Sunday, April 20, 2025

জীবনে যে কোনো সময় আর্থিক সংকট আসতে পারে।

✅✅ জীবনে যে কোনো সময় আর্থিক সংকট আসতে পারে। তাই বন্ধুবান্ধবের মাঝে চাপ ফেলতে গিয়ে বিয়ে, জন্মদিন, ঈদ বা পুজোর মতো অনুষ্ঠানে অপ্রয়োজনীয় খরচ করবেন না। অবাককরভাবে, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের এক তৃতীয়াংশ টাকাই চলে যায় সন্তানদের বিয়ের জন্য।

আপনার সন্তানের নামে যদি একলাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন, তাহলে ত্রিশ বছর পর সেই টাকা আপনার সন্তানের জন্য বড় ধরনের সহায়তা হতে পারে। পরিশ্রমের অর্থকে বাড়াতে শেখান এবং সন্তানকে আর্থিক শিক্ষা দিন। প্রোডাক্টিভ এবং নন-প্রোডাক্টিভ বিনিয়োগের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে শুরু করুন।

গ্যাজেট কিনতে না গিয়ে ধাতু বেছে নেওয়া উচিত, কারণ এর রিসেল ভ্যালু থাকে।

বড় বাড়িতে বিয়ের জন্য বেশি খরচ করার চেয়ে সন্তানের জন্য টাকা FD করে দিন—যা বিপদের সময় কাজে আসবে। জমির চেয়ে বাড়ির মূল্য বেশি করবেন না; বরং সোনার গহনা এবং ব্যাংকে নগদ অর্থে বেশি গুরুত্ব দিন, কারণ বিপদে তা অবলম্বন করার জন্য সুবিধা হবে।

যোগ্য চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই সন্তানের পক্ষে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করুন। ছাত্রজীবনে এই মানসিকতা গড়ে তোলে ভাবতে শেখান যে, কোন কাজই ছোট নয়।

সন্তানকে বইয়ের বাইরে বের করে বাস্তব অভিজ্ঞতার দিকে নজর দিন। যতটা সম্ভব হাতে কলমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করান, কর্পোরেট জীবন ছাড়াও অন্যান্য কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পথ দেখান।

সন্তানের জন্য বাড়ির সার্বিক পরিমাণ যতটুকু দরকার, ততটুকু বাড়ি করুন এবং পরিষ্কারভাবে পরিকল্পনা করুন যাতে মাসিক আয়ের জন্য একটা আয়তাকার (MIS) স্কিম তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যে সংকট আসবে তা আমরা জানি না; চাকরি বা ব্যবসা—কোনো কিছুতেই শুষ্ক নিশ্চয়তা নেই।

সন্তানকে সরকারি চাকরির দিকে চাপ দেবেন না; বরং তাকে নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন সুযোগে কাজ করতে উৎসাহিত করুন। উপার্জনের দিকে মনোযোগ দিন এবং তার মেধা ও অর্থের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে শেখান। উচ্চশিক্ষার পিছনে অযথা সময় ও টাকা নষ্ট করবেন না; HSC শেষেই নিশ্চিত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।

সন্তানকে কার্যকরী মানসিকতা গড়ে তুলতে দিন এবং ছোট ব্যবসা বা পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ দিন। জীবনের ২৫-৩০ বছর যদি কেবল বই পড়েই কাটানো হয়, তবে অফিস লেবেলে অন্য কিছু করার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।

সার্বিকভাবে, সবকিছুকে একটি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে হবে। অন্তত একটি বিনিয়োগ যদি ডুবে যায়, তবে অন্যটি যেন স্থিতিশীল থাকে।

পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

হিলিতে চলকের কাজ করা আশরাফুল ইসলাম গত সপ্তাহে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলেন, কিন্তু চলতি সপ্তাহে সেটির দাম ৫৫ টাকায় পৌঁছেছে। মাত্র সাত দিনের মধ্যে কেজিতে ২০ টাকার বৃদ্ধি নিয়ে তার ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।

“রোজার ঈদের পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল, সবজি, পেঁয়াজ, মাছ, মুরগি—এককথায়, সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী,”—বলেছেন আশরাফুল।

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে হিলির বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম এভাবে বেড়ে গেছে। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম কমার নাম নেই। ব্যবসায়ীদের দাবি, যদি সরবরাহ আরও কমে যায়, তাহলে দাম আরও বাড়তে পারে, তবে ভারতে থেকে আমদানি শুরু হলে কিছুটা নিশ্চিন্ততা আসবে।

গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এখন সেটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় দাঁড়িয়ে গেছে। বাজারে অনেকেই বলছেন, এই দাম ওঠা তাদের সাধ্যের বাইরেও চলে যাচ্ছে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা আরেক ভোক্তা বেগম মোবিন বলেন, “রবিবার ৩০ টাকায় কিনেছিলাম, আজ দেখি ভালো মানের কেজি ৫৫ টাকা, আর একটুকরায় ৫০। আমাদের মতো মানুষের পক্ষে এত দামে কিনা সম্ভব নয়।”

নিম্ন আয়ের ভোক্তা এনামুল হক মন্তব্য করেন, “তেল, চাল, মুরগি—সব কিছুই বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে কেউ নজর রাখছে কিনা বুঝতে পারি না। মজুতদাররাই দাম বাড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাজার ঠিক হবে না।”

হিলির বাজারের বিক্রেতা আবুল হাসানও বলেন, “ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছিলাম। এখন সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম কিছুটা কমে আসবে।”

আরেক বিক্রেতা শাকিল খান জানালেন, “পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষ, ফলে কৃষকের সরবরাহ কমেছে। আগে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আসত, এখন সেটি অনেক কমে গেছে। পাইকারি ডামেও দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদের আগে আমদানি শুরু না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।”

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন জানান, “নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। অহেতুক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জরিমানা করা হয়। মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ—সব অঙ্গরাজ্যে সমাবেশ, ইলন মাস্কও কঠোর সমালোচনার মুখে

 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভের লক্ষণ দেখা গেছে। গত শনিবার, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আওয়াজ উঠেছে। "ট্রাম্পের পদত্যাগ চাই", "গণতন্ত্র মুক্তি পাক", "আমাদের কোনো রাজানেই"—এই স্লোগানে মুখরিত হয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

এলন মাস্ক, যিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা, সেও এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। বিক্ষোভ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ইউরোপের বিভিন্ন শহরেও এর প্রভাব পড়ে।

বিক্ষোভের মূল ব্যানার ছিল ‘হ্যান্ডস অফ’, যা জানাচ্ছে যে অধিকার অক্ষুণ্ন রাখার জন্য সংগ্রাম চলছে। এই কর্মসূচিতে প্রায় ১৫০টিরও বেশি অধিকার কর্মী সংগঠন অংশ নিয়েছে। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, কলোরাডো—সহ দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১,৪০০-র বেশি শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসব সমাবেশ।

'ইনডিভিজিবল' নামের সংগঠন জানাচ্ছে, বিক্ষোভে অংশ নিতে প্রায় ছয় লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

এটি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে, যা রাজনৈতিক পরিবর্তনের স্পষ্ট আহ্বান।

বিক্ষোভকারীদের তিনটি প্রধান দাবি

  1. ট্রাম্প প্রশাসনে ধনকুবেরদের প্রভাব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

  2. মেডিকেইডসহ সামাজিক নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মসূচিতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে হবে।

  3. অভিবাসী, ট্রান্সজেন্ডার, এবং প্রান্তিক জনগণের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

ওয়াশিংটনে বৃহত্তম সমাবেশ

ডিসিতে অনুষ্ঠিত বৃহত্তম এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছিলেন অসংখ্য মানুষ ও কংগ্রেস সদস্যরা। ইনডিভিজিবলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বললেন, “এই প্রতিবাদ ট্রাম্প, এলন মাস্ক, এবং তাদের রিপাবলিকান বন্ধুদের উদ্দেশ্যে একটি স্পষ্ট বার্তা—যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।”

নিউ জার্সি থেকে আসা অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী টেরি ক্লেইন মন্তব্য করলেন, “এই আন্দোলন শুধুমাত্র অভিবাসন নিয়ে নয়; এটি দেশের কাঠামোর বিরুদ্ধে চলমান আঘাতেরও প্রতিবাদ।”

প্রতিবাদের পরিবেশ

মেঘলা আকাশ ও প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও মানুষের ঢল নামল ওয়াশিংটনের রাজপথে। অনেকেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন “ইলন-মুক্ত আমেরিকা চাই”, “ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই”, “গণতন্ত্র রক্ষা করুন” লেখা প্ল্যাকার্ড। পাশাপাশি, ইউক্রেনের পতাকা এবং গাজা যুদ্ধবিরোধী স্লোগানও ছিল চোখে পড়ার মতো।

মাস্কের ডিওজিতে ক্ষোভের কেন্দ্র

বিক্ষোভকারীদের মূল ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ডিওজি—সরকারি দক্ষতা বিভাগ, যার দায়িত্বে আছেন এলন মাস্ক। এই সংস্থা থেকে সম্প্রতি ছাঁটাই করা হয়েছে ১,২১,০০০- এর বেশি কর্মী। বাল্টিমোরের প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ৬৪-বছর বয়সী লিন্ডা ফ্যালক জানান, “আমি আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ—ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।”

নিউইয়র্কে প্রতিবাদের ঝড়

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে দেখা গেলো শক্তিশালী প্রতিবাদ। অংশগ্রহণকারী শায়না কেসনার বলেন, “একটি শ্বেতাঙ্গ সুবিধাভোগী গোষ্ঠী, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, তারা এখন পুরো দেশ চালাচ্ছে—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের শক্তি

প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জেমি রাসকিন বলেন, “যিনি মুসোলিনির মতো রাজনীতি করেন এবং আর্থিকভাবেও হোভার-এর মতো পরিচালনা করেন, তাঁর শাসনবন্দি দেশে কোনও ভবিষ্যৎ নেই।”

মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর বলেন, “যদি এমন একটি দেশে বিশ্বাস রাখেন, যেখানে প্রতিবেশীদের দিকে সহানুভূতির চোখে দেখা হয়, দরিদ্রদের সাহায্য করা হয়, এবং শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠন করা হয়—তাহলে সেই দেশের জন্য লড়াই করতে হবে।”

ওবামার আহ্বান এবং বৈশ্বিক প্রতিবাদ

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হ্যামিলটন কলেজে দেওয়া বক্তৃতায় বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় মার্কিনদের আত্মোৎসর্গে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জার্মানির বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট, ফ্রান্সের প্যারিস, যুক্তরাজ্যের লন্ডন এবং পর্তুগালের লিসবনে أيضاً বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বার্লিনে টেসলার শোরুমের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদকারীরাবলেন, “ইলন, তোমাকে কেউ ভোট দেয়নি।” প্যারিসে শতাধিক মার্কিন নাগরিক প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষা করুন,” “আইনের শাসন চাই।” লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে স্লোগান ওঠে, “কানাডা থেকে দূরে থাকুন, গ্রিনল্যান্ড থেকে দূরে থাকুন, ইউক্রেন থেকে দূরে থাকুন।”

    

Popular News

Categories

accident (5) actor (1) agriculture (6) bangladesh (50) bd model (1) BDR (1) business (12) campus (1) crime (18) drama (5) Economy (5) education (14) entertainment (12) environment (17) gardening (9) gaza (1) goat (1) hadees (7) health (37) heath (1) holiday (1) hsc (1) india (6) inspiration (1) international (42) ipl (3) italy (1) jobs (6) life style (8) media (4) movie (7) national (3) newzealand (1) online job (1) pakistan (4) pets (1) politics (15) quran (2) qurbani (3) railway (1) red carpet (3) religion (6) science news (3) sports (32) story (4) suicide (1) technology (14) tours and travels (1) weather (7)