😢 সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে সহপাঠীর নির্মম হত্যা আমাদের সমাজের ভয়ংকর বাস্তবতা তুলে ধরে। শিশু সহিংসতা রোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান।

একটু নড়ে চড়ে বসুন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথেই নিজেদের পরিবর্তন করে ফেলুন। এই বাচ্চা গুলো সহপাঠীর হত্যাকারী! এত হিংস্রতা তাঁরা পেল কোথা থেকে? একদিনে তো এমন হওয়ার কথা নয়। পরিবার ও সমাজ তাঁদের মানবিকতার শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
নিউজটা চোখের সামনে বার বার আসছে, কিন্তু স্ক্রল করে এড়িয়ে যাচ্ছি ভয়ে, আতঙ্কে। চাইছি না দেখতে — কিন্তু চোখ বাঁচাচ্ছি না। মনে এক অজানা অস্থিরতা কাজ করছে। সপ্তম শ্রেণির এক বাচ্চা, হ্যাঁ, মাত্র সপ্তম শ্রেণি! সবে প্রাইমারি শেষ করেছে। নিজে নিজে খাওয়ার বয়স হয়নি, ধমকালে কাঁদার বয়স, মায়ের আঁচলে মুখ গুঁজে থাকার বয়স। অথচ সেই বয়সেরই কয়েকজন বাচ্চা মেরে ফেললো তাদেরই এক সহপাঠীকে! সামনের বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্ক, আর সেই থেকেই মৃত্যু!
🔴 ঘটনাটি সংক্ষেপে:
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার হামিদচর, কর্ণফুলীর চর। সেখানে কাদায় মাখামাখি হয়ে উপুড় হয়ে পড়ে ছিলো রাহাত। বন্ধুরা খেলতে ডেকে এনে হত্যা করেছে তাকে। প্রতিদিনের মতো খেলার জন্য খুশি মনে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো সে। ভালো ক্রিকেট খেলতো, অনূর্ধ্ব-১৪ টিমে সুযোগ পাওয়ার কথাও ছিলো সামনে। কিন্তু আর ফেরা হলো না তার।
না জানি মরার আগে কত কেঁদেছে, মা মা বলে ডেকেছে, না জানি কত অনুরোধ করেছে ওদের কাছে। কিন্তু যাদের সঙ্গে টিফিন ভাগ করতো, হেসে খেলে দিন কাটাতো — তারাই তাকে বাঁচতে দিলো না।
🩸 পোস্টমর্টেমের ভয়ংকর বিবরণ:
- ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মুখমণ্ডলে আঘাত করে থেতলে দেওয়া হয়।
- হৃদপিণ্ডের ওপর বারবার মেরে বুক থেতলে দেওয়া হয়।
- ব্লেড দিয়ে অন্ডকোষ কেটে ফেলা হয়!
❗ প্রশ্ন উঠে — এমন কী একদিনেই হলো?
না, একদিনে কিছুই হয় না। আমরা যখন প্রথম সন্তান আমাদের কথা শোনে না তখন ‘ছোট’ বলে মাফ করে দিই। মা-বাবাকে অসম্মান, শিক্ষককে উপেক্ষা, মিথ্যা বলা, কোচিংয়ের নামে পার্কে ঘোরা — এসব ধীরে ধীরে তাদের ভিতরে জমে যায়। কিন্তু আমরা ধরেই নিই – বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে।
না, ঠিক হবে না। আপনার সন্তানের চোখে চোখে রাখার কোনো বিকল্প নেই। তিতা হলেও সত্য — আপনার বাচ্চা যা আপনাকে দেখায়, সে কেবল তাই নয়।