রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রী চেম্বার বিতর্ক: ভিডিও, ব্ল্যাকমেইল ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
শিক্ষক বলছেন ব্ল্যাকমেইলের শিকার, শিক্ষার্থী বলছেন ভয়েই লুকিয়েছিলাম
লিখেছেন: ১৮ মে ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর চেম্বারে এক ছাত্রীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার ঘটনা এখন দেশের শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের মুখে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।
📌 ঘটনাটির শিক্ষকীয় ব্যাখ্যা
হেদায়েত উল্লাহ জানান, ১১ মে বিকেলে এক ছাত্রী তার চেম্বারে এসেছিল শুধু পড়া বুঝতে। কিছুক্ষণ পর চারজন যুবক হঠাৎ চেম্বারে ঢুকে পড়ে। তাদের মধ্যে ছিলেন আইন বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব এবং আরও তিনজন, যারা নিজেদের সাংবাদিক ও ক্যাম্পাস সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দেন।
তার অভিযোগ অনুযায়ী, তারা ভয়ভীতি দেখায়, ছাত্রীকে হেনস্তা করে এবং ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে। প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়, পরে তিনি এক লাখ টাকা দেন এবং পরদিন আরও দুই লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। মোট তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায়ের দাবি করেন তিনি।
👩 ছাত্রীর বক্তব্য
ঘটনার জেরে আলোচনার মুখে থাকা ছাত্রী বলেন, “পরীক্ষা সামনে থাকায় আমি স্যারের কাছে পড়া বুঝতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কিছু ছেলে রুমে ঢুকে বাজে আচরণ করে, ওড়না টেনে ফেলে দেয়, ধর্ষণের হুমকি দেয়।”
তিনি জানান, ভয়ে তিনি টেবিলের নিচে লুকিয়ে পড়েন। পরে শিক্ষক তাকে বাইরে যেতে বলেন এবং তার নিরাপত্তার জন্য অর্থ দিয়ে দেন।
🧑💼 অভিযুক্ত সাংবাদিকদের পাল্টা বক্তব্য
অভিযুক্ত সাংবাদিকরা বলেন, তারা প্রক্টরের মৌখিক অনুমতি নিয়ে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর চেম্বারে যান। সেখানে গিয়ে রুমের লাইট ও দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। নক করলে শিক্ষক নিজেই দরজা খুলে দেন।
রুমে ঢুকে তারা ছাত্রীকে টেবিলের নিচে লুকিয়ে থাকতে দেখেন। ছাত্রী ও শিক্ষকের অনুরোধে ভিডিও প্রকাশ না করলেও পরে সেটি ভাইরাল হয়।
📢 শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
ভিডিও ভাইরালের পর ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন এবং হেদায়েত উল্লাহর বহিষ্কারের দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
0 comments:
Post a Comment