Sunday, April 20, 2025

বিপুল সন্তান সংখ্যা চান ইলন মাস্ক, জাপানি নারীকেও দিয়েছেন শুক্রাণু

 

বিপুল সন্তান সংখ্যা চান ইলন মাস্ক, জাপানি নারীকেও দিয়েছেন শুক্রাণু

বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক শুধু প্রযুক্তির দুনিয়ায় নয়, ব্যক্তিজীবনেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাস্ক একটিবৃহৎ পরিবারগড়তে চানএমনকি অনেকটাসন্তান বাহিনীতৈরির মতো একটি পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তিনি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মাস্ক তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর মাধ্যমে সম্ভাব্য মায়েদের খুঁজছেন এবং গর্ভাধানের প্রক্রিয়া সহজ করতে সরাসরি সারোগেট মাদার বা গর্ভভাড়া ব্যবস্থার প্রস্তাবও দিচ্ছেন। এতে করে তিনি ভবিষ্যতে বড়সড় এক পরিবার গড়ার লক্ষ্য পূরণ করতে চান।

এই উদ্যোগে জড়িত একাধিক নারী জানিয়েছেন, মাস্কের পক্ষ থেকে তাঁদের কড়া গোপনীয়তা চুক্তি অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়া হয়। ২৬ বছর বয়সী ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার জানান, তিনি মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা হয়েছেন। তাঁর ভাষায়, মাস্ক তাঁকে বহুবার বার্তা দিয়ে ভবিষ্যতে আবার গর্ভবতী করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এক বার্তায় মাস্ক তাঁকে বলেন, “আমি আবারও তোমাকে গর্ভবতী করতে চাই।পাশাপাশি মহাবিপর্যয়ের আগে বহু সন্তান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের সন্তানের মায়েদের তালিকায় আছেন গায়িকা গ্রাইমস, নিউরালিংকের নির্বাহী শিভন জিলিস, সাবেক স্ত্রী জাস্টিন মাস্ক অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার। পর্যন্ত তিনি ১৪ সন্তানের জনক হলেও, বাস্তব সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি জাপানি কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি এক উচ্চপর্যায়ের জাপানি নারীকেও শুক্রাণু সরবরাহ করেছিলেন।

শিভন জিলিস, যিনি মাস্কের চার সন্তানের মা, তাঁকেবিশেষ মর্যাদারঅধিকারী হিসেবে দেখা হয় মাস্কের ঘনিষ্ঠ পরিসরে। তাঁকে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে, এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক আলোচনায় মাস্কের পাশে দেখা গেছে।

সেন্ট ক্লেয়ার জানান, প্রথমে মাস্কের সহযোগী জ্যারেড বারচালের মাধ্যমে তিনি . কোটি ডলারের প্রস্তাব পান, যার সঙ্গে ছিল প্রতি মাসে এক লাখ ডলার সহায়তা। শর্ত ছিল, সন্তানের পিতৃত্ব গোপন রাখতে হবে এবং জন্মসনদে মাস্কের নাম লেখা যাবে না। তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করলেও সন্তান প্রসবের পর সরকারি নথিতে মাস্কের নাম দেননি। পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে মাসিক সহায়তা কমে দাঁড়ায় ৪০ হাজার ডলার, এবং এরপর আরও কমিয়ে ২০ হাজার ডলার করা হয়।

এছাড়াও, ক্রিপ্টো ইনফ্লুয়েন্সার টিফানি ফংসহ আরও কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, মাস্ক তাঁদের সন্তান নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ফং তাঁর বার্তাগুলো প্রকাশ করলে মাস্ক তাঁকে সামাজিক মাধ্যমে আনফলো করে দেন।

মাস্ক বহু সন্তান নেওয়ার পেছনে একটি ব্যক্তিগত দর্শনের কথা বারবার বলে আসছেনতিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বজুড়ে কমে যাওয়া জন্মহার মানবজাতিকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলতে পারে। তাঁর মতে, “জনসংখ্যা না বাড়লে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে।এই ভাবনা থেকেই তিনি মনে করেন, বুদ্ধিমান সক্ষম মানুষের আরও বেশি সন্তান নেওয়া উচিতভবিষ্যতের মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে।

বান্ধবীকে নিয়ে ‘হাসি-ঠাট্টা’, খুন হলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

ঢাকার বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

বান্ধবীকে নিয়ে ‘হাসি-ঠাট্টা’, খুন হলেন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।


নিহত শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (নবাব পারভেজ)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের ছেলে। পারভেজ প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারোয়ার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। 

এ সময় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স-এর দুই ছাত্রী প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে সেখানে উপস্থিত হন। এই ছাত্রীদের নিয়ে হাসাহাসির মধ্যে থেকেই ঘটনা ঘটেছে।

বান্ধবীকে নিয়ে ‘হাসি-ঠাট্টা’, খুন হলেন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।



ওসি আরও জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারভেজকে প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। 

জাহিদের বুকে 'স্টেপ' এর চিহ্ন দেখা গেছে। বর্তমানে তার লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং নিহতের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি।’

কুর্মিটোলা হাসপাতালে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মওদুদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘প্রাথমিকভাবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (স্কলার্স এবং প্রাইমএশিয়া) শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং অল্প সময়ের মধ্যে পুরো ঘটনাটি উদঘাটন করতে সক্ষম হব।’ তিনি আরও জানান, নিহত জাহিদুল ইসলামের বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে।

এদিকে, এই ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই দাবি করেন যে, স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও জড়িত রয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিহত জাহিদুলসহ কয়েকজনের কথাকাটি হয়। 

এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে, যার ফলে জাহিদুল মারা যান। তবে এসব দাবির সত্যতা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

Popular News

Categories