Thursday, April 24, 2025

পারভেজ হ*ত্যা*র তদন্তে প্রধান আসামী মেহেরাজের রুদ্ধদ্বার স্বীকারোক্তি

পারভেজ হত্যার তদন্ত: প্রধান আসামি মেহেরাজের বক্তব্য

২৪ এপ্রিল - সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুল করিম জানিয়েছেন, পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ মারামারির সময় ছুরিকাঘাত করে পারভেজকে হত্যা করেছেন, তবে তাঁর দাবি, এটি হত্যা উদ্দেশ্যে ছিল না।

মেহেরাজকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বান্ধভী স্বাক্ষীর ফোনের কলের কারণে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ওইদিন পারভেজকে কিছু শিক্ষা দিতে যান, কিন্তু ঘটনাক্রমে মারামারির মধ্যে পারভেজের মৃত্যু ঘটে। হত্যা প্রত্যক্ষ করতে না চাইলে তিনি পুলিশকে এড়াতে গা ঢাকা দেন।

র‌্যাবের সহায়তায় ঘটনাটির সাথে জড়িত দুই ছাত্রীর পাশাপাশি অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লে. কর্নেল জাহিদুল করিম বলেন, তাদের আটক করা গেলে হত্যার প্রকৃত কারণ সামনে আসতে পারে।

এদিকে, নিহত পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় এই হত্যার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বহিরাগতসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এটি খুবই দুঃখজনক যে, নিহত পারভেজ একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন, এবং তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে, এবং আমাদের উচিত এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করা।

পারভেজ হত্যা: দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার

জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে পারভেজের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সোমবার (২১ এপ্রিল) দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি ইস্যু করা হয়।

সাময়িকভাবে বহিষ্কার হওয়া দুই ছাত্রী হলেন: ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী এবং ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

পারভেজ হত্যা: দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অবাঞ্ছিত ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা তাঁদের সাময়িক বহিষ্কারের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পারভেজের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।

পারভেজ হত্যা: কীভাবে ঘটেছিল ঘটনাটি?

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ প্রাইমএশিয়া গলিতে চা ও সিঙ্গাড়া খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তিনজন ছাত্রীকে দেখার পর তাঁদের দিকে কিছু হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করেন, যা ছাত্রীরা ভিন্নভাবে নিয়েছিলেন। তাঁরা পরে তাঁদের বন্ধুদের ফোন করেন, ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর পর উভয় পক্ষকে ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি। মাহাথি, মেহেরাব এবং আবুজর গিফারী নামের তিনজন স্থানীয় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পারভেজের ওপর হামলা চালান।

যখন পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন, হামলাকারীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে এবং পিঠে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোক অনুভব করছে এবং এটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তার একটি গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

বর্তমান তদন্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে। আমরা পারভেজের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং ঘটনার সঠিক বিচার প্রার্থনা করি।


পারভেজ হত্যা: কীভাবে ঘটেছিল ঘটনাটি?


একটি বাবার স্বপ্নের শেষ: মো. সোলাইমানের ট্র্যাজেডি

 
জহুর আহমেদ (৬৫) একজন সাধারণ মানুষ, যিনি জীবনের প্রতিটি বাঁকে সংগ্রাম করেছেন। ঘুম থেকে উঠে সকালে একটি স-মিলে কাজ করে খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ছেলে মো. সোলাইমান (৩৩) প্রকৌশলী হয়ে জীবনের কঠোর পরিশ্রমের সার্থকতা রূপান্তরিত করবে—একটি সচ্ছল জীবন তাদের জন্য নিশ্চিত করবে। কিন্তু কিছুই তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটল না।

গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘটনাটি ঘটে। প্রকৌশলী সোলাইমান একটি কারখানার পাওয়ার প্ল্যান্টে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ শেষে ফিরতে গিয়ে একটি রডবোঝাই লরি পেছন থেকে তাঁকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে, এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লাশ উদ্ধার করে রাতের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সোলাইমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাবা জহুর আহমেদ ছেলের অপেক্ষায় বাড়ির সামনের খুঁটিতে ভর দিয়ে সারা রাত কাটিয়েছেন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন প্রিয় সন্তানটি ফিরে আসবে। “আমি ছেলে আসবে বলেই দাঁড়িয়ে আছি,”—বিষণ্ন মুখের দিকে তাকালে বুঝা যায় হারিয়েছেন সব আশার আলো।

জহুর আহমেদের তিন ছেলের মধ্যে সোলাইমান ছিলেন সবচেয়ে ছোট। বড় দুই ছেলেকে অর্থের অভাবে সঠিক শিক্ষায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু সোলাইমানকে তিনি শক্ত হাতে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। “আমি নিজেই একটি স-মিলে কাজ করে ছেলেদের বড় করেছি,”—বলেছিলেন জহুর। সোলাইমান ছিল একসময় তাঁর সব মেধা ও আশা।

জহুরের আশা ছিল, এই এক পুত্র অন্তত তাদের জীবনের কষ্টের সমাপ্তি ঘটাবে। ছেলে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পেয়েছিল, কিন্তু সে সচ্ছলতার রূপ দেখার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল।

মো. সোলাইমানের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে জীবনের অনিশ্চয়তা কতোখানি, এবং বাবার স্বপ্ন এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিনষ্ট করতে পারে একটি ক্ষণস্থায়ী মুহূর্ত।

শিশুর মোবাইল ব্যবহারের প্রভাব: কিছু চিন্তা

শিশুর মোবাইল ব্যবহারের প্রভাব: কিছু চিন্তা


শিশুটির হাতে মোবাইল:
 স্ক্রিনে চলতে থাকা একের পর এক অর্থহীন রীলস আমাদের চিন্তার উদ্রেক করে। 📱

আজকের শিশুরা মোবাইল ফোন এবং ট্যাবলেটের ব্যাপক ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। একজন শিশু যখন মোবাইলের স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রীল ভিডিও দেখে, তখন তার মনোযোগ এবং কল্পনাশক্তির বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। শিশুরা ঐতিহ্যগতভাবে ২০ মিনিটের কার্টুন বা গল্পের মাধ্যমে সম্মিলিত সাহিত্য এবং সামাজিক শিক্ষার মধ্যে বড়ো হতো। কিন্তু এখন, আটকা পড়ে আছে ছোট ছোট ভিডিওর জগতে।

স্বাস্থ্যকর চিন্তার অভাব

মোবাইলের স্ক্রীনে যে ভিডিওগুলো শিশু দেখছে, তা প্রায়শই বিনোদনের স্বল্পতা এবং অসমর্থনদায়ক ক্রিয়াকলাপের দিকে পরিচালিত করে। এতে তার মস্তিষ্কের জন্য কোনও স্বাস্থ্যকর চিন্তার জগৎ তৈরি হয় না। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের বিগত সময়ের সংস্পর্শে নিয়ে আসা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ শেখানো।

বই পড়ার গুরুত্ব

আপনার শিশুর হাত থেকে মোবাইলটি তুলে উপযুক্ত বই দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হয়তো তাকে এখনই পড়তে বলা হবে না, কিন্তু তাকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে হবে। পড়াশোনা মানসিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বই পড়ে মনকে খোলে, কল্পনা শক্তি বাড়ায় এবং শেখার প্রক্রিয়া উন্নত করে।

সৃজনশীলতার বিকাশ

যদি বই না দেন, কমপক্ষে সাদা কাগজ এবং রঙ পেন্সিল দিন। ছবি আঁকা এবং সৃজনশীল কাজ শিশুদের কল্পনাকে উৎকর্ষিত করে এবং তাদের ভাবনাপ্রেক্ষিতকে মিশ্রিত করে। অথবা ব্লক, মডেলিং ক্লে বা অন্যান্য সৃজনশীল খেলনা দিয়ে তাদের হাতে কিছু তৈরি করার সুযোগ দিন।

সামাজিক মেলামেশার প্রয়োজন

মোবাইলের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশের স্থানে তারা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। শিশুদের মধ্যে সামাজিক ও মানসিক দক্ষতা বিকাশ হলে তাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে। সুতরাং, কিছু সময় বের করে তাদের সাথে মেলামেশা করুন—কথা বলুন, খেলুন এবং তাদেরকে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা

আমার কিছু পরামর্শ হয়তো বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু কিছু দিন আগে চার বছরের কন্যার কথা ভাবুন, যে আয়নার সামনে “মা, আমাকে চেক্সি লাগছে” বলছে। এ ধরনের আচরণ ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।

আমাদের সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য যদি আমরা সতর্ক না হই, তবে তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। আসুন, আমরা সকলে একসাথে কাজ করি আমাদের ছোটদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য, তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। 🛡️

Popular News

Categories

accident (5) actor (1) agriculture (6) bangladesh (50) bd model (1) BDR (1) business (12) campus (1) crime (18) drama (5) Economy (5) education (14) entertainment (12) environment (17) gardening (9) gaza (1) goat (1) hadees (7) health (37) heath (1) holiday (1) hsc (1) india (6) inspiration (1) international (42) ipl (3) italy (1) jobs (6) life style (8) media (4) movie (7) national (3) newzealand (1) online job (1) pakistan (4) pets (1) politics (15) quran (2) qurbani (3) railway (1) red carpet (3) religion (6) science news (3) sports (32) story (4) suicide (1) technology (14) tours and travels (1) weather (7)