‘থ্রি ইডিয়টস’ অভিনেতার মৃত্যু

‘থ্রি ইডিয়টস’খ্যাত বর্ষীয়ান অভিনেতা মাধব ভাজে আর নেই

তারিখ: ১০ মে ২০২৫ | সময়: বিকেল ৩:৩০

মুম্বাই: ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব মাধব ভাজে আর নেই। থ্রি ইডিয়টস চলচ্চিত্রে আলি ফজলের বাবার চরিত্রে সংবেদনশীল অভিনয়ের জন্য পরিচিত এই অভিনেতা ৮৫ বছর বয়সে পরলোক গমন করেছেন। ভারতের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

🎬 বলিউড থেকে থিয়েটার—সবখানে তাঁর ছাপ

মাধব ভাজে ছিলেন এমন একজন শিল্পী যিনি একইসাথে থিয়েটার ও সিনেমা—দুই মাধ্যমেই নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেছিলেন থিয়েটার মঞ্চে। পরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মারাঠি সিনেমা শ্যামচি আই-তে 'শ্যাম' চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর একে একে থ্রি ইডিয়টস, ডিয়ার জিন্দেগি, চ্যাপ্পাদ ফাড কে–র মতো ছবিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

🏛️ শিক্ষাজগতে অবদান

তাঁর থিয়েটার পরিচালনার দক্ষতা তাঁকে পৌঁছে দেয় গোয়া কলা একাডেমির নাট্য বিভাগের অধ্যাপকের আসনে। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক থিয়েটার সমালোচক সমিতির একজন সম্মানিত সদস্য। পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন শেক্সপিয়রের বিখ্যাত নাটক হ্যামলেট, যা পরবর্তীতে মারাঠি ভাষায় অনুবাদ করেন পরশুরাম দেশপাণ্ডে।

📚 গ্রন্থ ও গবেষণা

অভিনয়ের বাইরে তিনি নাট্যবিষয়ক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো:

• প্রায়োগিক রঙ্গভূমি – তিন আঙ্ক
• রঙ্গমুদ্রা
• সমান্তর রঙ্গভূমি
• শ্যামচি আই: আচার্য আতরে এবং আমি

🙏 বলিউড ও থিয়েটার মহলের শোকপ্রকাশ

তাঁর মৃত্যুতে বলিউড এবং থিয়েটার মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহকর্মী, ছাত্র এবং ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করে জানাচ্ছেন শেষ শ্রদ্ধা।

🎤 এক থিয়েটার গবেষক বলেন: “মাধব ভাজে ছিলেন এমন একজন শিক্ষক যিনি আমাদের শুধু মঞ্চ শেখাননি, জীবনও শেখান।”

🕊️ তাঁর আত্মা শান্তি পাক। ভারতীয় অভিনয়জগত তাঁকে চিরকাল মনে রাখবে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া

Read More

নারী দালানের অবতরণ: পাকিস্তানের সাহসী যুদ্ধবিমানের গল্প যা বদলে দিল পুরুষবাদী ধারণা

নতুন উদাহরণে বদলে গেল পুরুষের দ্বারাই নির্ধারিত ধারণা!

পাকিস্তানের এক নারীর সাহসিকতা দেখিয়ে দিলেন সবাইকে—আলাদা এক নজির স্থাপন করেছেন।

ভারত-পাকিস্তান চলমান সংকটে, পাকিস্তানের এই নারী যুদ্ধবিমান চালক শিক্ষিত এক নারীর গল্প এখন সবার মুখে। শুধু নিজের দেশকেগো নয়, নারীদের ক্ষমতায়ন ও জদ্দোযুদ্ধের ক্ষেত্রেও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেখাচ্ছেন তিনি।

আয়েশা ফারুকের সাহসিকতা

বয়স মাত্র ২৮, পাকিস্তানের জ-১০সি যুদ্ধবিমান ভোরের অন্ধকার থেকে চালাচ্ছিলেন। লক্ষ্য ছিল ভারতের শক্তিশালী “রাফাল” বিমান। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে শত্রুর বিমান শনাক্ত, ৮.৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, আর ৪ সেকেন্ডের মধ্যে সফল ধ্বংস—প্রমাণ করলেন, সাহসের সঙ্গে কোনও সীমা নেই।

এমন ছোটখাটো সফর শুরুতেই তাঁর অর্জন—প্রমাণ করেছেন, নিজের দক্ষতা আর মনোবলে আকাশের অর্ধেকের বেশি পথ জয় সম্ভব। ব্যক্তিগত সংগ্রাম, পরিবারের দুঃখ-কষ্ট—সবকিছুর মাঝে লুকানো সেই আগুন, এবার আকাশে ঝলসে উঠল। বাবাকে হারিয়ে, একা হাতে বড় হয়েও তিনি আজ দেশের গর্ব।

সারাদেশের স্বীকৃতি

প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে তাঁকে ‘জাতীয় বীর’ খেতাবে ভূষিত করার। এই ঘটনা বিশ্বে বার্তা দেয়— নারীরা যদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে, আকাশের কোনও বাঁধই পারে তার স্বপ্নকে আটকাতে।

আয়েশার এই গল্প শুধু সাহসের উদাহরণই নয়, নারী ক্ষমতায়নের নতুন দিগন্ত। ভাবুন, আগে যেখানে মনে করা হতো, যুদ্ধে পুরুষেরাই মূল খেলা, এখন সেখানে এক নারী নিজের উপর আস্থা রেখে শত্রু উড়িয়ে দিচ্ছেন।

এমন ঘটনা কি আমাদের নতুন প্রেরণা দেয় না? আরও জানতে চান এই সাহসিকতার গল্প বা অন্যান্য অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী?

Read More