Friday, June 6, 2025

আনচেলত্তির অভিষেক ম্যাচে ব্রাজিলের হতাশাজনক ড্র: ভিনিসিয়ুসদের পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ

আনচেলত্তির অভিষেক রাঙাতে পারলেন না ভিনিসিয়ুসরা, ব্রাজিলের হতাশার ড্র

খেলা ডেস্ক | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫, ১৩:১১

ইকুয়েডরের বিপক্ষে জিততে পারেনি ব্রাজিল

নিজের প্রথম ম্যাচেই হতশ্রী ব্রাজিল দলকে কার্লো আনচেলত্তি আমূল বদলে দেবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো কেউ করেননি। কিন্তু ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে প্রত্যয় ও উন্নতির আশা নিশ্চয় অনেকেরই ছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি।

ফুটবলব্রাজিলে জেতাতে পারলেন না আনচেলত্তি, বাঁললো আপেক্ষা

ব্রাজিলের পারফরম্যান্স আনচেলত্তির চেয়ে গত মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেওয়া দরিভাল ‍জুনিয়রকেই বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছিল। পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। এমনকি ইকুয়েডর যদি ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা না দেখাত, তবে গোল শূন্য ড্র হওয়ার পরিবর্তে এই ম্যাচে হারতেও পারত ব্রাজিল।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে হতাশাজনক ড্রয়ের পর দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর আছে দুই নম্বরে।

আনচেলত্তির প্রথম দিনের অনুশীলনের পর

আনচেলত্তির প্রথম দিনের অনুশীলনের পরই ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশের কথা জানায় ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো। ইকুয়েডরের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম ম্যাচে সেই একাদশই মাঠে নামান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তি। তবে আনচেলত্তির অধীনে এখনো মানিয়ে নিতে না পারার বিষয়টি ব্রাজিলের খেলায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।

হুটহাট কিছু আক্রমণ তৈরি করলেও, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার বেশ অভাব ছিল। বল দখলে রাখতে এবং ঠিকঠাক পাস দিতেও বেশ হিমশিম খাচ্ছিল ব্রাজিল। এ সময় ব্রাজিলের চেয়ে ইকুয়েডরই তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ছিল। তবে প্রথমার্ধে গোল পায়নি তারাও।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ও পরিবর্তন

বিরতির পর ব্রাজিলকে চেপে ধরে ইকুয়েডর। শুরু থেকেই আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে তারা। কিন্তু বক্সের কাছাকাছি গিয়ে খেই হারাচ্ছিল ইকুয়েডরের খেলোয়াড়রা। মাঝমাঠে ভালো খেললেও ফিনিশিংয়ে ইকুয়েডর খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না।

ইকুয়েডরের চাপের মুখে একপর্যায়ে জোড়া বদল আনেন আনচেলত্তি। রিচাার্লিসন ও এস্তেভাওয়ের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ম্যাথিউস কুনিয়া। কিন্তু তাতেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি ব্রাজিলের খেলায়।

শেষ মুহূর্তের চেষ্টাও ফল দেয়নি

ইকুয়েডরের ওপর সাময়িক কিছু চাপ প্রয়োগ করলেও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে ইকুয়েডরকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভালে। এই ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিজেদের ছায়াতেই ঢাকা ছিলেন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা।

ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের ওপর বেশ চাপ প্রয়োগ করে ইকুয়েডর। তবে ব্রাজিলের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ব্রাজিল ও ইকুয়েডরকে।

আনচেলত্তির ভরসা রাফিনিয়ায়, প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের আক্রমণে নতুন গতি

ব্রাজিলের আক্রমণভাগে প্রাণ ফেরাতে রাফিনিয়ায় ভরসা আনচেলত্তির

অনলাইন ডেস্ক

কার্লো আনচেলত্তির কোচিংয়ে ব্রাজিল ফুটবল দলের নতুন অধ্যায়ের সূচনা যে মোটেই স্বপ্নময় হয়নি, তা ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র ম্যাচেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে আগামি মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে রাফিনিয়ার মাঠে ফেরায় আক্রমণে নতুন গতি আসবে বলে আশা করছেন ইতালিয়ান কোচ।

ব্রাজিলের আক্রমণভাগে প্রাণ ফেরাতে রাফিনিয়ায় ভরসা আঞ্চেলত্তির

গুয়াকুইলের মাঠে আনচেলত্তির অনেক প্রতীক্ষিত ব্রাজিল কোচিং অভিষেক অনুষ্ঠিত হলেও দলটিকে গোছানো এবং আক্রমণে ধারালো ফুটবল খেলতে দেখা যায়নি। সেবাস্তিয়ান বেকাচেসের ইকুয়েডর দলে শক্তিশালী লড়াইয়ের মুখে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, কাসেমিরোসহ অনেক তারকা থাকা সত্ত্বেও ব্রাজিল শক্তিশালী আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি।

ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেন, “মাঠের অবস্থা একটু জটিল ছিল, পেছন থেকে গেম গুছিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যায় পড়েছিলাম। আমাদের ভালো দুটি সুযোগ ছিল, একটায় ভিনিসিয়ুস সুযোগ পেয়েছিল এবং অন্যটায় কাসেমিরো। আক্রমণে আরও ভালো করা যেত, কিন্তু প্রতিপক্ষও ভালো খেলেছে। দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি আমাদের কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছিল।”

গত মাসে দায়িত্ব নেওয়া আনচেলত্তির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে তাদের পুরনো ফর্মে ফিরিয়ে আনা। লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপে যায় এবং ব্রাজিল বর্তমানে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

আগামী মঙ্গলবার সাও পাওলোতে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে প্যারাগুয়ে। এই ম্যাচে মাঠে ফিরবেন বার্সেলোনার উইঙ্গার রাফিনিয়া, যিনি ইকুয়েডর ম্যাচে ছিলেন অনুপস্থিত। আনচেলত্তি বলেন, “আক্রমণে উন্নতির সুযোগ আছে, আর রাফিনিয়ার ফেরায় আমরা সেই জায়গায় আরও ভালো করতে পারব। সে ছিল আগের ম্যাচে না থাকলেও ও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ভিন্নরকম। আমাদের বল দখলে রাখতে হবে, গতি ও মুভমেন্ট বাড়াতে হবে এবং তীব্রতার সঙ্গে খেলতে হবে। আমাদের খেলোয়াড়দের মান খুবই উঁচু, তাই সময় কম থাকলেও সম্ভাবনা প্রচুর।”

এইভাবে, আনচেলত্তি ব্রাজিলকে নতুন উদ্যমে ফিরে আসার পথে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, যেখানে রাফিনিয়ার ভূমিকা বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন কোচ।

ব্রাজিল ফুটবল, আনচেলত্তি ব্রাজিল কোচ, রাফিনিয়া, লাতিন আমেরিকা ফুটবল, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, ব্রাজিল বনাম প্যারাগুয়ে, ফুটবল নিউজ, ফুটবল বিশ্লেষণ, কার্লো আনচেলত্তি
ব্রাজিল ফুটবল, রাফিনিয়া, আনচেলত্তি, বিশ্বকাপ বাছাই, প্যারাগুয়ে ম্যাচ, ফুটবল কোচিং, ব্রাজিল দল

ভারতে ঈদুল আজহায় পশু জবাই: ধর্মীয় উৎসব ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ

ভারতে ঈদুল আজহায় পশু জবাই: ধর্মীয় উৎসব ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক | ০৬ জুন, ২০২৫

ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঈদুল আজহা, যা বকরি ঈদ নামেও পরিচিত, ভারতে আগামী শনিবার (৭ জুন) উদযাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উৎসবটি সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য প্রতিফলন, ত্যাগ, দান এবং উদযাপনের সময়কে চিহ্নিত করে। ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুসারে, ঈদুল আজহা হিজরি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের শেষ মাস জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পড়ে।

ভারতে ঈদুল আজহায় পশু জবাই: ধর্মীয় উৎসব ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ

ঈদুল আজহার দিন মুসলমানরা বড় জমায়েতে ঈদের বিশেষ নামাজ আদায় করেন, যেখানে কোরবানির তাৎপর্য ও আল্লাহর প্রতি আত্মত্যাগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। নামাজের পর সচ্ছল মুসলমানরা ছাগল, ভেড়া, মহিষ বা গরু কোরবানি দিয়ে তা তিন ভাগে ভাগ করেন— এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য এবং এক ভাগ গরিব-দুস্থদের জন্য। এ উৎসব মূলত দয়া, সহানুভূতি ও সমাজে সমবণ্টনের প্রতীক।

তবে ভারতে ধর্মীয় বৈচিত্র্যের কারণে কোরবানি ঈদ পালন নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। হিন্দু ধর্মে গরুকে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বেশিরভাগ রাজ্যে গো হত্যা আইনত নিষিদ্ধ। ফলে কোরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে মুসলমানদের অনেক হিসেব-নিকেশ করতে হয়। ধর্মীয় বৈচিত্র্যে ভরা এই দেশে মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখসহ নানা ধর্মাবলম্বী মানুষ বসবাস করেন। ফলে কোরবানি উৎসবে নানা বিধিনিষেধ ও আঞ্চলিক পার্থক্য বিদ্যমান।

এদিকে, মহারাষ্ট্রে ঈদের আগে পশু বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র গোসেবা আয়োগ গত ২৭ মে রাজ্যের সকল কৃষিপণ্য বিপণন কমিটি (এপিএমসি)–কে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ৩ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত কোনো পশু বাজার না বসানোর নির্দেশ দেয়। আয়োগ দাবি করে, এই পদক্ষেপ মহারাষ্ট্র পশু সংরক্ষণ আইনের আলোকে গরু ও তার বংশধরদের অবৈধ জবাই ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে।

এই নির্দেশনাকে ঘিরে মুসলিম সমাজসহ বিভিন্ন মহল চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ঈদুল আজহার আগে পশু কেনাবেচা বন্ধ হওয়ায় কোরবানির প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের এই পরিস্থিতি ধর্মীয় স্বাধীনতা, সামাজিক সহাবস্থান ও পশু অধিকার সংরক্ষণের মধ্যে একটি জটিল দ্বন্দ্ব তুলে ধরে, যা দেশটির বহুত্ববিধ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে থেকে যাচ্ছে।

ভারত ঈদুল আজহা, বকরি ঈদ, ভারতে কোরবানি, পশু জবাই আইন, মহারাষ্ট্র পশু বাজার বন্ধ, ধর্মীয় উৎসব চ্যালেঞ্জ, ভারতের ধর্মীয় বৈচিত্র্য, গো হত্যা নিষেধাজ্ঞা, ঈদ সামাজিকতা, কোরবানি পশু বিতরণ ভারত

ইন্দোনেশিয়ার অনুকরণীয় কোরবানি সংস্কৃতি: ধর্ম থেকে সমাজকল্যাণের পথে

ইন্দোনেশিয়ার অনুকরণীয় কোরবানি সংস্কৃতি: ধর্ম থেকে সমাজকল্যাণের পথে

অনলাইন ডেস্ক | ০৬ জুন, ২০২৫

বিশ্বে আয়তনে সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। মুসলমানদের সংখ্যার দিক থেকেও দেশটি শীর্ষে অবস্থান করছে। শুধু জনসংখ্যা বা আয়তন নয়, ঈদুল আজহার মূলে থাকা কোরবানি আদায়ের পদ্ধতিতেও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দেশটি।

ইন্দোনেশিয়ার অনুকরণীয় কোরবানি সংস্কৃতি – ধর্ম থেকে সমাজকল্যাণের পথে

ইন্দোনেশিয়ায় কোরবানি শুধু একটি ধর্মীয় অনুশীলন নয়, বরং এটি একটি সামাজিক উদ্যোগে রূপ নিয়েছে। ঈদুল আজহার সময় সামর্থ্যবান মুসলিমরা হাট থেকে গরু, ছাগল বা ভেড়া কিনে তা মসজিদে দিয়ে আসেন। অনেক মসজিদে ৮-১০টি পর্যন্ত কোরবানির পশু আসে। এরপর শুরু হয় সুশৃঙ্খল কোরবানির প্রক্রিয়া।

প্রতিটি মসজিদ এলাকায় কতগুলো পরিবার রয়েছে—তার পূর্ণ হিসাব থাকে স্থানীয় ইমামের কাছে। সেই হিসাব অনুযায়ী কোরবানির মাংস ভাগ করা হয়। পশু জবাই শেষে স্বেচ্ছাসেবকরা দলবদ্ধভাবে গোশত কেটে ছোট ছোট প্যাকেটে ভাগ করেন এবং সেগুলো পৌঁছে দেন প্রতিটি পরিবারে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইন্দোনেশিয়ায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ঈদের দিন সকালে মুসল্লিরা নতুন জামা পরে ঈদগাহ বা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। খুতবা শোনার পর শুরু হয় পশু কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কোরবানি উৎসব শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি একটি সামাজিক একতা, সহানুভূতি ও সমবায় চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটিতে প্রতিবছর কোরবানির সময় গড়ে ১০ মিলিয়নের বেশি পশু কোরবানি দেওয়া হয়।

ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা, বালির মতো দ্বীপগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কোরবানির পশু পরিবহন ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রাজধানী জাকার্তা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় ঈদুল আজহার এই সামাজিক সংস্কৃতি একইভাবে পালিত হয়।

ইন্দোনেশিয়া কোরবানি সংস্কৃতি, ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল আজহা, কোরবানি সামাজিক উদ্যোগ, কোরবানি মাংস বিতরণ, ঈদুল আজহার নামাজ, মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, কোরবানির ঐতিহ্য, ঈদুল আজহার ছুটি, ইন্দোনেশিয়ার কোরবানি প্রথা, ইসলামিক সামাজিক কার্যক্রম, কোরবানির পশু ব্যবস্থাপনা

ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল আজহার ভিন্ন রীতি ও সামাজিক তাৎপর্য

ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল আজহার ভিন্ন রীতি ও সামাজিক তাৎপর্য

অনলাইন ডেস্ক | ০৬ জুন, ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার দুইদল আজহার বিন্ন রীতি ও সমাজিক তাড়াপর্য

ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল আজহা স্থানীয়ভাবে ‘ইদুল আদহা’, ‘ইদ-উল-জুহা’, ‘হারি রায় হাজি’ বা ‘বকর-ইদ’ নামে পরিচিত। এই উৎসব শুধু ধর্মীয় আনুগত্য নয়, বরং সামাজিক সংহতি ও দানের শিক্ষায়ও গভীরভাবে প্রোথিত।

ঈদের আগের রাতে এক অনন্য রীতি পালিত হয়—‘তাকবিরান’। এ সময় মসজিদ, ঘরবাড়ি ও রাস্তায় গুঞ্জন তোলে সম্মিলিতভাবে উচ্চারিত ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি। পুরো পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে ঈদের আগমনী সুর।

মুসলিমবিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত শুভেচ্ছা ‘ঈদ মোবারক’ হলেও ইন্দোনেশিয়ায় এটি খুব একটা প্রচলিত নয়। বরং বলা হয়—‘মিনাল আইদিন ওয়াল ফাইদিন, মোহন মাফ লাহির দান বাতিন’। এর প্রথমাংশ আরবি ও অর্থ: ‘আল্লাহ আমাদের পবিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং বিজয়প্রাপ্তদের কাতারে স্থান দিন’।

দ্বিতীয়াংশ ইন্দোনেশীয় ভাষায়, যার অর্থ ‘শরীরী ও মানসিকভাবে আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি’। এটি ক্ষমা চাওয়া ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা ঈদুল আজহার আত্মিক তাৎপর্যকে আরও গভীর করে তোলে।

ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাধারণত একে অপরকে বলেন—‘সেলামাত ইদুল আদহা’ বা ‘সেলামাত হারি রায়া হাজি’, যার অর্থ ‘শুভ ঈদ’।

ঈদের দিন সকালে খোলা মাঠ বা মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ ঈদের নামাজ। এরপর পালিত হয় কুরবানির বিধান। পরিবার ও পাড়া-মহল্লা একত্রে গরু, ছাগল বা মহিষ কিনে তা উৎসর্গ করে। তারপর মাংস আত্মীয়-পরিজন ও গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হয়, যা দান ও সহানুভূতির বাস্তব প্রতিফলন।

ইন্দোনেশিয়ায় ঈদুল আজহার আরেকটি বড় দিক হলো সামাজিক সেবা ও দানবিধান। অনেকেই দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং সম্মিলিত খাবারের আয়োজন করেন। এসব কাজ ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি সমাজে সমতা ও সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেয়।

এভাবেই ইন্দোনেশিয়ার ঈদুল আজহা হয়ে ওঠে শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং মানবিকতা, ত্যাগ ও সম্প্রদায়ের প্রতি ভালোবাসার প্রাণবন্ত উদাহরণ।

ইন্দোনেশিয়া ঈদুল আজহা, ইদুল আদহা উৎসব, ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ, ইদ মোবারক ইন্দোনেশিয়া, তাকবিরান রীতি, ঈদ সামাজিকতা, ঈদুল আজহার নামাজ, কুরবানি উৎসব ইন্দোনেশিয়া, ঈদ শুভেচ্ছা ভাষা, ঈদ মানবিকতা

কোরবানির পরবর্তী সময়ে করণীয়: অন্তরের শুদ্ধি ও তাকওয়ার বিশ্লেষণ

কোরবানির পরবর্তী সময়ে করণীয়

পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় এবং পশু কোরবানি দিয়ে আমরা বিদায় জানাই এই মহত্‍বপূর্ণ দিনে। নবীপ্রেমিকরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু ক্রয় করে কোরবানি দিয়ে থাকেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, বড় পশু ক্রয় করলেও আমরা কি সত্যিই নিজের অন্তরের পশুত্ববোধ কোরবানির মাধ্যমে মেরে ফেলতে পেরেছি?

কোরবানির পরবিশ্লেষণ ও করণীয় সম্পর্কিত চিত্র

কোরবানির আগে আমাদের মনে থাকা অহংকার, হিংসা, দেমাক ইত্যাদি গুণাবলী কি কোরবানির পরও রয়ে গেছে? আগে যেমন ছিলাম, এখনো কি একই রকম? নিজের অন্তরকে সাদামাটা করতে পারিনি? আসল উদ্দেশ্য হলো কোরবানি দিয়ে নিজের মধ্যে থাকা পশুত্ব, অহংকার, হিংসা, মিথ্যা, গিবত, চোখলোখুরি, অন্যায় আচরণ এসব কোরবানি করা।

মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, “আল্লাহপাকের কাছে গোশত ও রক্ত পৌঁছায় না বরং তোমাদের আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা ও তাকওয়াই পৌঁছায়।” (সুরা হজ্জ-৩৭)

অর্থাৎ, কোরবানির পশু বড় বা দামি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কোরবানি দেয়ার পেছনের ইচ্ছা ও তাকওয়া বড় কথা। কোরবানি হোক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য, লোক দেখানোর জন্য নয়। এছাড়া কোরবানি অবশ্যই হালাল উপার্জনের অর্থ থেকে করা উচিত।

বিশ্লেষণ: অন্তর পরিবর্তনের গুরুত্ব

কোরবানির আসল অর্থ হলো শুধু পশু জবাই নয়, বরং আত্মার পরিচ্ছন্নতা ও মনুষ্যত্বের পুনরুজ্জীবন। যে ব্যক্তি কোরবানি করে কিন্তু তার অন্তর একই অবস্থা থাকে — অহংকার, হিংসা, মিথ্যা ইত্যাদি — সে আসলে কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারেনি। প্রকৃত তাকওয়া অর্জন না করলে কোরবানির ইবাদত আড়ালে থেকে যায়।

ইসলামিক তত্ত্ব মতে, মানুষের মনোভাবই তার ইবাদতের মূলে অবস্থান করে। সুতরাং কোরবানির মাধ্যমে পশুত্ব বা অবৈধ মানসিকতাকে ধ্বংস করে, অন্তরের পরিবর্তন সাধন করাই প্রকৃত কোরবানির উদ্দেশ্য। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, কোরবানি একটি আত্ম-শুদ্ধির মাধ্যম।

বিশ্লেষণ: নামাজ ও কোরবানির সম্পর্ক

নামাজ ইসলামের অন্যতম ভিত্তি এবং কোরবানির আগে ও পরে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। লেখক যেভাবে উল্লেখ করেছেন, নামাজ এবং কোরবানি যেন একে অপরের পরিপূরক। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানির পর নামাজের গুরুত্ব কমে না, বরং বাড়ে।

যারা কোরবানি করতে সক্ষম হলেও নিয়মিত নামাজ থেকে দূরে থাকেন, তাদের কোরবানির কার্যকারিতা অনেকাংশে সীমিত হয়ে যায়। নামাজের মাধ্যমে মনস্থিরতা, তাকওয়া ও আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের মানসিকতা আরও গভীর হয়, যা কোরবানির উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করে। তাই নামাজ এবং কোরবানি একত্রে বাস্তবিক ‘তাকওয়া’ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশ্লেষণ: সামর্থ্য ও ইবাদতের সমতা

লেখক যে সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও দোয়া ও শুকরিয়া নামাজের গুরুত্ব দিয়েছেন, তা খুবই প্রাসঙ্গিক। ইসলাম যে প্রত্যেক ব্যক্তির সামর্থ্য অনুযায়ী ইবাদত গ্রহণ করেন, তা স্পষ্ট। সামর্থ্য না থাকলে কোরবানি দেয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের জন্য অন্যান্য ইবাদত যেমন নামাজ, দোয়া ও শুকরিয়া আদায় করতে হয়।

এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায়, ইবাদতের উদ্দেশ্য শুধু বাহ্যিক কাজ নয়, বরং অন্তরের পরিবর্তন ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন। সামর্থ্যের অভাব সত্ত্বেও আন্তরিক দোয়া ও নামাজের মাধ্যমে কেউ আল্লাহর কাছে নিজের অবস্থান সুনিশ্চিত করতে পারে।

সর্বোপরি, কোরবানির পরবর্তী সময়ে করণীয় হলো— অন্তরের পশুত্ব দূর করা, তাকওয়া বৃদ্ধি করা, নিয়মিত নামাজ আদায় করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সব ইবাদত পালন করা। কোরবানির প্রকৃত ফজিলত তখনই অর্জিত হবে যখন এগুলো মিলেমিশে একজন মুসলমানের জীবন হয়ে উঠবে পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ।

কোরবানির পরবর্তী করণীয়, ঈদুল আজহার পর করণীয়, কোরবানি নামাজ, শুকরিয়া নামাজ, কোরবানি পরবর্তী ইবাদত, ঈদুল আজহার নামাজ, ইসলামিক জীবনপদ্ধতি, কোরবানির শিক্ষা, আল্লাহর সন্তুষ্টি, ইসলামিক দোয়া, মুসলিম ইবাদত, Eid ul Adha after sacrifice

ঈদুল আজহার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ও মুস্তাহাব আমল | কোরবানির দিনের করণীয় (২০২৫)

ঈদুল আজহার করণীয়, ঈদুল আজহার সুন্নত, কোরবানির দিনের আমল, ঈদের নামাজ, ঈদের প্রস্তুতি, ঈদুল আজহার দিন করণীয় আমল, Eid ul Adha mustahab amol Bangla, কোরবানির দিন করণীয় কাজ, ঈদুল আজহা, কোরবানি, তাকবিরে তাশরিক, ঈদের নামাজ, ইসলামিক শিক্ষা, ঈদুল আজহার সুন্নত, mustahabaamal, eiduladha2025, eidbangla, ইসলামিক ব্লগ

🌙 ঈদুল আজহার দিন করণীয় সুন্নত ও মুস্তাহাব আমলসমূহ | Eid ul Adha Mustahab Aamal in Bangla

ক্যাটাগরি: ইসলামিক শিক্ষা

ঈদুল আজহা ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র দিন, যেটি কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে "ইয়াওমুন নাহার" (يَوْمُ النَّحْرِ) অর্থাৎ কোরবানির দিন নামে পরিচিত। এই দিনটি শুধু আনন্দ-উৎসবের নয়, বরং তাকওয়া, ইবাদত ও আত্মত্যাগের প্রতীক। এ দিনে কিছু মুস্তাহাব (সুন্নত ও পছন্দনীয়) আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করলে মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন।

ঈদুল আজহার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ও মুস্তাহাব আমল জানুন

এই ব্লগে আমরা ঈদুল আজহার দিনের সর্বোত্তম আমলগুলোর একটি বিস্তারিত তালিকা উপস্থাপন করেছি।

🌙 ঈদুল আজহার মুস্তাহাব আমলসমূহ

১. তাকবিরে তাশরিক পড়া

📅 সময়: ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ জিলহজ আসরের নামাজ পর্যন্ত।

📜 তাকবির:

اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

২. ঈদের নামাজ আদায় করা

রাসূল (সা.) ঈদের নামাজ মুসাল্লায় (প্রাঙ্গণে) আদায় করতেন। তাই ইদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়া সুন্নত এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

✅ ঈদের নামাজ ফরজ নয়, তবে ওয়াজিব।

৩. গোসল, সুগন্ধি ও উত্তম পোশাক পরিধান

  • নামাজের আগে গোসল করা
  • সুগন্ধি ব্যবহার করা
  • উত্তম পোশাক পরিধান করা

৪. ঈদের নামাজের আগে কিছু না খাওয়া

ঈদুল ফিতরে খেজুর খেয়ে নামাজে যাওয়া সুন্নত, তবে ঈদুল আজহার দিনে কোরবানির গোশত খাওয়ার আগে কিছু না খাওয়া উত্তম।

📖 সূত্র: তিরমিজি: ৫৪২

৫. কোরবানি করা (ওয়াজিব)

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
“তোমার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করো ও কোরবানি করো।” (সূরা কাউসার: ২)

রাসূল (সা.) বলেন: “যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।”
(ইবনু মাজাহ: ৩১২৩)

৬. হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া ও ভিন্ন পথে ফিরে আসা

রাসূল (সা.) ঈদের দিন হেঁটে যেতেন এবং ভিন্ন রাস্তায় ফিরতেন।

📖 ইবনু মাজাহ: ১৩১৪, তিরমিজি: ৫৪১

৭. আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ বেশি বেশি পড়া

“যেন তারা আল্লাহর নির্ধারিত কয়েকটি দিনে তাঁর নাম স্মরণ করে।”
(সূরা হজ: ২৮)

১০-১৩ জিলহজ: এই দিনগুলোতে আল্লাহর জিকির, তাসবিহ, তাকবির, দুআ ইত্যাদি বেশি করে পড়া সুন্নত।

৮. প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়া

ঈদের খুশি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার অন্যতম উপায় হলো আত্মীয়-প্রতিবেশীর খবর নেওয়া।

৯. কোরবানির গোশত বণ্টন করা

এক-তৃতীয়াংশ গোশত গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে বণ্টন করা সুন্নত ও পুণ্যময় কাজ।

✅ সংক্ষিপ্ত তালিকা: ঈদুল আজহার মুস্তাহাব আমল

  • তাকবিরে তাশরিক পড়া
  • ঈদের নামাজ আদায়
  • গোসল ও উত্তম পোশাক পরিধান
  • ঈদের নামাজের আগে কিছু না খাওয়া
  • কোরবানি করা (ওয়াজিব)
  • হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া
  • ভিন্ন রাস্তায় ফেরা
  • জিকির ও দুআ বৃদ্ধি করা
  • প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়া
  • কোরবানির গোশত বিতরণ করা

✨ উপসংহার

ঈদুল আজহার দিন শুধুই আনন্দ বা খাওয়াদাওয়ার দিন নয়, এটি মূলত আত্মত্যাগ, তাকওয়া ও ইবাদতের দিন। এই মুস্তাহাব ও সুন্নত আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করলে একজন মুমিন আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন এবং ঈদের প্রকৃত ফজিলত অর্জন করতে সক্ষম হন।

🎉 আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ঈদ মোবারক!

تَقَبَّلَ الل

Popular News

Categories

accident (5) actor (1) agriculture (6) bangladesh (50) bd model (1) BDR (1) business (12) campus (1) crime (18) drama (5) Economy (5) education (15) entertainment (12) environment (17) gardening (9) gaza (1) goat (1) hadees (8) health (37) heath (1) holiday (1) hsc (1) india (6) inspiration (1) international (42) ipl (3) italy (1) jobs (6) life style (8) media (4) movie (8) national (3) newzealand (1) online job (1) pakistan (4) pets (1) politics (15) quran (2) qurbani (9) red carpet (3) religion (12) science news (3) sports (37) story (4) suicide (1) technology (14) tours and travels (1) weather (7)