প্রতি ১০০ গ্রাম পাবদা মাছ থেকে আপনি পাবেন:
- জল: ৭৫ গ্রাম
- প্রোটিন: ১৮.১ গ্রাম
- চর্বি: ২.৪ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট: ৩.১ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম: ১১০ মি.গ্রা.
- আয়রন: ১.০ মি.গ্রা.
- ভিটামিন সি, ফসফরাস ও আয়োডিন
- শক্তি: ১০৬ ক্যালোরি
✅ সহজে হজম হয়:
কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় পাবদা মাছ হজমে সহায়তা করে। যারা পেটের সমস্যা নিয়ে ভোগেন, তাঁদের জন্য এটি একদম উপযোগী।
✅ রক্তাল্পতায় উপকারী:
আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতায় ভোগা মানুষের জন্য এই মাছ খাওয়া উপকারি হতে পারে।
✅ হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো:
উচ্চ ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়তা করে এবং বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
✅ ওজন ও পেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা:
প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় খনিজের সমৃদ্ধ হওয়ায় এই মাছ দুর্বল শরীরের অবস্থা ও ওজন বাড়াতে সহায়ক।
✅ হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক:
ওমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২, আয়রন এবং জিঙ্কের পরিপূর্ণতা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
✅ লোক্যালোরি, হাইল নাইট্রিশন:
মাত্র ১০৬ ক্যালোরি থাকায় এটি অন্য মাংস জাতীয় খাবারের তুলনায় অনেক স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
👉 প্রত্যেকের শরীর একরকম নয়। কারও শরীরে মাছের অ্যালার্জি থাকলে বিশেষ কোনো রোগ থাকলে এই মাছ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
👉 নতুন কিছু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
উপসংহারস্বাদে যেমন অনন্য, পুষ্টিগুণেও তেমনই সমৃদ্ধ পাবদা মাছ। তাই মুখের তৃপ্তি নয়, শরীরের উপকারিতার কথাও মাথায় রাখা জরুরি। পরের বার পাবদা মাছের পাতেই তুলুন, জানুন-বুঝুন—সুস্বাদু ও সুস্থ জীবনের জন্য।
0 comments:
Post a Comment