হিলিতে চলকের কাজ করা আশরাফুল ইসলাম গত সপ্তাহে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলেন, কিন্তু চলতি সপ্তাহে সেটির দাম ৫৫ টাকায় পৌঁছেছে। মাত্র সাত দিনের মধ্যে কেজিতে ২০ টাকার বৃদ্ধি নিয়ে তার ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
“রোজার ঈদের পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল, সবজি, পেঁয়াজ, মাছ, মুরগি—এককথায়, সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী,”—বলেছেন আশরাফুল।
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে হিলির বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম এভাবে বেড়ে গেছে। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম কমার নাম নেই। ব্যবসায়ীদের দাবি, যদি সরবরাহ আরও কমে যায়, তাহলে দাম আরও বাড়তে পারে, তবে ভারতে থেকে আমদানি শুরু হলে কিছুটা নিশ্চিন্ততা আসবে।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এখন সেটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় দাঁড়িয়ে গেছে। বাজারে অনেকেই বলছেন, এই দাম ওঠা তাদের সাধ্যের বাইরেও চলে যাচ্ছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা আরেক ভোক্তা বেগম মোবিন বলেন, “রবিবার ৩০ টাকায় কিনেছিলাম, আজ দেখি ভালো মানের কেজি ৫৫ টাকা, আর একটুকরায় ৫০। আমাদের মতো মানুষের পক্ষে এত দামে কিনা সম্ভব নয়।”
নিম্ন আয়ের ভোক্তা এনামুল হক মন্তব্য করেন, “তেল, চাল, মুরগি—সব কিছুই বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে কেউ নজর রাখছে কিনা বুঝতে পারি না। মজুতদাররাই দাম বাড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাজার ঠিক হবে না।”
হিলির বাজারের বিক্রেতা আবুল হাসানও বলেন, “ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছিলাম। এখন সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম কিছুটা কমে আসবে।”
আরেক বিক্রেতা শাকিল খান জানালেন, “পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষ, ফলে কৃষকের সরবরাহ কমেছে। আগে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আসত, এখন সেটি অনেক কমে গেছে। পাইকারি ডামেও দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদের আগে আমদানি শুরু না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।”
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন জানান, “নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। অহেতুক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জরিমানা করা হয়। মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।”
0 comments:
Post a Comment