বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া ইসলাম শনিবার (২৬ এপ্রিল) এই খবর নিশ্চিত করেন।
কী ঘটেছিল?
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল এনায়েতপুর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার সময় কিছু সহপাঠী ইমনের খাতা দেখতে চান। কিন্তু ইমন রাজি হননি। পরদিন, ১৮ এপ্রিল, দৌলতপুর নতুন পাড়ায় তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। এ সময় ইমনের মাথার বাম পাশে খুলি ভেঙে যায়। প্রথমে তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
পরিবারের বক্তব্য
ইমনের পরিবার জানিয়েছে, গত বুধবার তাকে ঢাকা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়, সেখানে তিনি মারা যান।
ইমনের বাবা এমদাদুল মোল্লা অভিযোগ করেছেন যে, এই মারধরের আট দিন পরও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ এম. মনসুর আলী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মূল ঘটনা বেলকুচি থানার আওতাভুক্ত, তাই সেখানে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বেলকুচি থানার ওসি জাকেরিয়া ইসলাম বলেছেন, এনায়েতপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছে। নিহতের পরিবার থানায় এসে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হওয়ার পর আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা, যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার নিরাপত্তা এবং ছাত্রদের সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে।