Thursday, April 24, 2025

একটি বাবার স্বপ্নের শেষ: মো. সোলাইমানের ট্র্যাজেডি

 
জহুর আহমেদ (৬৫) একজন সাধারণ মানুষ, যিনি জীবনের প্রতিটি বাঁকে সংগ্রাম করেছেন। ঘুম থেকে উঠে সকালে একটি স-মিলে কাজ করে খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ছেলে মো. সোলাইমান (৩৩) প্রকৌশলী হয়ে জীবনের কঠোর পরিশ্রমের সার্থকতা রূপান্তরিত করবে—একটি সচ্ছল জীবন তাদের জন্য নিশ্চিত করবে। কিন্তু কিছুই তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটল না।

গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘটনাটি ঘটে। প্রকৌশলী সোলাইমান একটি কারখানার পাওয়ার প্ল্যান্টে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ শেষে ফিরতে গিয়ে একটি রডবোঝাই লরি পেছন থেকে তাঁকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে, এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লাশ উদ্ধার করে রাতের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সোলাইমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাবা জহুর আহমেদ ছেলের অপেক্ষায় বাড়ির সামনের খুঁটিতে ভর দিয়ে সারা রাত কাটিয়েছেন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন প্রিয় সন্তানটি ফিরে আসবে। “আমি ছেলে আসবে বলেই দাঁড়িয়ে আছি,”—বিষণ্ন মুখের দিকে তাকালে বুঝা যায় হারিয়েছেন সব আশার আলো।

জহুর আহমেদের তিন ছেলের মধ্যে সোলাইমান ছিলেন সবচেয়ে ছোট। বড় দুই ছেলেকে অর্থের অভাবে সঠিক শিক্ষায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু সোলাইমানকে তিনি শক্ত হাতে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। “আমি নিজেই একটি স-মিলে কাজ করে ছেলেদের বড় করেছি,”—বলেছিলেন জহুর। সোলাইমান ছিল একসময় তাঁর সব মেধা ও আশা।

জহুরের আশা ছিল, এই এক পুত্র অন্তত তাদের জীবনের কষ্টের সমাপ্তি ঘটাবে। ছেলে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পেয়েছিল, কিন্তু সে সচ্ছলতার রূপ দেখার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল।

মো. সোলাইমানের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে জীবনের অনিশ্চয়তা কতোখানি, এবং বাবার স্বপ্ন এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিনষ্ট করতে পারে একটি ক্ষণস্থায়ী মুহূর্ত।

শিশুর মোবাইল ব্যবহারের প্রভাব: কিছু চিন্তা

শিশুর মোবাইল ব্যবহারের প্রভাব: কিছু চিন্তা


শিশুটির হাতে মোবাইল:
 স্ক্রিনে চলতে থাকা একের পর এক অর্থহীন রীলস আমাদের চিন্তার উদ্রেক করে। 📱

আজকের শিশুরা মোবাইল ফোন এবং ট্যাবলেটের ব্যাপক ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। একজন শিশু যখন মোবাইলের স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রীল ভিডিও দেখে, তখন তার মনোযোগ এবং কল্পনাশক্তির বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। শিশুরা ঐতিহ্যগতভাবে ২০ মিনিটের কার্টুন বা গল্পের মাধ্যমে সম্মিলিত সাহিত্য এবং সামাজিক শিক্ষার মধ্যে বড়ো হতো। কিন্তু এখন, আটকা পড়ে আছে ছোট ছোট ভিডিওর জগতে।

স্বাস্থ্যকর চিন্তার অভাব

মোবাইলের স্ক্রীনে যে ভিডিওগুলো শিশু দেখছে, তা প্রায়শই বিনোদনের স্বল্পতা এবং অসমর্থনদায়ক ক্রিয়াকলাপের দিকে পরিচালিত করে। এতে তার মস্তিষ্কের জন্য কোনও স্বাস্থ্যকর চিন্তার জগৎ তৈরি হয় না। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের বিগত সময়ের সংস্পর্শে নিয়ে আসা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ শেখানো।

বই পড়ার গুরুত্ব

আপনার শিশুর হাত থেকে মোবাইলটি তুলে উপযুক্ত বই দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হয়তো তাকে এখনই পড়তে বলা হবে না, কিন্তু তাকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে হবে। পড়াশোনা মানসিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বই পড়ে মনকে খোলে, কল্পনা শক্তি বাড়ায় এবং শেখার প্রক্রিয়া উন্নত করে।

সৃজনশীলতার বিকাশ

যদি বই না দেন, কমপক্ষে সাদা কাগজ এবং রঙ পেন্সিল দিন। ছবি আঁকা এবং সৃজনশীল কাজ শিশুদের কল্পনাকে উৎকর্ষিত করে এবং তাদের ভাবনাপ্রেক্ষিতকে মিশ্রিত করে। অথবা ব্লক, মডেলিং ক্লে বা অন্যান্য সৃজনশীল খেলনা দিয়ে তাদের হাতে কিছু তৈরি করার সুযোগ দিন।

সামাজিক মেলামেশার প্রয়োজন

মোবাইলের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশের স্থানে তারা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। শিশুদের মধ্যে সামাজিক ও মানসিক দক্ষতা বিকাশ হলে তাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে। সুতরাং, কিছু সময় বের করে তাদের সাথে মেলামেশা করুন—কথা বলুন, খেলুন এবং তাদেরকে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা

আমার কিছু পরামর্শ হয়তো বিরক্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু কিছু দিন আগে চার বছরের কন্যার কথা ভাবুন, যে আয়নার সামনে “মা, আমাকে চেক্সি লাগছে” বলছে। এ ধরনের আচরণ ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।

আমাদের সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য যদি আমরা সতর্ক না হই, তবে তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। আসুন, আমরা সকলে একসাথে কাজ করি আমাদের ছোটদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য, তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। 🛡️

ভুল রক্তের সংক্রমণ: মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিল্লাল রহমানের মৃত্যু

ভুল রক্তের সংক্রমণ: মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিল্লাল রহমানের মৃত্যু

মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া মো. বিল্লাল (বয়স নির্ধারিত নয়) নামের এক রোগীর শরীরে ভুল করে ‘বি’ পজিটিভ রক্ত ‘ও’ পজিটিভ রক্তের পরিবর্তে প্রদান করা হয়। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে এবং কিছু ঘণ্টার মধ্যে, রাত ১০টার দিকে বিল্লাল মারা যান।

নিহত বিল্লাল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাগড়াকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবার অভিযোগ করেছেন যে, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে তাদেরকে ভুল রক্ত সরবরাহ করা হয়েছে। রোগীর স্বজনরা জানান, নার্সরা রক্তের ব্যাগ আনার পরে ডাক্তারকে অনুমতি নিতে বলা হয়। পরে ডাক্তার রক্ত দেখে পুশ করার অনুমতি দেন। কিন্তু এর পরেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয় এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।

রোগীর একজন স্বজন জানান, "হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের অনেক ডাকাডাকি করলেও তারা কোনো চিকিৎসা দেননি। পরে যখন কিছু সাংবাদিক ঘটনাস্থলে আসেন, তখন তারা হঠাৎ করে রোগীকে নিয়ে দৌড়াতে শুরু করেন।"

তারা আরও জানান, হাসপাতালের তিনটি জায়গায় চেক করার পর রক্ত দেওয়া হয়েছে। এক জায়গায় ভুল হলে সব জায়গায় ভুল হওয়া সম্ভব নয়, তাই তারা অভিযোগ করে থাকেন যে কর্মীদের অবহেলার কারণে বিল্লালের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইশতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, "ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশি এবং মেডিকেল অফিসার ডা. নূরজাহান সেই সময় দায়িত্বে ছিলেন। রোগীর শরীরে ‘ও’ পজিটিভ রক্তের পরিবর্তে ‘বি’ পজিটিভ রক্ত পুশ করার ঘটনা ঘটেছে এবং এর পর থেকেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।"

তিনি বাস্তবতার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে, রোগীর শরীরে খুব বেশি রক্ত দেওয়া হয়নি, তবে কাগজপত্র না দেখে রক্ত পুশ করা ছিল মারাত্মক ভুল।

এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং রোগীর পরিবার ন্যায়ের দাবি জানাচ্ছেন। পুরো ঘটনায় সঠিক তদন্ত এবং বিচারের প্রয়োজনীয়তা এখন আরেকটি বার্তা হিসেবে উঠে এসেছে। আমরা আশা করি যে কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখবে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোর সাব্বির রহমানের মৃত্যু: এক হৃদয়বিদারক ঘটনা

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোর সাব্বির রহমানের মৃত্যু: এক হৃদয়বিদারক ঘটনা

রাজধানীর বনানী থানার আদর্শনগর পুরা বস্তি এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাব্বির রহমান নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন।

রাজধানীর বনানী থানার আদর্শনগর পুরা বস্তির একটি চায়ের দোকানের কর্মী, ১৭ বছর বয়সী সাব্বির রহমান, গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে tragically মারা গেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সন্ধ্যা ৭টার দিকে, যখন সাব্বির তার বন্ধুদের সাথে হাসপাতালের মাঠে ক্রিকেট খেলছিলেন। খেলার এক পর্যায়ে হাসপাতালের জানালায় স্পর্শ করার কারণে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে জরুরি অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাব্বিরের দুলাভাই, রিপন আহমেদ, জানিয়েছেন, সাব্বির বনানীর আদর্শনগর পুরা বস্তিতে ভাড়া থাকতেন। তার আসল বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার আশুড়ায় গ্রামে। তার বাবা চট্টু মিয়া।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. ফারুক, জানান যে সাব্বিরের মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে এবং এই ঘটনার ব্যাপারে বনানী থানার পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

সাব্বিরের মৃত্যু একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। আমরা সাব্বিরের অবদানের জন্য তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।


 

আলোকিত নারী" সম্মাননা

ঈদে মুক্তি পেয়েছে ‘জংলি’। এই সিনেমায় অভিনয় করার জন্য চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাকে একটি বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। বুবলী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে "আলোকিত নারী" সম্মাননা লাভ করেছেন।

আলোকিত নারী" সম্মাননা

Popular News

Categories