pets (1) politics (15) quran (2) qurbani (3) railway (1) red carpet (3) religion (6) science news (3) sports (32) story (4) suicide (1) technology (14) tours and travels (1) weather (7)