Tuesday, May 20, 2025

মহেশখালীতে সৌদি রিফাইনারি: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ইতিহাস গড়ার পথে

সৌদি বিনিয়োগে মহেশখালীতে বিশাল তেল রিফাইনারি: বদলে যাবে বাংলাদেশের জ্বালানি খাত?

বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি জায়ান্ট Saudi Aramco চট্টগ্রামের মহেশখালীতে একটি অত্যাধুনিক তেল পরিশোধনাগার স্থাপনে আলোচনায় বসেছে। সফল হলে এটি হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক বিনিয়োগগুলোর একটি।

মহেশখালী রিফাইনারি চিত্র

বাংলাদেশে বর্তমানে বার্ষিক ৬০ লাখ টন তেলের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু ইস্টার্ন রিফাইনারি পারছে মাত্র ১৫ লাখ টন পরিশোধন করতে। ফলে প্রতিবছর ৪৫ লাখ টন তেল আমদানিতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়।

Saudi Aramco ২০১৯ সাল থেকেই মহেশখালীতে একটি রিফাইনারি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করে, যার পরিশোধন ক্ষমতা হবে বছরে ৩-৬ মিলিয়ন টন। বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ২০-৩০ বিলিয়ন ডলার।

জ্বালানি খাতে সম্ভাব্য লাভ

  • প্রতি বছর ৫,০০০+ কোটি টাকার তেল আমদানির খরচ কমবে
  • ৪,০০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়
  • ৬,০০০ নতুন স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ
  • মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার আরও সক্ষম হবে
  • স্থানীয় জ্বালানি শিল্পে বড় উন্নয়ন

যদি সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়, তাহলে ২০২৫ সালের মধ্যেই ফিনান্সিয়াল ক্লোজিং হবে। এরপর মহেশখালী হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রিফাইনারি হাব।


#মহেশখালী_রিফাইনারি #SaudiAramco_Bangladesh #বাংলাদেশ_জ্বালানি_স্বাধীনতা #তেল_পরিশোধনাগার #বৈদেশিক_বিনিয়োগ #Maheshkhali_oil_project

স্কুবা ডাইভিংয়ের সূচনা কি আসলে ৩,০০০ বছর আগেই হয়েছিল? অ্যাসিরীয়দের প্রযুক্তির চমক

প্রাচীন অ্যাসিরীয়দের ‘স্কুবা ডাইভিং’: ৩,০০০ বছর আগেই পানির নিচে নিঃশ্বাস নেওয়ার চমকপ্রদ উদ্ভাবন!

প্রাচীন অ্যাসিরীয় ফলক

আজকের আধুনিক স্কুবা ডাইভিং প্রযুক্তি দেখে অনেকেই ভাবেন, পানির নিচে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা হয়তো আধুনিক বিজ্ঞানের দান। কিন্তু ইতিহাস বলছে ভিন্ন কথা! প্রায় ৩,০০০ বছর আগে, প্রাচীন অ্যাসিরীয় সভ্যতার যোদ্ধারাই যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করত এক ধরনের প্রাথমিক ‘স্কুবা গিয়ার’—তা-ও ছাগলের চামড়ায় তৈরি!

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি মাটির ফলকে দেখা যায়, এক অ্যাসিরীয় সৈনিক ডুবসাঁতার দিচ্ছেন, আর তার শরীরে বাঁধা রয়েছে এক ধরনের ফোলানো থলে। গবেষকদের ধারণা, ছাগলের চামড়ায় তৈরি এই থলেটি তার জন্য কাজ করত ভাসমান বয়া এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার উপকরণ হিসেবে। অর্থাৎ, এই থলের মাধ্যমে সৈনিকটি দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকতে পারতেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শ্বাস নিতে পারতেন।

অ্যাসিরীয় যুদ্ধ কৌশলের প্রাচীন চিত্র

এই অসাধারণ ফলকটি খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতাব্দীর, এবং বর্তমানে এটি সংরক্ষিত আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। প্রাচীন অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য কেবল অস্ত্র বা সেনাবাহিনীর জোরে নয়, বরং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কৌশলের মাধ্যমেও তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। শত্রুর চোখ ফাঁকি দিতে সৈন্যদের এভাবেই নদীর নিচ দিয়ে পাঠানো হতো—এক অভাবনীয় কৌশল।

এই ঐতিহাসিক উদাহরণটি প্রমাণ করে যে প্রাচীন প্রযুক্তি ও সামরিক কৌশল আজকের আধুনিক প্রযুক্তির অনেক ভিত্তিই স্থাপন করে দিয়েছে।


🔑 কীওয়ার্ড: প্রাচীন স্কুবা ডাইভিং, অ্যাসিরীয় সভ্যতা, পানির নিচে নিঃশ্বাস, প্রাচীন যুদ্ধ কৌশল, ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ইতিহাসের অজানা তথ্য, প্রাচীন প্রযুক্তি, Assyrian underwater tactics

🏷️ ট্যাগ: #ইতিহাস #প্রাচীনপ্রযুক্তি #স্কুবাডাইভিং #অ্যাসিরীয়সভ্যতা #ব্রিটিশমিউজিয়াম #UnderwaterHistory #AncientTechnology #MilitaryTactics

Popular News

Categories