📍 পারভেজ তার দুই বন্ধুর সঙ্গে ক্যাম্পাসের সামনে শিঙাড়া খাচ্ছিল। ওই সময় সেখানে দুই নারী শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা মনে করেছিলেন, পারভেজের বন্ধুরা তাদের নিয়ে হাসাহাসি করছে। তাই তারা কাউকে, সম্ভবত তাদের বয়ফ্রেন্ডকে খবর দেন।
ক্যাম্পাসের বাইরের তিন যুবক এসে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ওই তিন যুবক আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে পারভেজকে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ছুরিকাঘাত করে।
এটি একটি গুরুতর আঘাত ছিল—ছুরির আঘাত তার হৃদপিণ্ডে লাগে, মাত্র এক ইঞ্চির ক্ষতে! পারভেজ মারা যায়। একেবারেই তুচ্ছ একটি ঘটনায় তার জীবন শেষ হয়ে গেল।
পারভেজ যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ত, তখন সে ময়মনসিংহের টাউন হলের পাশের একটি মেসে থাকত এবং রয়েল মিডিয়া কলেজের ছাত্র ছিল। সে ছিল এক হাসিখুশি ছেলে, যে সবসময় সালাম দিয়েই হাসিমুখে নুয়ে যেত! এবং দুর্ভাগ্যবশত, এটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল।
এই হত্যার উদ্দেশ্য ক্ষমতা প্রদর্শন। এ জঘন্য হত্যার দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের ছাত্র নয়, তাই কেউ যেন চুপ না থাকে। আমাদের তার হত্যার বিচার দাবি তুলতে হবে। আওয়াজ না তুললে দেশে বিচার হয় না।
একটি ছোট ছেলে! মানুষের জীবন এত সহজে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে!
📌(সংগৃহীত) ||
0 comments:
Post a Comment