ফুলদানির কাটাফুল নয়, চাই গাছেই ফুটে থাকুক কাটানো ফুল—যার ঘ্রাণে ভরবে আপনার ঘর-বাড়ি, মনও মেজাজ। ছোট্ট বারান্দা বা বাসার এক কোনে যদি সৌরভ ছড়ানোর কিছু গাছ রাখতে চান, তাহলে এই তিনটি ফুলগাছ হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ পছন্দ।
হালকা গোলাপী ফুলে ভরা মাধবীলতা শুধু নয়ন মুগ্ধ করে, তার মৃদু সুবাসও আপনার মন ভালো করে দেয়। এই গাছটি রেলিং বা বাঁশের কাঠামোয় জড়িয়ে বাড়িকে দেবে এক প্রাকৃতিক সাজ।
- টবের আকার: মাঝারি আকারের টব।
- মাটির মিশ্রণ: বাগানের মাটি + কম্পোস্ট + কোয়াকোপিট + বালি। সঙ্গে ১ চামচ হাড় গুঁড়ো বা ফসফেট।
- রোদ প্রয়োজন: দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টার রোদ পেলে গাছ ভালো বাড়বে।
- জল দেওয়ার নিয়ম: উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে জল দিন, টবে যেন জল দাঁড়িয়ে না থাকে।
🌿 ২. গন্ধরাজ — নামেই যার পরিচয়
সাদা ছোট ফুল, অথচ সুবাসে একেবারে অনন্য। গন্ধরাজ গাছ যত বড় হয়, তত বাড়ে তার সৌন্দর্য আর ঘ্রাণের পরিমাণ। জায়গার অভাব হলে টবেও দিব্যি মানিয়ে যায়।
- টবের আকার: ১০-১২ ইঞ্চি গভীর টব উপযুক্ত।
- মাটি: দোআঁশ এবং বেলে মাটির মিশ্রণ সবচেয়ে ভালো।
- জৈবসার: ৫০% ভারি জৈবসার মিশিয়েনিন।
- জল দেওয়ার নিয়ম: গাছের গোড়ায় জল জমতে দেওয়া চলবে না, তবে একবার শুকনো থাকলেও চলবে।
- সূর্যালোক: পর্যাপ্ত রোদ পেলে ফুল ফুটে সবচেয়ে ভালোভাবে।
🌿 ৩. বেলফুল — মনমাতানো মিষ্টি ঘ্রাণে
গরমের দিনে হালকা সুবাসে মন ভালো করে দেয় ছোট ছোট সাদা বেলফুল। সাজিয়ে তুলুন আপনার বারান্দা বা জানালার পাশে।
- মাটি: দোআঁশ মাটিই সবচেয়ে উপযোগী।
- জল নিষ্কাশন: টবে যেন জল জমে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করুণ।
- সার: রাসায়নিক সার দিতে চাইলে ফসফেট ও ইউরিয়া দিন। জৈবসার হিসেবে গোরবা খোল ব্যবহার করুন।
- সূর্য: রোদ পেলে গাছ ভালো ফুটবে।
- ছাঁটাই: প্রতি মাসে একবার নিয়মিত ছাঁটাই করলে ফুলের সংখ্যা বাড়বে।
শেষ কথা:
শখের বাগান মানেই শুধু চোখের আরাম নয়, গন্ধে মুগ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতাও। তাই ফুলদানিতে নয়, এবার ফুল ফুটুক গাছেই—আর তার সুবাস ছড়াতে থাকুক আপনার বাড়ির প্রতিটি কোণে।
0 comments:
Post a Comment