Thursday, May 1, 2025

ওয়ালটনে ২২ বছর বয়সে চাকরির সুযোগ: ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার পদে আবেদন করুন

ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সম্প্রতি ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা ১০ মে ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ২৮ এপ্রিল থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ: ২২ বছর বয়স হলেই আবেদন করুন!

নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য:

  • পদের নাম: ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার
  • পদসংখ্যা: ২ জন
  • চাকরির ধরন: ফুলটাইম (অফিস ভিত্তিক)
  • অবস্থান: কালিয়াকৈর, গাজীপুর

যোগ্যতা:

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • দক্ষতা: সলিডওয়ার্কস এবং অটোক্যাডে দক্ষতা
  • ভাষাগত দক্ষতা: ইংরেজিতে ভালো যোগাযোগ দক্ষতা
  • অভিজ্ঞতা: ১–৩ বছর
  • বয়সসীমা: ২২–৩০ বছর

বেতন ও সুবিধাসমূহ:

  • বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
  • সুবিধা: মোবাইল বিল, লাভের অংশ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বিমা, দুপুরের খাবার, বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা এবং ২টি উৎসব বোনাস (প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুসারে)

আবেদন প্রক্রিয়া:

আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়:

১০ মে ২০২৫

বজ্রপাত থেকে বাঁচার সহজ উপায়: সতর্কতা অবলম্বন করুন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করণীয়

বৃষ্টির সময় বজ্রপাত এক ভয়ানক ঘটনা হতে পারে, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

বজ্রপাত হল একটি আকস্মিক এবং ভয়াবহ ঘটনা যা বৃষ্টির সময় ঘটে। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে, এবং প্রতিবছর প্রায় দেড়শো মানুষ বজ্রপাতের শিকার হয়ে প্রাণ হারান। 

এই সময়গুলোতে সাধারণত পাহাড়ি এবং খোলামাঠ এলাকাগুলিতে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে, এবং গবাদিপশুদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। যদিও বজ্রপাত পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব নয়, তবে কিছু সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করলে প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। 

বজ্রপাত থেকে বাঁচার সহজ উপায়: সতর্কতা অবলম্বন করুন

চলুন জানি বজ্রপাত থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়:

  • বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং বা পাইপ স্পর্শ করবেন না।
  • প্রতিটি ভবনে বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপন করুন।
  • খোলা জায়গায় থাকলে বজ্রপাত শুরু হলে ৫০-১০০ ফুট দূরে সরে যান।
  • নিরাপত্তার জন্য এককক্ষে না থেকে বাড়ির সদস্যদের আলাদা আলাদা কক্ষে অবস্থান করুন।
  • খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না। গাছ থেকে অন্তত ৪ মিটার দূরে থাকুন।
  • ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকুন এবং তারের নিচে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন।
  • বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগ লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন।
  • বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শক থেকে বাঁচানোর মতো চিকিৎসা দিন।
  • এপ্রিল থেকে জুন মাসে বজ্রপাত বেশি ঘটে, তাই এই সময় আকাশে মেঘ দেখলে ঘরের ভেতর অবস্থান করুন।
  • দ্রুত সম্ভব হলে দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
  • বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় না গিয়ে ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
  • কালো মেঘ দেখলে বাইরে বের হওয়ার জন্য প্রয়োজন না হলে জুতা পরেই বের হতে পারবেন।
  • উঁচু গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার বা ধাতব খুঁটি থেকে দূরে থাকুন।
  • বজ্রপাতের সময় প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
  • খোলা জায়গায় বা উঁচু স্থানে বজ্রপাতের সময় অবস্থান করবেন না।
  • কালো মেঘ দেখলে পুকুর বা জলাশয়ের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
  • বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলামাঠে খেলা না দিতে এবং নিজেও বিরত থাকুন।
  • খোলামাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে কান্নাসহ মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
  • গাড়িতে থাকলে, গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
  • মাছ ধরার সময় বজ্রপাত হলে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।

বজ্রপাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন। এই ছোট ছোট সাবধানতা বজ্রপাতের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে।

ভারতে পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ, বিবিসিকে সতর্কবার্তা

বিবিসিকে সতর্কবার্তা

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধি, পাকিস্তানি মিডিয়ার বিরুদ্ধে ভারত নিল নতুন পদক্ষেপ

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ পর্যটক ও একজন কাশ্মীরি নাগরিক নিহত হওয়ার পর। 

ভারতে পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ, বিবিসিকে সতর্কবার্তা


এরই মধ্যে ভারত সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: পাকিস্তান পরিচালিত ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে। এই পদক্ষেপটি ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় নেয়া হয়েছে।

নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলো, যেমন ডন, জিও নিউজ, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, সামা টিভি সহ আরও অনেক চ্যানেল। 

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব চ্যানেল ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে।

ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, এসব চ্যানেল ভারতের সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ভুল এবং উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করছে, যা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। 

পেহেলগাম হামলার পর, যেখানে ২৫ পর্যটক এবং একজন কাশ্মীরি নাগরিক নিহত হন, এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া, ভারত সরকার বিবিসি

কেন নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলি প্রয়োজন ছিল:

কাশ্মীরের বর্তমান উত্তেজনা, বিশেষ করে সাম্প্রতিক হামলার পর, এই অঞ্চলটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার জন্য একটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ভারত সরকার মনে করছে, পাকিস্তানি মিডিয়া চ্যানেলগুলো জনমতের ওপর প্রভাব ফেলছে এবং ভুল তথ্য প্রচার করছে, যা শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য বিপদজনক। 

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত সরকার এমন চ্যানেলগুলোর প্রভাব সীমিত করতে চায়, যাতে কোনও ধরনের সহিংসতা বাড়তে না পারে।

গ্লোবাল মিডিয়াকে ভারতীয় সতর্কতা:

বিবিসিকে দেওয়া সতর্কবার্তা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশ্বব্যাপী মিডিয়া ইস্যুতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। ভারত কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার রিপোর্টিং নিয়ে আরও সাবধানী হয়ে উঠেছে এবং তাদের মতামত অনুযায়ী খবর পরিবেশন নিশ্চিত করতে চাইছে।

ভারত বিদেশী প্রভাব সীমিত করতে এবং কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগ্রহী।

সাদমান-এনামুলের জুটিতে আশার আলো, কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ে দিন শেষ

নিশ্ছিদ্র শুরুর পর পুরোনো ভুলে ফিরল বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দিনের শুরুটা যতটা রঙিন আর আশাব্যঞ্জক ছিল, দিনের শেষটা যেন ততটাই হতাশার। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হকের দারুণ উদ্বোধনী জুটির পরও শেষ সেশনে এসে পুরোনো ব্যাটিং সমস্যা আবারও সামনে চলে এল।

সাদমান-এনামুলের জুটিতে আশার আলো, কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ে দিন শেষ

সকালে বৃষ্টির পর যখন সূর্য উঁকি দিল, তখন মনে হয়েছিল দিনটি হতে পারে বাংলাদেশের। সত্যিই, শুরুটাও ছিল সেই ইঙ্গিতই। সাদমান ইসলাম চার বছর পর ফিরলেন সেঞ্চুরির স্বাদে। ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ১২০ রান করে সাজঘরে ফেরার সময় দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন তাকে। অনেকদিন পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন যেন নতুন উদ্যমে উজ্জীবিত করল তাকে।

তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল হকও ব্যাট হাতে ভালো করেছেন। যদিও ৩৯ রানে থেমে যেতে হয়েছে তাকে, তবে সাদমানের সঙ্গে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে দিয়েছে দৃঢ় ভিত্তি। এই ইনিংস দুটিতে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের।

কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, ততই যেন আগের দিনের পরিচিত ব্যাটিং দুর্বলতা ফিরে এসেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত হঠাৎ করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন, মুশফিকুর রহিম রান নেওয়ার তাড়ায় রানআউট হয়েছেন। এভাবেই শেষ সেশনে হারিয়েছে ৪ উইকেট, যা দিনের রঙটাই বদলে দিয়েছে।

মুশফিকের ইনিংসটাও ছিল আশাব্যঞ্জক—৫৯ বলে ৪০ রান। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় রিস্ক নিয়েই ফিরেছেন। তার এই আউট আরও চাপে ফেলেছে দলকে।

দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। তবে শেষ সেশনের ব্যাটিং ভঙ্গি আবারও চিন্তায় ফেলছে দলকে।

মিরাজ-তাইজুলের ব্যাটেই এখন ভরসা বাংলাদেশের

🏏 মিরাজ-তাইজুলের উপর ভরসা এখন বাংলাদেশের
📅 ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ✍️ ব্লগ ডেস্ক

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ ভাগে হঠাৎ করেই ছন্দপতনে পড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে একসময় বড় লিডের স্বপ্ন ছিল, সেখানে মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে এখন একশোর ঘর ছাড়িয়ে যাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যেই এখন ভরসা দুই ব্যাটার—মেহেদী হাসান মিরাজতাইজুল ইসলাম-এর উপর।

মিরাজ-তাইজুলের ব্যাটেই এখন ভরসা বাংলাদেশের

📌 দুর্দান্ত শুরু, হতাশাজনক শেষ

দিনের শুরুটা হয়েছিল দারুণভাবে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে দারুণ সূচনা করে স্বাগতিকরা। এরপর সাদমান ইসলাম ও এনামুল হকের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১১৮ রান। দীর্ঘ ৩৩ ইনিংস পর ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি পেয়ে স্বস্তিতে ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।

সাদমান তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি—১২০ রানের ইনিংসটি ছিল দায়িত্বশীল ও ধৈর্যশীল। শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের জুটিও গড়েছিল রান। কিন্তু শেষ সেশনে হঠাৎ ধস নামে। ২৫৯ রানে ৩ উইকেট থেকে নেমে যায় ২৭৯ রানে ৭ উইকেট! দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯১/৭—লিড মাত্র ৬৪ রানের।

🙌 এখন ভরসা শেষ স্বীকৃত ব্যাটারদের ওপর

ক্রিজে আছেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ড্রেসিংরুমে রয়েছেন কেবল দুই টেলএন্ডার—তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আশার আলো হয়ে আছেন মিরাজ-তাইজুল।

“আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম, ইনিংসটা আরও বড় হতে পারত। তবে এখনও মিরাজ আছেন, তাইজুল ভাই আছেন। ইনশাল্লাহ যদি একটা ভালো জুটি হয়, আমরা আবার ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারব।” — সাদমান ইসলাম, সংবাদ সম্মেলনে

🛡️ আগেও প্রমাণ রেখেছেন মিরাজ-তাইজুল

গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টেও এই দুজনের ব্যাটে এসেছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। মিরাজ ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক উন্নতি করছেন, আর তাইজুল মাঝেমধ্যেই ব্যাট হাতে দলের প্রয়োজনে ভরসা হয়ে উঠেছেন। তাই এবারও দল তাকিয়ে আছে এই জুটির দিকেই।

🎯 লক্ষ্য: লিড যেন একশো ছাড়ায়

সাদমান জানিয়েছেন, দল অন্তত ৪০ রানের জুটি চায় এই দুই ব্যাটারের কাছ থেকে। তাহলে লিড একশো ছাড়াবে এবং ম্যাচের রাশ আবার বাংলাদেশ নিজেদের হাতে নিতে পারবে।

“শেষ দিকে আমরা তিনটা উইকেট একটু বেশি হারিয়েছি। যদি না হারাতাম, লিডটা একশো ছাড়িয়ে যেত। তবু মিরাজ আর তাইজুল ভাই যদি ভালো পার্টনারশিপ গড়তে পারে, আমরা ভালো অবস্থানে থাকব।” — সাদমান ইসলাম

❓ আপনার মতামত

আপনার কি মনে হয়, মিরাজ-তাইজুল জুটি লিড একশো ছাড়িয়ে নিতে পারবে?

মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না 👇

একশোর বেশি লিডের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ম্যাচে টিকে থাকার প্রত্যয়ে জিম্বাবুয়ে

🏏ম্যাচে টিকে থাকার প্রত্যয়ে জিম্বাবুয়ে
📅 ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ✍️ ব্লগ নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক বাংলাদেশের জন্য, কিন্তু দিনশেষে সেই আশা অনেকটাই মলিন হয়ে গেছে। একদিকে উদ্ভোধনী জুটির শতরান ও মধ্যভাগের কয়েকটি ভালো জুটি গড়ার পরও, শেষ সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ে বড় লিডের স্বপ্ন অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। তবে আপাতত লক্ষ্য একটাই—লিডটা একশোর গণ্ডিতে পৌঁছানো।

একশোর বেশি লিডের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ম্যাচে টিকে থাকার প্রত্যয়ে জিম্বাবুয়ে

### 🔥 ২২৭ রানে অল আউট জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অল আউট হওয়ায়, বাংলাদেশের জন্য তা স্পষ্ট চাপ তৈরি করেছিল। এরপর সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হক-এর ব্যাটে আসে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। জুটি ভাঙার পরও থামেনি সাদমান, মুমিনুল হকের সঙ্গে আরও একটি ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই আউট হয়ে যান সাদমান, তবে ব্যাটিংয়ে দেখিয়েছেন তার শৃঙ্খলা এবং ধৈর্য।

### ⚡ বিপর্যয় শেষে শঙ্কা তবে চা বিরতির পর হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে। শান্ত-মুশফিকের ৬৫ রানের পার্টনারশিপের পর একে একে ধসে পড়ে মিডল অর্ডার। একসময় স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২৫৯, কিন্তু কয়েকটি ওভারের মধ্যে দাঁড়িয়ে যায় ৭ উইকেটে ২৭৯। দিনশেষে ২৯১ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ, যা ৬৪ রানের ছোট লিডের সাথে। বাকি ৩ উইকেট এখনও হাতে আছে।

### 💬 সাদমানের মন্তব্য দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম বলেন,

“আমাদের চেষ্টার থাকবে লিডটাকে একশোর ওপরে নেওয়ার। মিরাজ ভাই আর তাইজুল ভাই আছেন, যদি একটি ভালো জুটি হয়, তাহলে আমরা অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ভাল অবস্থানে ছিলাম, কিন্তু তারপরও কিছু পিছিয়ে গেছি। তবে যেটুকু হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট। আশা করি, কাল মিরাজ ভালো ব্যাটিং করলে আবার এগিয়ে যাব।”

### 🚨 জিম্বাবুয়ের প্রত্যয় অন্যদিকে, শেষ সেশনে উইকেট তুলে নেয়ার মাধ্যমে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। অভিষিক্ত স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেজা, যিনি ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন, জানালেন তারা এখনো লড়াইয়ে আছেন।

“বাংলাদেশ ভালো খেলেছে, কিন্তু আমরা এখনও ম্যাচে আছি। কালকের দিনটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নামব।”

### 🏁 চট্টগ্রাম টেস্টের টার্নিং পয়েন্ট সব মিলিয়ে, চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের সকাল হতে পারে এক টার্নিং পয়েন্ট—বাংলাদেশ পাবে বড় লিড, নাকি জিম্বাবুয়ে তাড়াতাড়ি তুলে নেবে বাকি উইকেটগুলো?

🔎 আপনার মতামত:

শেষ ব্যাটারদের জুটিতে ৩৬ রানের অতিরিক্ত লিড পাওয়া সম্ভব কি?

আপনার মতামত জানাতে মন্তব্য করুন নিচে 👇

নিজের অবস্থান জানালেন উমা মা ফাতেমা

📰 “এনসিপিতে নেই”—আবারও নিজের অবস্থান জানালেন উমা মা ফাতেমা
📅 ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ✍️ ব্লগ নিউজ ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ উমা মা ফাতেমা ফের জানালেন, তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত নন। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে তিনি বিষয়টি সরাসরি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

“এনসিপিতে নেই”—আবারও নিজের অবস্থান জানালেন উমা মা ফাতেমা

উমা মা লেখেন—

“আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সাথে সম্পৃক্ত নই। আমার অনেক পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এই দলটির সাথে যুক্ত। তবে ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এনসিপি-সংক্রান্ত পরামর্শ, সাংগঠনিক আলাপ বা প্রস্তাব আমার কাছে না আনার অনুরোধ করছি। এতে আপনার, আমার—দুজনেরই সময় বাঁচবে।”

📌 আগেও জানিয়েছিলেন অবস্থান

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার অংশগ্রহণে গঠিত হয় এনসিপি। তবে উমা মা তখন থেকেই দলটির বাইরে রয়েছেন। যদিও তখনও তিনি ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র।

তবে এটি নতুন কিছু নয়—উমা মা আগেও জানিয়েছিলেন, তিনি এনসিপিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন “জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখার লক্ষ্যে”। তিনি এখনও সেই অবস্থানেই অনড় আছেন। বলেন, “আমি এখনো জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহতদের নিয়ে কাজ করছি। 'Empowering Our Fighters' নামের একটি প্ল্যাটফর্ম চালাচ্ছি।”

📣 বিভ্রান্তি দূর করতেই পোস্ট

নতুন করে পোস্ট দেওয়ার পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন:

“অনেকেই আমাকে এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে দেখেন, মতামত দেন, এমনকি কেউ কেউ তাদের কোনো উদ্যোগে এনসিপি নেতৃত্বের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করতে চান। আমি যখন বলি, আমি ওখানে নেই, তখন বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তাই বিষয়টা খোলাসা করলাম।”

তিনি আরও জানান, কিছু মহল বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও এনসিপির ছায়া সংগঠন হিসেবে চালাতে চাইছে—এটি তার কাছে “গ্রহণযোগ্য নয়”।

এর আগেও রমজান মাসে সামাজিক মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন উমা মা। এবার তার বার্তা আরও সরাসরি—“রাজনীতিতে থাকলেও পথ আলাদা, আর এনসিপির সঙ্গে নেই।”


🗣️ আপনার মতামত

উমা মা ফাতেমার মতো নেতৃত্ব ছাড়া এনসিপি কি আদর্শিক ভিত্তি ধরে রাখতে পারবে?
আপনার মতামত জানাতে মন্তব্য করুন নিচে 👇

জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই —উমা মা ফাতেমা স্পষ্ট করলেন অবস্থান

📰 “জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই”—উমা মা ফাতেমা স্পষ্ট করলেন অবস্থান
🗓️ ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ✍️ রিপোর্ট: ব্লগ ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই নিজের অবস্থান আবারো স্পষ্ট করলেন উমা মা ফাতেমা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই মুখপাত্র সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, “আমি এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই”।

জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই —উমা মা ফাতেমা স্পষ্ট করলেন অবস্থান

তিনি লেখেন—

“সবার উদ্দেশ্যে একটি ছোট ঘোষণা—আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমার অনেক পরিচিত এই দলটির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, ব্যক্তিগতভাবে আমি এর সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নই। তাই এনসিপি-সংক্রান্ত পরামর্শ, সাংগঠনিক আলোচনা কিংবা কোনো প্রস্তাব আমার কাছে না দেওয়ার অনুরোধ রইল। এতে করে আপনার, আমার—দুজনেরই সময় বাঁচবে।”

এর আগেও উমা মা ফাতেমা এনসিপির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক না থাকার কথা একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার কারণে তাকে আবারও মুখ খুলতে হলো।

📌 সরাসরি আহ্বান বিভ্রান্তি বন্ধের

এই পোস্টে তিনি আরও যোগ করেন, কেউ যেন ভবিষ্যতে তাকে এনসিপি প্রসঙ্গে বিভ্রান্ত না করে। তার ভাষায়, “বারবার একই ব্যাখ্যা দিতে হয়—এটা কষ্টদায়ক ও সময়ের অপচয়।”


📢 আপনার মতামত

আপনি কী মনে করেন, নেতিবাচক গুজব মোকাবিলায় জনপ্রিয় মুখগুলোকে কেমনভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়া উচিত? নিচে কমেন্টে আপনার মতামত জানান।

টস হেরে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করলো বাংলাদেশ, অভিষেক তানজিম-সাকিবের

🏏অভিষেক তানজিম-সাকিবের

বাংলাদেশের সামনে একমাত্র লক্ষ্য—সিরিজে টিকে থাকতে জয়। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই আজ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুরু হলো দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট, তবে শুরুটা হলো টস হেরে। প্রথমে ব্যাট করছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে

অভিষেক তানজিম-সাকিবের


এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে এসেছে তিনটি পরিবর্তন, যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো তানজিম হাসান সাকিবের টেস্ট অভিষেক। সাদা পোশাকে তার প্রথমবার মাঠে নামা নিঃসন্দেহে এক বড় উপলক্ষ। গতির পাশাপাশি নিচের দিকের ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণে তাকেই পছন্দ করেছেন কোচ ফিল সিমন্স।

🔁 একাদশে আরও পরিবর্তন

  • তিন বছর পর জাতীয় টেস্ট দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়, বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
  • স্পিনার নাঈম হাসান এসেছেন, কারণ পিএসএলে খেলতে গিয়ে ফিরে গেছেন পেসার নাহিদ রানা।

বিজয় সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন—৮৭৪ রান ও ৪টি সেঞ্চুরি তাঁর পারফরম্যান্সকে যুক্ত করেছে এক নতুন মাত্রা।

🇿🇼 জিম্বাবুয়েও এনেছে পরিবর্তন

সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দলে এসেছে দুটি পরিবর্তন:

  • নিয়াশা মায়াভু বাদ, উইকেটরক্ষক হিসেবে এসেছেন টাফাডজো ওয়াসিগা
  • পেসার নিয়াউচির বদলে অভিষেক হচ্ছে লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেজা-এর

🔎 এক নজরে দুই দলের একাদশ

🇧🇩 বাংলাদেশ:

  • এনামুল হক বিজয়
  • সাদমান ইসলাম
  • মুমিনুল হক
  • নাজমুল হোসেন শান্ত
  • মুশফিকুর রহিম
  • জাকের আলি অনিক
  • মেহেদী হাসান মিরাজ
  • নাঈম হাসান
  • তাইজুল ইসলাম
  • তানজিম হাসান সাকিব
  • হাসান মাহমুদ

🇿🇼 জিম্বাবুয়ে:

  • ব্রায়ান বেনেট
  • বেন কারান
  • নিক ওয়েলেচ
  • ক্রেইগ আরভিন
  • শন উইলিয়ামস
  • ওয়েসলি মাধভেরে
  • ভিনসেন্ট মাসেকেজা
  • ওয়েলিংটন মাসাকাদজা
  • টাফাডজো ওয়াসিগা
  • রিচার্ড এনগারাভা
  • ব্লেসিং মুজারাবানি

🎯 প্রশ্ন রইলো আপনার জন্য:

জিম্বাবুয়ের শক্তিশালী টপ অর্ডার প্রথম ইনিংসে কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বাংলাদেশের নতুন বোলিং লাইনআপের জন্য?

মন্তব্যে আপনার বিশ্লেষণ জানান!

মহাকাশে নেতৃত্ব হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

নাসার বাজেট কাটছাঁট

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁটে মঙ্গলগ্রহ অভিযান বাতিল এবং মিশন পরিচালনার বাজেট প্রায় ২০% কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

মহাকাশে নেতৃত্ব হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

এই প্রেক্ষাপটে নাসার প্রধান বিজ্ঞানীর পদত্যাগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে—নাসা কি তাহলে মহাকাশে নেতৃত্ব হারাতে চলেছে?

🚀 চীনের দিকেই কি ঝুঁকছে নেতৃত্ব?

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম South China Morning Post জানায়, বর্তমানে তিয়ানওয়েন-৩ মিশনের মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহ থেকে ৬০০ গ্রাম পাথর ও মাটি পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনায় এগিয়ে চলছে চীন। এই মিশনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরও আহ্বান জানিয়েছে তারা।

“যুক্তরাষ্ট্র যখন বৈশ্বিক নেতৃত্বে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তখন মহাকাশ খাতে তারা সেই নেতৃত্ব হারাচ্ছে।” — চিয়েন ইউকি, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়

📅 চীনের সুস্পষ্ট মহাকাশ রোডম্যাপ

  • ২০৩৭ সালের মধ্যে মঙ্গলে ঘাঁটির সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত
  • ২০৪১ সালের মধ্যে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ
  • ২০৪৩ সালের মধ্যে মঙ্গল-পৃথিবী কার্গো পরিবহন চালু

তারা পাশাপাশি পারমাণবিক প্রপালশন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে, যা ভবিষ্যতের গভীর মহাকাশ যাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

🚨 নাসার প্রকল্প বন্ধের আশঙ্কা

ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ ও একটি ভেনাস মিশনও বাতিলের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি, গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার—যেখানে প্রায় ১০,০০০ কর্মী কাজ করেন—সেটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ইলন মাস্ক বলেছেন, “আমি বিজ্ঞানের পক্ষে, কিন্তু নাসার বাজেট আলোচনায় অংশ নিতে পারি না, কারণ স্পেসএক্স নাসার ঠিকাদার।”

🌐 মহাকাশ নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ?

এই পরিস্থিতি শুধু মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে কারা মহাকাশের নেতৃত্বে থাকবে—এই প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।

🗣️ আপনার মতামত

আপনি কী মনে করেন? যুক্তরাষ্ট্রের পিছু হটা এবং চীনের অগ্রগতি ভবিষ্যতের বৈশ্বিক ভারসাম্যে কী প্রভাব ফেলবে? নিচে কমেন্টে আপনার মত জানান।

মাটি ছাড়াই সবজির চারা উৎপাদনে সফল টাইটান এগ্রো, ঝিনাইদহের কৃষকদের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:

কৃষিতে আসছে প্রযুক্তির নতুন ছোঁয়া। ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বাজারের পাশে 'টাইটান এগ্রো' নামের একটি নার্সারিতে মাটিবিহীন পদ্ধতিতে উৎপাদন হচ্ছে উন্নতমানের সবজির চারা—তাও আবার বিশাল পরিসরে। শুধু নিজের ব্যবসা নয়, আশপাশের শত শত কৃষকও এই চারার মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন।

মাটি ছাড়াই সবজির চারা উৎপাদনে সফল টাইটান এগ্রো, ঝিনাইদহের কৃষকদের মুখে হাসি

কোকোপিট প্রযুক্তির চমক

এই আধুনিক প্রযুক্তিতে মাটি নয়, চারা জন্মাচ্ছে কোকোপিটে—যা তৈরি হয় নারিকেলের ছোবড়া, জৈব সার এবং জীবাণুমুক্ত পরিবেশের সমন্বয়ে। ফলে নেই পোকামাকড় বা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি, চারা হয় সবল ও সমানতালে বড় হওয়া নিশ্চিত।

টাইটান এগ্রোর পলিনেট হাউজে সারিবদ্ধভাবে প্লাস্টিক ট্রেতে জন্ম নিচ্ছে টমেটো, মরিচ, বেগুন, ব্রকলি, লেটুসপাতা, পেঁপে, ফুলকপি, গাজরসহ প্রায় ১৫-২০ ধরনের সবজির চারা।

করোনা থেকেই শুরু, আজ লাখ টাকার ব্যবসা

২০২১ সালের করোনা মহামারিতে সব কিছু থমকে যাওয়ার পর কৃষিকাজে ঝুঁকেন উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান। ভালো চারার অভাবে তিনি নিজেই উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ৫ হাজার চারার সক্ষমতা নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ৩ লাখ চারা উৎপাদন করছে টাইটান এগ্রো, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা।

সাইদুর রহমান বলেন:
“ভালো ফসলের জন্য ভালো চারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই দায়িত্বটা নিচ্ছি, যাতে কৃষকদের সময় ও খরচ দুটোই বাঁচে।”

কৃষকের আস্থা, শ্রমিকের কর্মসংস্থান

চারা কিনতে আসা কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, “ভালো মানের চারা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে এখানে। তাই আমি এখন শুধু এখান থেকেই চারা সংগ্রহ করি।”

আরেক কৃষক সজিব হাসান জানান, “বাজারে ভালো বীজও পাওয়া যায় না অনেক সময়। কিন্তু এখানে কম দামে উন্নত মানের চারা পাওয়া যাচ্ছে।”

বর্তমানে নার্সারিতে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের আয় মাসে ১৮-২০ হাজার টাকা।

কৃষি বিভাগের স্বীকৃতি

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বলেন, “এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের ফলে পোকামাকড় কম এবং ফলন বেশি হচ্ছে। আমরা কৃষকদের মধ্যে এই আধুনিক পদ্ধতির প্রচার করছি।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, কোকোপিট প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়লে দেশের কৃষিতে আসবে বড় পরিবর্তন।

নড়াইলে এক দশক ধরে অচল সেচপাম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ একর জমি

১০ বছরেও চালু হয়নি নড়াইলের সেচপাম্প, চরম বিপাকে কৃষকরা

নড়াইল প্রতিনিধিঃ
এক সময় যেটা ছিল কৃষকদের জন্য আর্শীবাদ, এখন সেটাই হয়ে উঠেছে দুর্ভোগের কারণ। নড়াইলের কমলাপুর ও গন্ধবখালী এলাকায় থাকা দুটি সেচপাম্প গত ১০ বছর ধরে অচল। ফলে প্রায় ৫৪০ একর কৃষিজমিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকদের এখন চড়া দামে বিকল্প উপায়ে পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে—যা সরাসরি তাদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

নড়াইলে এক দশক ধরে অচল সেচপাম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ একর জমি

এই পাম্প দুটোর মাধ্যমে একসময় সরাসরি নদী থেকে জমিতে পানি সরবরাহ করা হতো। এতে করে কম খরচে তিনটি মৌসুমি ফসল উৎপাদন সম্ভব হতো। কিন্তু গত এক দশকে এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন দারুণ চাপে।

“৯-১০ বছর আগে বিনা খরচে পানি পেতাম সেচপ্রকল্প থেকে। পরে বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে টাকা নেওয়া শুরু হলো। হঠাৎই শুনি বিশাল অঙ্কের বকেয়া, তারপর থেকেই পাম্প অচল। এখন এক কানি জমিতে সেচ দিতে ১০০ টাকা খরচ হয়।”
চুন্নু গাজী, কৃষক, কমলাপুর

“আমার ৯০ শতক জমিতে ধান চাষ করছি। আগে পাম্প থেকে পানি পেলে খরচ অনেক কম পড়ত। এখন শ্যালো মেশিনে পানি তুলতে গিয়ে ডিজেল খরচে মাথায় হাত।”
টুটুল মোল্যা, কৃষক, নাকশিগ্রাম

কেন বন্ধ হয়ে আছে পাম্প?

১৯৮৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাম্প দুটি স্থাপন করা হয়। লক্ষ্য ছিল কৃষকদের স্বল্প খরচে পানি সরবরাহ করা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পাম্প দুটি অকেজো হয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে পাম্প মেরামতের জন্য ৩৫ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।

কী বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড?

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন,
“সেচপাম্পগুলো চালু করতে আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। বাজেট বরাদ্দ পেলেই দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে।”

রসে টইটম্বুর পাহাড়ি আনারস: সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

শেরপুরের গারো পাহাড়ে কৃষিতে খুলেছে সম্ভাবনার নতুন এক দরজা—আনারস চাষ। বন্য হাতির আক্রমণে ধানসহ অন্যান্য ফসল বারবার নষ্ট হওয়ায় বিকল্প খুঁজতে কৃষকরা এখন ঝুঁকছেন জলডুবি জাতের আনারসের দিকে। রসালো ও সুস্বাদু এই আনারস স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জেলাতেও।


রসে টইটম্বুর পাহাড়ি আনারস: সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের কৃষক জমশন ম্রং জানান, চট্টগ্রাম থেকে এনে তিনি ২০ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন, যাতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আশাবাদী, এবার দ্বিগুণ লাভ হবে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আনারস চাষ করবেন।

একই এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা আশরাফুল আলম জানান, তিনি আট একর জমিতে দ্বিতীয় বারের মতো আনারসের আবাদ করছেন। এবার দুই লাখ চারা রোপণে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। তিনি বলেন, "ধান বা অন্যান্য ফসল হাতির আক্রমণে নষ্ট হলেও আনারস তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও বেশি লাভজনক। গতবারের মতো এবারও ভালো মুনাফার আশা করছি।"

চাষি সুব্রত জানান, তিনি গত দুই বছর ধরে জলডুবি জাতের আনারস চাষ করছেন। আগেরবার দারুণ ফলন পেয়েছেন, এবারও একই সাফল্যের প্রত্যাশা করছেন। আনারস চাষের কারণে কৃষকের পাশাপাশি অনেক শ্রমিকেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা এই পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে এনেছে।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, গারো পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া আনারস চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ঝিনাইগাতীর সাফল্য দেখে এখন নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীতেও এই চাষ ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, "সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো এবং বন্য হাতির আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া গেলে শেরপুর অঞ্চল খুব দ্রুত দেশের অন্যতম প্রধান আনারস উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে।"

বেগুনিরঙের ধান চাষে সাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমেছে কৌতূহলী দর্শনার্থীর ভিড়

সবুজ মাঠের ভেতর বেগুনিরঙা ধান! চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এমন চিত্র দেখে বিস্মিত অনেকেই ছুটে আসছেন কৃষক মো. রবিউল ইসলামের খেতে। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ শুধু মানুষকে আকর্ষণই করেনি, বরং স্থানীয় কৃষকদের মাঝেও আগ্রহের ঢেউ তুলেছে।

বেগুনিরঙের ধান চাষে সাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমেছে কৌতূহলী দর্শনার্থীর ভিড়


রবিউল ইসলাম প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন ‘পার্পল লিফ রাইস’ নামের এক বিশেষ ধান, যার গাছের পাতা বেগুনি, ধান সোনালি, আর চালও বেগুনিরঙা! গাইবান্ধা থেকে সংগ্রহ করা এই জাত আগে দেশে খুব একটা দেখা যায়নি। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম, আর ফলনও বেশ ভালো—একরে ৫৫-৬০ মণ পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি জানান, ইউটিউবে ধানটির ভিডিও দেখে আগ্রহ জন্মায়, পরে অনলাইনে ৩০০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি বীজ কিনে চারা রোপণ করেন। “রঙ, সৌন্দর্য আর ফলন—সবকিছুতেই আমি সন্তুষ্ট,” বলেন রবিউল। তাঁর পরিকল্পনা, ফলন ভালো হলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষ করবেন।

প্রতিদিন আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই ধান দেখতে আসছেন। কেউ বলছেন, “এমন ধান আগে কখনো দেখিনি।” কেউ আবার নিজেও আগামী মৌসুমে এই ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, “এই ব্যতিক্রমী ধানের মাঠ আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। ফলন ভালো হলে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে এই ধান ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”

এই ধানকে কেউ কেউ আদর করে ‘দুলালি সুন্দরী’ নামেও ডাকছেন।

কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল:

ফল, সবজি ও মসলা—এ ধরনের কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত দিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীনেতারা। অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ

রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। সভায় অংশ নেন ভুটানের রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচার মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিসের আঞ্চলিক পরিচালক মি. দাওয়া ডাকপা, ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর (বাণিজ্য) মি. দাওয়া শেরিং এবং এফবিসিসিআইয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি

বৈঠকে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরবরাহ চেইন শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, এবং অ্যাগ্রোফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএম আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।


কাশ্মিরে ফের উত্তেজনা: এলওসি-তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি

🔴 পেহেলগামে পর্যটক হত্যার পর নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি দুই দেশের বাহিনী, বন্ধ হচ্ছে সীমান্ত ও কূটনৈতিক সুবিধা

পেহেলগামে পর্যটক হত্যার পর নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি দুই দেশের বাহিনী, বন্ধ হচ্ছে সীমান্ত ও কূটনৈতিক সুবিধা

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। এই উত্তেজনার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দু’দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় সেনা চৌকির দিকে গুলি ছোড়ে পাকিস্তানি সেনারা। 

এর পাল্টা জবাবে ভারতীয় বাহিনীও গুলিবর্ষণ করে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে কিছু এলাকায় গুলি চালানো হয়েছিল, যার যথাযথ জবাব দেওয়া হয়েছে।”

এর আগে কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা, সামরিক কর্মকর্তাদের বহিষ্কার, বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানও দ্বিপাক্ষিক সব চুক্তি স্থগিত করে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

গরমে স্বস্তি ও সতেজতার প্রাকৃতিক সমাধান: প্রতিদিন সকালে খান কিশমিশ ভেজানো পানি

গরমে স্বস্তি ও সতেজতার প্রাকৃতিক সমাধান: প্রতিদিন সকালে খান কিশমিশ ভেজানো পানি

গরমে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে: প্রতিদিন সকালে খান কিশমিশ ভেজানো পানি

গ্রীষ্মকালে শরীরকে হাইড্রেটেড ও সতেজ রাখতে চাইলে কিশমিশ ভেজানো পানি হতে পারে একটি সহজ ও কার্যকর সমাধান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে শরীর পায় প্রাকৃতিক শক্তি, হজমে সহায়তা ও ক্লান্তি দূরীকরণে সাহায্য।

প্রস্তুত প্রণালী:

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে ৮-১০টি কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করুন এবং ভেজানো কিশমিশগুলো চিবিয়ে খান।

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  • শক্তি বৃদ্ধি: কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও খনিজ পদার্থ শরীরে শক্তি জোগায়।

  • হজমে সহায়তা: হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।

  • ডিটক্সিফিকেশন: লিভার ও কিডনিকে ডিটক্স করতে সহায়তা করে।

  • পেশি ও স্নায়ু কার্যকারিতা: পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পেশি ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ায়।

  • রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: আয়রন রক্তস্বল্পতা রোধে সহায়ক।

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কোষকে রক্ষা করে।

সতর্কতা:

ডায়াবেটিস বা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এই অভ্যাস গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

স্বাস্থ্য টিপস:

  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করুন।

  • গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

  • সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন।

কিশমিশ ভেজানো পানি গরমের দিনে শরীরকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে একটি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়। প্রতিদিনের রুটিনে এটি অন্তর্ভুক্ত করে আপনি গরমের ক্লান্তি কাটিয়ে সুস্থ ও সতেজ থাকতে পারেন।

Popular News

Categories