Sunday, April 20, 2025
পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
হিলিতে চলকের কাজ করা আশরাফুল ইসলাম গত সপ্তাহে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলেন, কিন্তু চলতি সপ্তাহে সেটির দাম ৫৫ টাকায় পৌঁছেছে। মাত্র সাত দিনের মধ্যে কেজিতে ২০ টাকার বৃদ্ধি নিয়ে তার ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
“রোজার ঈদের পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল, সবজি, পেঁয়াজ, মাছ, মুরগি—এককথায়, সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী,”—বলেছেন আশরাফুল।
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে হিলির বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম এভাবে বেড়ে গেছে। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম কমার নাম নেই। ব্যবসায়ীদের দাবি, যদি সরবরাহ আরও কমে যায়, তাহলে দাম আরও বাড়তে পারে, তবে ভারতে থেকে আমদানি শুরু হলে কিছুটা নিশ্চিন্ততা আসবে।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এখন সেটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় দাঁড়িয়ে গেছে। বাজারে অনেকেই বলছেন, এই দাম ওঠা তাদের সাধ্যের বাইরেও চলে যাচ্ছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা আরেক ভোক্তা বেগম মোবিন বলেন, “রবিবার ৩০ টাকায় কিনেছিলাম, আজ দেখি ভালো মানের কেজি ৫৫ টাকা, আর একটুকরায় ৫০। আমাদের মতো মানুষের পক্ষে এত দামে কিনা সম্ভব নয়।”
নিম্ন আয়ের ভোক্তা এনামুল হক মন্তব্য করেন, “তেল, চাল, মুরগি—সব কিছুই বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে কেউ নজর রাখছে কিনা বুঝতে পারি না। মজুতদাররাই দাম বাড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাজার ঠিক হবে না।”
হিলির বাজারের বিক্রেতা আবুল হাসানও বলেন, “ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছিলাম। এখন সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম কিছুটা কমে আসবে।”
আরেক বিক্রেতা শাকিল খান জানালেন, “পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষ, ফলে কৃষকের সরবরাহ কমেছে। আগে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আসত, এখন সেটি অনেক কমে গেছে। পাইকারি ডামেও দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদের আগে আমদানি শুরু না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।”
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন জানান, “নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। অহেতুক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জরিমানা করা হয়। মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ—সব অঙ্গরাজ্যে সমাবেশ, ইলন মাস্কও কঠোর সমালোচনার মুখে
বিক্ষোভকারীদের তিনটি প্রধান দাবি
ট্রাম্প প্রশাসনে ধনকুবেরদের প্রভাব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মেডিকেইডসহ সামাজিক নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মসূচিতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে হবে।
অভিবাসী, ট্রান্সজেন্ডার, এবং প্রান্তিক জনগণের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।
ওয়াশিংটনে বৃহত্তম সমাবেশ
ডিসিতে অনুষ্ঠিত বৃহত্তম এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছিলেন অসংখ্য মানুষ ও কংগ্রেস সদস্যরা। ইনডিভিজিবলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বললেন, “এই প্রতিবাদ ট্রাম্প, এলন মাস্ক, এবং তাদের রিপাবলিকান বন্ধুদের উদ্দেশ্যে একটি স্পষ্ট বার্তা—যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।”
নিউ জার্সি থেকে আসা অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী টেরি ক্লেইন মন্তব্য করলেন, “এই আন্দোলন শুধুমাত্র অভিবাসন নিয়ে নয়; এটি দেশের কাঠামোর বিরুদ্ধে চলমান আঘাতেরও প্রতিবাদ।”
প্রতিবাদের পরিবেশ
মেঘলা আকাশ ও প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও মানুষের ঢল নামল ওয়াশিংটনের রাজপথে। অনেকেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন “ইলন-মুক্ত আমেরিকা চাই”, “ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই”, “গণতন্ত্র রক্ষা করুন” লেখা প্ল্যাকার্ড। পাশাপাশি, ইউক্রেনের পতাকা এবং গাজা যুদ্ধবিরোধী স্লোগানও ছিল চোখে পড়ার মতো।
মাস্কের ডিওজিতে ক্ষোভের কেন্দ্র
বিক্ষোভকারীদের মূল ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ডিওজি—সরকারি দক্ষতা বিভাগ, যার দায়িত্বে আছেন এলন মাস্ক। এই সংস্থা থেকে সম্প্রতি ছাঁটাই করা হয়েছে ১,২১,০০০- এর বেশি কর্মী। বাল্টিমোরের প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ৬৪-বছর বয়সী লিন্ডা ফ্যালক জানান, “আমি আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ—ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।”
নিউইয়র্কে প্রতিবাদের ঝড়
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে দেখা গেলো শক্তিশালী প্রতিবাদ। অংশগ্রহণকারী শায়না কেসনার বলেন, “একটি শ্বেতাঙ্গ সুবিধাভোগী গোষ্ঠী, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, তারা এখন পুরো দেশ চালাচ্ছে—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের শক্তি
প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জেমি রাসকিন বলেন, “যিনি মুসোলিনির মতো রাজনীতি করেন এবং আর্থিকভাবেও হোভার-এর মতো পরিচালনা করেন, তাঁর শাসনবন্দি দেশে কোনও ভবিষ্যৎ নেই।”
মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর বলেন, “যদি এমন একটি দেশে বিশ্বাস রাখেন, যেখানে প্রতিবেশীদের দিকে সহানুভূতির চোখে দেখা হয়, দরিদ্রদের সাহায্য করা হয়, এবং শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠন করা হয়—তাহলে সেই দেশের জন্য লড়াই করতে হবে।”
ওবামার আহ্বান এবং বৈশ্বিক প্রতিবাদ
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হ্যামিলটন কলেজে দেওয়া বক্তৃতায় বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় মার্কিনদের আত্মোৎসর্গে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জার্মানির বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট, ফ্রান্সের প্যারিস, যুক্তরাজ্যের লন্ডন এবং পর্তুগালের লিসবনে أيضاً বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বার্লিনে টেসলার শোরুমের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদকারীরাবলেন, “ইলন, তোমাকে কেউ ভোট দেয়নি।” প্যারিসে শতাধিক মার্কিন নাগরিক প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষা করুন,” “আইনের শাসন চাই।” লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে স্লোগান ওঠে, “কানাডা থেকে দূরে থাকুন, গ্রিনল্যান্ড থেকে দূরে থাকুন, ইউক্রেন থেকে দূরে থাকুন।”
Popular News
-
২৪ এপ্রিল - সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুল করিম জানিয়েছেন, পারভেজ হত্যার প্রধান আ...
-
পুলিশ পুরান ঢাকার একটি মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার (অথৈ) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনা...
-
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার সময় খাতা না দেখানোর কারণে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ইমন হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আট দিন মৃত...
-
ঢাকার বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। হত্যা...
-
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার নীতিগত অনুমোদন ২২ মে ২০২৫ | ২২:২৮ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ...