✅✅ জীবনে যে কোনো সময় আর্থিক সংকট আসতে পারে। তাই বন্ধুবান্ধবের মাঝে চাপ ফেলতে গিয়ে বিয়ে, জন্মদিন, ঈদ বা পুজোর মতো অনুষ্ঠানে অপ্রয়োজনীয় খরচ করবেন না। অবাককরভাবে, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের এক তৃতীয়াংশ টাকাই চলে যায় সন্তানদের বিয়ের জন্য।
আপনার সন্তানের নামে যদি একলাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন, তাহলে ত্রিশ বছর পর সেই টাকা আপনার সন্তানের জন্য বড় ধরনের সহায়তা হতে পারে। পরিশ্রমের অর্থকে বাড়াতে শেখান এবং সন্তানকে আর্থিক শিক্ষা দিন। প্রোডাক্টিভ এবং নন-প্রোডাক্টিভ বিনিয়োগের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে শুরু করুন।
গ্যাজেট কিনতে না গিয়ে ধাতু বেছে নেওয়া উচিত, কারণ এর রিসেল ভ্যালু থাকে।
বড় বাড়িতে বিয়ের জন্য বেশি খরচ করার চেয়ে সন্তানের জন্য টাকা FD করে দিন—যা বিপদের সময় কাজে আসবে। জমির চেয়ে বাড়ির মূল্য বেশি করবেন না; বরং সোনার গহনা এবং ব্যাংকে নগদ অর্থে বেশি গুরুত্ব দিন, কারণ বিপদে তা অবলম্বন করার জন্য সুবিধা হবে।
যোগ্য চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই সন্তানের পক্ষে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করুন। ছাত্রজীবনে এই মানসিকতা গড়ে তোলে ভাবতে শেখান যে, কোন কাজই ছোট নয়।
সন্তানকে বইয়ের বাইরে বের করে বাস্তব অভিজ্ঞতার দিকে নজর দিন। যতটা সম্ভব হাতে কলমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করান, কর্পোরেট জীবন ছাড়াও অন্যান্য কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পথ দেখান।
সন্তানের জন্য বাড়ির সার্বিক পরিমাণ যতটুকু দরকার, ততটুকু বাড়ি করুন এবং পরিষ্কারভাবে পরিকল্পনা করুন যাতে মাসিক আয়ের জন্য একটা আয়তাকার (MIS) স্কিম তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যে সংকট আসবে তা আমরা জানি না; চাকরি বা ব্যবসা—কোনো কিছুতেই শুষ্ক নিশ্চয়তা নেই।
সন্তানকে সরকারি চাকরির দিকে চাপ দেবেন না; বরং তাকে নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন সুযোগে কাজ করতে উৎসাহিত করুন। উপার্জনের দিকে মনোযোগ দিন এবং তার মেধা ও অর্থের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে শেখান। উচ্চশিক্ষার পিছনে অযথা সময় ও টাকা নষ্ট করবেন না; HSC শেষেই নিশ্চিত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
সন্তানকে কার্যকরী মানসিকতা গড়ে তুলতে দিন এবং ছোট ব্যবসা বা পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ দিন। জীবনের ২৫-৩০ বছর যদি কেবল বই পড়েই কাটানো হয়, তবে অফিস লেবেলে অন্য কিছু করার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
সার্বিকভাবে, সবকিছুকে একটি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে হবে। অন্তত একটি বিনিয়োগ যদি ডুবে যায়, তবে অন্যটি যেন স্থিতিশীল থাকে।
0 comments:
Post a Comment