Saturday, May 31, 2025

ইয়া বাসিতু: অর্থ, গুরুত্ব ও দোয়ার ফজিলত

ইয়া বাসিতু: অর্থ, গুরুত্ব ও উপকারিতা

ইসলামে আল্লাহর ৯৯টি নামের প্রত্যেকটিরই বিশেষ অর্থ ও তাৎপর্য রয়েছে। এই নামগুলো আল্লাহর গুণাবলী এবং দয়ার প্রতীক। এর মধ্যে ‘ইয়া বাসিতু’ একটি অসাধারণ নাম, যার অর্থ ‘প্রসারিতকারী’ বা ‘বিস্তৃতকারী’। এটি আল্লাহর সীমাহীন ক্ষমতা ও করুণার পরিচায়ক।

ইয়া বাসিতু নামের অর্থ ও উচ্চারণ

ইয়া বাসিতু আরবিতে লেখা হয় “يا باسط”।
‘ইয়া’ অর্থ আহ্বান বা ডাক, আর ‘বাসিতু’ অর্থ প্রসারিতকারী। একসাথে এটি বোঝায়— ‘হে প্রসারিতকারী আল্লাহ’।

কুরআন-হাদিসে ইয়া বাসিতু

কুরআনে আল্লাহর প্রসারিত করার ক্ষমতার উল্লেখ রয়েছে, যেমন সূরা আল-বাকারার ২৪৫ নম্বর আয়াতে—
“আল্লাহ (প্রসারিত করেন) এবং (সংকুচিত করেন)।”
এখানে আল্লাহর অসীম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।

হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর করুণা শত ভাগের এক ভাগ পৃথিবীতে নেমেছে, যা সৃষ্টি জীবদের একে অপরের প্রতি দয়া করতে সাহায্য করে।

ইয়া বাসিতুর ফজিলত ও উপকারিতা

  • রিজিক প্রসারিত হয়: এই নামের জপে আল্লাহর দরবারে রিজিক বৃদ্ধির জন্য বিশেষ সাহায্য মেলে।
  • মনোবল বাড়ায়: কষ্টের সময় এই নাম জপ করলে সাহস ও ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • মানসিক শান্তি দেয়: নিয়মিত উচ্চারণে মনের অবস্থা স্থিতিশীল ও শান্ত হয়।

কখন ইয়া বাসিতু জপ করবেন?

যেকোনো সময়, বিশেষ করে রিজিক বাড়াতে বা মনোবল ও সাহসের প্রয়োজন হলে এই নামের জিকির করা যায়। নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর দয়ায় জীবনে প্রশান্তি বজায় থাকে।

সংক্ষিপ্ত সারাংশ

‘ইয়া বাসিতু’ নামটি আল্লাহর করুণা, ক্ষমতা ও বিস্তার করার গুণের প্রতীক। এই নামের উচ্চারণে জীবনে বরকত, শান্তি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। তাই মুমিনরা এটি বেশি বেশি উচ্চারণ করলে জীবন আরও সার্থক ও সুন্দর হয়।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

প্রশ্ন: ইয়া বাসিতু কী অর্থ?
উত্তর: প্রসারিতকারী বা বিস্তৃতকারী।

প্রশ্ন: কখন উচ্চারণ করবেন?
উত্তর: যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে, বিশেষ করে রিজিক বৃদ্ধির জন্য বা কষ্টের সময়।

প্রশ্ন: এর উপকারিতা কী কী?
উত্তর: রিজিক বৃদ্ধি, মনোবল উন্নয়ন এবং মানসিক শান্তি।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর করুণায় ধন্য করুন এবং আমাদের জীবনকে বরকতপূর্ণ করে তুলুন। আমীন।



Keywords: ইয়া বাসিতু অর্থ, আল্লাহর নাম, ৯৯ নাম আল্লাহ, ইয়া বাসিতু দোয়া, রিজিক বৃদ্ধি দোয়া, ইসলামিক নামের অর্থ, আল্লাহর গুণবাচক নাম, আরবি নামের অর্থ, ইসলামিক দোয়া ও ফজিলত, কুরআন হাদিস থেকে নামের ব্যাখ্যা

Tags: ইয়া বাসিতু, আল্লাহর নাম, ইসলাম, দোয়া, রিজিক বৃদ্ধি, কুরআন, হাদিস, মুসলিম জীবন, নামের অর্থ, ইসলামিক জ্ঞান

বিপদে পড়লে যে দোয়া পড়বেন: নবীজির (সা.) থেকে অনুপ্রেরণামূলক দোয়া 🌟

যখন বিপদে পড়বেন, এই দোয়া পড়তে ভুলবেন না

জীবনের পথে হেঁটে চলতে গিয়ে কখনো কখনো আমরা এমন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হই, যখন সবকিছুই দুঃসহ মনে হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে আমাদের আশ্রয় নেয়ার জায়গা হলো মহান আল্লাহর কাছে। তিনি আমাদের চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী। কষ্টে, বিপদে, দুঃখে—নবীজির (সা.) জীবন থেকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো আল্লাহর কাছে হাত তুলে তার গুণবাচক নামের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করা।

বদর যুদ্ধের দিনে নবীজির দোয়া

ইতিহাসে বদর যুদ্ধের দিনটি ছিল ইসলামের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেইদিন নবীজি (সা.) বিনয় আর কাতরতায় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছিলেন। হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) বলছিলেন:

হে আল্লাহ! যদি এই ক্ষুদ্র দলটি ধ্বংস হয়ে যায়, তবে আজকের পর আর পৃথিবীতে তোমার ইবাদত হবে না।

তিনি এতটাই কাতর হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলেন যে তার কাঁধ থেকে চাদর পড়ে যায়। সাহাবি আবু বকর (রা.) তখন এসে চাদর তুলে দেন এবং বলেন: "হে আল্লাহর রাসুল! যথেষ্ট হয়েছে, আপনার রবের কাছে আপনি প্রার্থনা করেছেন।" (মুসলিম, হাদিস: ৪৪৮০)

‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম’ – নবীজির বিশেষ দোয়া

বদর যুদ্ধের সেই কঠিন সময়ে নবীজি (সা.) একটি বিশেষ দোয়া বারবার পড়ছিলেন। হযরত আলি (রা.) বলেন, তিনি নবীজিকে সিজদারত অবস্থায় শুধু বলতে শুনেছেন:

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ
উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম
অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী!

তিনি বলছিলেন—নবীজি শুধু এই দোয়াটিই বারবার পড়ছিলেন। আল্লাহর ইচ্ছায়, সেই দোয়া এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আস্থাই এনে দিয়েছিল বিজয়।

কষ্টে, বিপদে এই দোয়া পড়ার উপকারিতা

যখন আমাদের মনে হবে চারদিক অন্ধকার, কোনো দিকেই আশা নেই—ঠিক তখনই এই দোয়া আমাদের সান্ত্বনা দিতে পারে। ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম’ দোয়াটি দোয়া কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী। কেননা, এই নাম দুটি ‘ইসমে আযম’-এর অন্তর্ভুক্ত। (আবু দাউদ, হাদিস: ১৪৯৬)

হাফিজ ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন:

দোয়া কবুল এবং দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে আল্লাহর এই দুই নামের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। (যাদুল মাআদ: ৪/১৮৮)

আরেকটি সুন্দর দোয়া

নবীজির খাদেম আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে— কোনো বিষয় দুঃসহ মনে হলে নবীজি (সা.) বলতেন:

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ
উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিস।
অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের উসিলায় সাহায্য প্রার্থনা করছি। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫২৪)

সরাসরি বাস্তবে প্রয়োগ করুন

  • বিপদ বা কঠিন চ্যালেঞ্জের সময় ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম’ বেশি বেশি পড়ুন।
  • দৈনিক জীবনের ছোট-বড় যেকোনো দোয়ার মধ্যে এই দুই নাম বেশি করে বলার অভ্যাস করুন।
  • বিপদে পড়লে সরাসরি এই দোয়াগুলো পড়তে থাকুন—ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ সাহায্য করবেন।

আমাদের জীবনের প্রতিটি সংকটকালে এই মহান নাম দুটির শক্তিতে ভরসা রাখুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল বিপদ ও দুঃখ থেকে মুক্তি দিন। আামীন!



কীওয়ার্ড: বিপদে পড়লে যে দোয়া পড়বেন, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম দোয়া, বিপদে দোয়া, ইসলামিক দোয়া

ট্যাগ: #ইসলামিক_দোয়া, #ইয়া_হাইয়্যু_ইয়া_কাইয়্যুম, #বিপদে_দোয়া, #দোয়া_কবুল, #ইসলাম, #দোয়া

বন্য প্রাণী কোরবানি যাবে? জানুন ইসলামিক বিধান

🐾 বন্য প্রাণী দিয়ে কোরবানি: শরিয়তের নির্দেশনা

কোরবানি মুসলিম জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হজরত ইবরাহীম (আ.)-এর মহান ত্যাগের স্মৃতি বহন করে এই ইবাদত। হজরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সন্তানকে কোরবানি দিতে চেয়েছিলেন। আল্লাহর কাছে এই ত্যাগ এতই প্রিয় হয়েছিল যে, সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব করা হয়েছে।

❝ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোরবানি করা হজরত ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নত। সাহাবায়ে-কেরাম (রা.) জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে সওয়াব দেওয়া হবে। কোরবানির দিন আল্লাহর কাছে পশু জবাইয়ের চেয়ে প্রিয় আর কোনো কাজ নেই। (মুসনাদে আহমাদ)

ℹ রাসুল (সা.) আরও বলেন, “প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য প্রতি বছর কোরবানি করা কর্তব্য। যার সামর্থ্য নেই, তার ওপর কোরবানি আবশ্যক নয়।” (তিরমিজি)

🐮 বৈধ কোরবানির পশু

  • ✓ উট
  • ✓ গরু
  • ✓ মহিষ
  • ✓ ছাগল
  • ✓ ভেড়া
  • ✓ দুম্বা

⌛ ছাগল, ভেড়া, দুম্বার বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে। ছয় মাসের ভেড়া যদি দেখতে বড় হয়, এক বছরের মতো মনে হয়, তাহলেও বৈধ।

⏰ গরু-মহিষের বয়স দুই বছর এবং উটের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (হিদায়া)

⛔ বন্য প্রাণী দিয়ে কোরবানি জায়েজ?

⚠ শরিয়তে বন্য প্রাণী (যেমন: হরিণ, বন্য গরু) দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নয়। কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট ৬টি গৃহপালিত পশুই অনুমোদিত। অন্য কোনো প্রাণী দিয়ে কোরবানি করলে তা হবে হারাম। (কাযীখান ৩/৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫)

⭐ সুতরাং, কোরবানি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে করতে হবে, যেন আমাদের নিয়ত হয় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।

Tags: বন্য প্রাণী কোরবানি, ইসলামিক বিধান, কোরবানির জন্য বৈধ পশু, halal korbanir niyom
Keywords: বন্য প্রাণী কোরবানি জায়েজ, কোরবানির পশু বাছাই, কোরবানি ২০২৫, ইসলামিক কোরবানি বিধান

কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য 😊✍️v

🐑 কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য: ইসলামি দৃষ্টিতে পশু জবাইয়ের গুরুত্ব ও বিধান

📖 কোরবানি করা হয় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে। আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেছেন:

“আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।”
(সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)

🌟 ইবাদত কী?
ইবাদত বলতে বোঝায়, যেসব কাজ বা কথা আল্লাহ পছন্দ করেন এবং ভালোবাসেন, তা প্রকাশ্যে বা গোপনে করা। কোরবানি এ ধরনের ইবাদতেরই অংশ। আল্লাহ কোরবানি শুধু তার জন্যই করার আদেশ দিয়েছেন। যেমন বলা হয়েছে:

“বলুন, আমার নামাজ, কোরবানি, জীবন-মরণ—সবই আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। তার কোনো শরীক নেই।”
(সূরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)

🕌 কোরবানি ও তাওহিদের শিক্ষা:
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, মুশরিকরা মূর্তির নামে পশু জবাই করতো। মুসলিমদের সব ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য হতে হবে। আল্লাহ বলেন:

“তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।”
(সূরা কাউসার, আয়াত: ২)

⚠️ কঠোর সতর্কবার্তা:
রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে পশু জবাই করে, আল্লাহ তার ওপর লানত করেন।”
(সহিহ মুসলিম, শরহে নববী)

📜 কোরআনের সতর্কতা:
“তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জবাই করা হয়েছে…”
(সূরা মায়িদা, আয়াত: ৩)

💡 কোরবানির মূল শিক্ষা:
আল্লাহর কাছে কোরবানির গোশত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না। পৌঁছায় শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আন্তরিকতা। যেমন বলা হয়েছে:

“আল্লাহর কাছে কোরবানির গোশত ও রক্ত কিছুই পৌঁছায় না; পৌঁছায় শুধু তোমাদের তাকওয়া।”
(সূরা হজ, আয়াত: ৩৭)

✅ সুতরাং, কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং তার ইবাদতের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ শিক্ষা অনুযায়ী চলার তাওফিক দিন। 🤲

Tags: কোরবানি, ইসলামিক ইবাদত, কোরবানি উদ্দেশ্য, ইসলামিক শিক্ষা, তাওহিদ
Keywords: কোরবানির উদ্দেশ্য, কোরবানি করার মূল উদ্দেশ্য, ইসলামি বিধান, তাওহিদ শিক্ষা, কোরবানির ফজিলত

ভাগ্যের খারাপ পরিণতি থেকে বাঁচার সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়া

ভাগ্যের খারাপ পরিণতি থেকে রক্ষার দোয়া: দোয়া ও অর্থসহ পূর্ণ গাইড

মানুষের জীবনে নানান ধরনের বিপদাপদ আসে। পবিত্র কোরআনের বাণীতে বলা হয়েছে, এসব বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। তবে অনেক সময় মানুষের পাপের কারণেও বিপদ আসে। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রিয় নবী (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন।

📖 পবিত্র কোরআনের বার্তা

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

“আর তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করো না, করলে তোমরা সাহস হারাবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। আর ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।”
– সুরা আনফাল, আয়াত : ৪৬
“আর আমরা তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের।”
– সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫

🕌 বিপদ থেকে রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দোয়া

রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, বিপদাপদ থেকে রক্ষা পেতে এই দোয়াটি পড়তে:

اللهمَّ إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوءِ الْقَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ
  

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালা-ই, ওয়া দারাকিশ শাকা-ই, ওয়া সু-ইল কদা-ই, ওয়া শামাতাতিল আ‘দা-ই।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কঠিন বিপদ, দুর্ভাগ্যে পতিত হওয়া, ভাগ্যের অশুভ পরিণতি এবং শত্রুর আনন্দিত হওয়া থেকে।

📚 দোয়ার গুরুত্ব

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়ার মাধ্যমে সমস্ত বিপদাপদ ও অশুভ পরিণতি থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন।

✅ তাই, আমাদের উচিত এই দোয়া নিয়মিত পড়া এবং জীবনে আল্লাহর উপর ভরসা রাখা।

Tags: ভাগ্যের খারাপ পরিণতি থেকে বাঁচার দোয়া, বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া, ইসলামিক দোয়া, দোয়ার ফজিলত, ইসলামিক শিক্ষা
Keywords: ভাগ্যের খারাপ পরিণতি থেকে বাঁচার দোয়া, বিপদ থেকে রক্ষার দোয়া, islamic prayer, islamic dua, দোয়ার অর্থ, dua to save from bad fate, dua for protection from calamities


Tuesday, May 27, 2025

🕋 ঈদুল আজহা ২০২৫: সৌদিতে চাঁদ দেখা, ঈদ ৬ জুন

🌙 সৌদিতে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ৬ জুন

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে হিজরি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশগুলোতে ২৮ মে (বুধবার) থেকে জিলহজ মাস শুরু হচ্ছে। সেই হিসাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ১০ জিলহজ, অর্থাৎ ৬ জুন (বৃহস্পতিবার)

ঈদুল আজহা ২০২৫: সৌদিতে চাঁদ দেখা, ঈদ ৬ জুন

সৌদিভিত্তিক ইসলামিক নিউজ প্ল্যাটফর্ম Inside the Haramain জানিয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ায় ৫ জুন পালিত হবে হজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ—আরাফাত দিবস। এদিন বিশ্বের লাখো হজযাত্রী আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। যারা হজে অংশ নিচ্ছেন না, অনেকেই এই দিনে রোজা রাখেন, যা নবীজি (সা.)-এর অন্যতম সুন্নত।

চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইন্দোনেশিয়া। ফলে এসব দেশেও ৬ জুন ঈদ উদযাপিত হবে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানে ২৭ মে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সেখানে জিলহজ মাস শুরু হবে একদিন পর। তাই পাকিস্তানে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৭ জুন (শুক্রবার)

ঈদুল আজহা মুসলমানদের জন্য আত্মত্যাগ ও কুরবানির মহান শিক্ষা নিয়ে আসে। এটি হজের দ্বিতীয় দিন পালিত হয় এবং এই দিনে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা পশু কুরবানি করে থাকেন।


📌 সংক্ষিপ্ত তথ্য:

  • 📍 চাঁদ দেখা গেছে: সৌদি আরব, আমিরাত, ওমান, ইন্দোনেশিয়া
  • 🕋 আরাফাত দিবস: ৫ জুন (বুধবার)
  • 🐄 ঈদুল আজহা: ৬ জুন (বৃহস্পতিবার)
  • 🇵🇰 পাকিস্তানে ঈদ: ৭ জুন (শুক্রবার)

শামসুদ্দিন মানিকের মৃত্যু গুজব, তিনি সুস্থ আছেন

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের মৃত্যুর গুজব ভিত্তিহীন, তিনি জীবিত ও সুস্থ: কারা অধিদপ্তর

Description of image

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিবার রাত থেকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে—সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মারা গেছেন। অনেকেই যাচাই না করেই শোকবার্তা দিচ্ছেন, কিন্তু কারা অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে, এটি সম্পূর্ণ ভুল। বিচারপতি মানিক এখনো জীবিত ও সুস্থ। তিনি রয়েছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ।

“তিনি সুস্থ আছেন। মৃত্যুর খবরটি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।”
— মো. জান্নাত-উল ফরহাদ, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন)

গুজবের উৎস কী?

একই রাতে মারা যান বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আরেক সাবেক বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক (৮২)। তিনি ঢাকার ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। নামের মিল থাকার কারণে অনেকেই ভুল করে এই মৃত্যুর খবর শামসুদ্দিন মানিকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন।

কারাগারে কেন আছেন মানিক?

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ২৩ আগস্ট সিলেট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক বিজিবির হাতে আটক হন। ২৪ আগস্ট ভোরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

Monday, May 26, 2025

বিশাল অন্ধকার জলাভূমি আবিষ্কৃত

বিশাল পৃথিবীর গভীরে নতুন পানির সন্ধান

Rounded Corner Image

বিজ্ঞানীদের নতুন একটি আবিষ্কার আলোচনা…

বিজ্ঞানীদের নতুন একটি আবিষ্কার আলোচনায় এসেছে, যেখানে তারা পৃথিবীর গভীরতম স্তরে এক বিশাল পানির মজুদ খুঁজে পেয়েছেন। এই পানির উৎস কেবল উপরের সাগর নয়, বরং এটি এক ধরনের খনিজের ভেতরে আটকানো পানিজ নামে রিংউডাইটে পরিণত। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এই অ্যান্ডারগ্রাউন্ড ওশান কোনও সাধারণ জলাধার নয়, বরং পৃথিবীর পৃষ্ঠের সাগরের চেয়েও তিন গুণ বড়!

গবেষকদের আবিষ্কার

গবেষকরা এই অদ্ভুত পানির সন্ধান পেয়েছেন ভূমিকম্পের সময় নির্গত কম্পনের ডেটা বিশ্লেষণ করে। হাজারো ভূমিকম্পের তথ্য একত্র করে তারা বুঝতে পেরেছেন, পৃথিবীর গভীর স্তরে কিছু পাথরের ভেতরে পানির আটকানো রয়েছে। এই পানি চোখে দেখা বা স্পর্শে পাওয়া যায় না, কারণ এটি রিংউডাইট নামের একটি ক্ষনিজের গঠনগত কাঠামোর মধ্যে আটকা পড়ে থাকে।

অভাবনীয় আবিষ্কার

এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে মহাকাশ অনুসন্ধান, পানির উৎস ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য নতুন দিক উন্মুক্ত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Sunday, May 25, 2025

এইচএসসি ২০২৫: নকলমুক্ত পরিবেশ ও নিয়ম

🎓 এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫: নকলমুক্ত পরিবেশ, নতুন নিয়ম ও নির্দেশনা [সর্বশেষ আপডেট]

Profile picture

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা ও সমমানের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা বোর্ড নিয়েছে নতুন ও কঠোর প্রস্তুতি। নকলমুক্ত পরীক্ষা, শৃঙ্খলাবদ্ধ পরীক্ষা কেন্দ্র এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি মূল লক্ষ্য সামনে রেখে এবার জারি করা হয়েছে ৩৩ দফা নির্দেশনা।

এখানে থাকছে পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য, পরীক্ষার নতুন নিয়ম, ও কেন্দ্রে প্রবেশ-বিধিসহ সকল আপডেট।

🧑‍🏫 প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১ জন পরিদর্শক – নজরদারিতে কড়াকড়ি

পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে, প্রতিটি কক্ষে যেন অন্তত দুইজন পরিদর্শক থাকেন, সে বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

hsc 2025 invigilation system, hsc exam hall monitoring

📏 ৩ ফুট দূরত্বে বসে পরীক্ষা – স্বাস্থ্যবিধি ও নকল প্রতিরোধ একসাথে

পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে যেমন নকল প্রতিরোধ সহজ হবে, তেমনি মানা হবে স্বাস্থ্যবিধিও

hsc seat plan 2025, exam center safety measures

📝 পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ের পরীক্ষা – পরিবর্তন হয়নি কাঠামো

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী।

  • পরীক্ষা হবে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ের
  • পরীক্ষা শুরু হবে: সকাল ১০টা ও বিকেল ২টায়
hsc 2025 syllabus, full marks hsc exam 2025

🔐 প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা

  • প্রশ্নপত্র খোলা যাবে শুধুমাত্র নির্ধারিত এসএমএস সেট অনুসারে
  • অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠাতে হবে সিলগালা অবস্থায়
  • প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আনার সময় থাকতে হবে পুলিশের উপস্থিতি ও ট্যাগ অফিসার
hsc 2025 question paper security, hsc board exam guidelines

🕒 কেন্দ্রে প্রবেশ ৩০ মিনিট আগে বাধ্যতামূলক

পরীক্ষার দিনে সকল পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কেউ দেরি করলে তার তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং বোর্ডে জমা দিতে হবে।

hsc exam center entry time, hsc 2025 exam rules

🚫 ভিড় রোধে কঠোর ব্যবস্থা ও সিসিটিভি নজরদারি

  • হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে জনসচেতনতা সৃষ্টি
  • কিছু কেন্দ্রে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা
  • প্রবেশপথে থাকবে নকল প্রতিরোধমূলক পোস্টার
hsc 2025 cctv camera, no crowd at exam centers

🌐 অনলাইন তথ্য ব্যবস্থাপনায় সতর্কতা

পরীক্ষা সংক্রান্ত অনলাইন তথ্য ব্যবস্থাপনাতেও থাকবে বিশেষ নজরদারি। কোনো ধরনের তথ্য ফাঁস বা অনিয়ম এড়াতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

hsc online info security, hsc 2025 digital exam system

📜 বোর্ডের পরীক্ষানীতিমালা মেনে চলার নির্দেশ

সকল কেন্দ্র সচিব, শিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বোর্ডের ২০২৫ সালের পরীক্ষানীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

hsc board rules 2025, hsc exam guidelines bangladesh

✅ শেষ কথা: প্রস্তুতি নিন নিয়ম মেনে, সাফল্য আপনার হাতেই

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে বোর্ড যেমন প্রস্তুত, তেমনি আপনাকেও হতে হবে প্রস্তুত। নিয়ম মেনে পড়াশোনা করুন, সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছান এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষা দিন।

সবার জন্য রইলো শুভ কামনা! 🍀

#HSC2025 #BangladeshEducation #HSCExamUpdate


🔍 অনুরোধ: পোস্টটি যদি আপনার উপকারে আসে, তাহলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সঙ্গে, যাতে তারাও পরীক্ষার সব আপডেট জানতে পারে।

Saturday, May 24, 2025

ঈদ ২০২৫ ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু, অনলাইনে ১ কোটির বেশি হিট

🎫 ঈদ ২০২৫: ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু — প্রথম দিনেই ১ কোটির বেশি হিট!

ঈদ ২০২৫ ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদুল আজহা ২০২৫ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে, আর শুরুতেই দেখা গেছে নজিরবিহীন সাড়া। মাত্র এক ঘণ্টায় ওয়েবসাইটে হিট পড়ে ১ কোটি ১৪ লাখ— যা এবারের ঈদ যাত্রায় এক বিশাল রেকর্ড।

✅ ট্রেনের ঈদ টিকিট ২০২৫: প্রথম দিনের হাইলাইটস

  • টিকিট বিক্রির তারিখ: ২৪ মে ২০২৫
  • ভ্রমণের তারিখ: ৩ জুন ২০২৫
  • মোট বরাদ্দ টিকিট: ৩২,৮৪১টি
  • বিক্রি হওয়া টিকিট (সকাল ৯টা পর্যন্ত): ১৯,৮৬৭টি
  • ওয়েবসাইট হিট: ১ কোটি ১৪ লাখ+

📅 অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময়সূচি (Going Journey)

ভ্রমণের তারিখ: ৩ জুন টিকিট সংগ্রহ: ২৪ মে
৪ জুন ২৫ মে
৫ জুন ২৬ মে
৬ জুন ২৭ মে

🔄 ঈদের পর ফিরতি ট্রেনের টিকিট (Return Journey)

৯ জুন ৩০ মে
১০ জুন ৩১ মে
১১ জুন ১ জুন
১২ জুন ২ জুন
১৩ জুন ৩ জুন
১৪ জুন ৪ জুন
১৫ জুন ৫ জুন

🌐 ট্রেন টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করুন

রেলওয়ে জানিয়েছে, এবার সব টিকিট অনলাইনেই সংগ্রহ করতে হবে। অতিরিক্ত চাপ এড়াতে অঞ্চলভিত্তিক ইস্যুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে:

  • পশ্চিমাঞ্চল: সকাল ৮টা থেকে
  • পূর্বাঞ্চল: দুপুর ২টা থেকে

👉 টিকিট সংগ্রহ করতে ভিজিট করুন: eticket.railway.gov.bd

📣 পরামর্শ

আপনি যদি ঈদের সময় ট্রেনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে নির্ধারিত দিনে অনলাইনে ঢুকে দ্রুত টিকিট সংগ্রহ করার প্রস্তুতি নিন। সময় মতো টিকিট না কাটলে তীব্র চাপের কারণে টিকিট না-ও পেতে পারেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঈদ ট্রেন টিকিট ২০২৫, অনলাইন ট্রেন টিকিট, ট্রেনের অগ্রিম টিকিট, eid train ticket 2025, railway online ticket booking, bangladesh eid train schedule

Thursday, May 22, 2025

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ২০২৫-২৬ সালের মহার্ঘ ভাতা অনুমোদন

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার নীতিগত অনুমোদন

২২ মে ২০২৫ | ২২:২৮

Descriptive Text

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর প্রস্তাব জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটিতে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। প্রথম থেকে নবম গ্রেডের সরকারি কর্মীদের জন্য ১৫ শতাংশ এবং ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সুবিধা আগামী ১ জুলাই থেকে পাওয়া যাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা এই ঘোষণা দিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পেছনের প্রেক্ষাপট ও বেতন কাঠামো

সরকারি কর্মচারীদের বেতন পুনর্গঠন পাঁচ বছর অন্তর হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম বেতন স্কেল কার্যকর হয়। এর পর আর নতুন স্কেল হয়নি। মূল্যস্ফীতির কারণে সরকারি কর্মচারীরা প্রতি বছর ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়ে আসছেন। তবে গত জাতীয় নির্বাচন আগে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়, যা এখনও কার্যকর রয়েছে।

মহার্ঘ ভাতা চালুর সঙ্গে সঙ্গে এই ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা বাতিল হবে।

অর্থনৈতিক প্রভাব ও বাজেট বরাদ্দ

অনুমোদিত মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নের ফলে সরকারের বার্ষিক ব্যয় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়বে। চলতি বাজেটে সরকারি বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২,৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০.৪১ শতাংশ। মহার্ঘ ভাতা যুক্ত হলে আগামী বাজেটে এই বরাদ্দ প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকা ছুঁতে পারে।

পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ

গত বছর ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়, যারা মহার্ঘ ভাতা বিষয়ক সমীক্ষা করে গ্রেডভিত্তিক বেতন থেকে ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করে। পরিকল্পনা ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এটি কার্যকর করার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এখন আবার নীতিগত অনুমোদন মিলেছে, ফলে শিগগিরই এটি কার্যকর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

SEO Keywords: সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা, ২০২৫-২৬ বাজেট, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, মহার্ঘ ভাতা অনুমোদন, বাংলাদেশ সরকারি চাকরি, জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটি, সরকারি বেতন স্কেল
Tags: #সরকারি_চাকরি, #মহার্ঘ_ভাতা, #বেতন_বৃদ্ধি, #২০২৫_বাজেট, #জনপ্রশাসন_কমিটি, #বাংলাদেশ_সরকার

সুচিত্রা সেনের নাম বদলে বিতর্ক: পাবনায় মহম্মদ ইউনুসের সিদ্ধান্তে উত্তেজনা

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে অপমান! পাবনায় নাম বদলে বিতর্কে মহম্মদ ইউনুস

২৩ মে ২০২৫ | আপডেট: রাত ৭:০০

সুচিত্রা সেনের নাম বদলে বিতর্ক: পাবনায় মহম্মদ ইউনুসের সিদ্ধান্তে উত্তেজনা

ঐতিহাসিক অপমান: সুচিত্রা সেনের নামে থাকা হোস্টেলের নাম বদলে দিলেন ইউনুস

ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলায়। সেখানেই কেটেছিল শৈশবকাল। পরে কলকাতায় পাড়ি দিয়ে হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্র জগতের এক অবিস্মরণীয় চরিত্র।

তাঁকে সম্মান জানিয়ে পাবনার একটি ছাত্রীনিবাসের নামকরণ করা হয়েছিল "সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস"। কিন্তু সম্প্রতি এই নামটি রাতারাতি পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে "জুলাই ৩৬ ছাত্রীনিবাস"। আর এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস

নাম পরিবর্তন ঘিরে চরম বিতর্ক

মঙ্গলবার পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ তিনটি ছাত্র-ছাত্রী নিবাসের নতুন নামফলক উন্মোচন করেন। সেখানে দেখা যায়:

  • সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাসজুলাই ৩৬ ছাত্রীনিবাস
  • শেখ রাসেল হোস্টেলবিজয়-২৪ ছাত্রবাস
  • বেগম ফজিলাতুন্নেসা হোস্টেলআয়েশা সিদ্দিকা

এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত এবং অপমানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী মহলে এই পদক্ষেপ নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সুচিত্রা সেনের উত্তরাধিকার নিয়ে প্রশ্ন

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের জন্ম হয়। তাঁর পৈতৃক ভিটেবাড়ি এখনও সেখানে রয়ে গেছে। একসময় ঘোষিত হয়েছিল যে বাড়িটি সংগ্রহশালা হিসেবে সংরক্ষিত হবে। কিন্তু নাম বদলের পর এই উদ্যোগ আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রাজনৈতিক বার্তা না ব্যক্তিগত অপমান?

অনেকেই বলছেন, ইউনুসের এই সিদ্ধান্ত ভারতের সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষের প্রতিফলন। অতীতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নাম ঘিরেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। এবার সুচিত্রা সেনের নাম মুছে দিয়ে আবারো সেই বিতর্কে আগুন ঢেলেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এই ঘটনা একটি সাধারণ নাম পরিবর্তনের চেয়ে অনেক বড়—এটি একটি সাংস্কৃতিক বার্তা, যা দুই বাংলার আবেগ ও ইতিহাসকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে।

SEO Keywords: সুচিত্রা সেন হোস্টেল, পাবনা ছাত্রীনিবাস নাম পরিবর্তন, মোহাম্মদ ইউনুস বিতর্ক, সুচিত্রা সেন অপমান, পাবনায় ইউনুস, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক, বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাস
Tags: #সুচিত্রা_সেন, #পাবনা, #মোহাম্মদ_ইউনুস, #নাম_বদল_বিতর্ক, #বাংলাদেশ_ভারত, #ছাত্রীনিবাস, #সংস্কৃতি_অপমান

২০২৫ সালের নতুন টাকা: আসছে ব্যক্তি-মুক্ত নোট ঈদের আগেই

২০২৫ সালে নতুন ডিজাইনের টাকা: ঈদের আগেই বাজারে আসছে ব্যক্তি-মুক্ত নোট । প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৫

2025 সাল নতুন ডিজাইনের টাকায় - ঈদোর আগেই বজার আসছে বেশি বিক্রি মুক্ত নোট

নতুন টাকা ২০২৫: ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি-মুক্ত মুদ্রা

বাংলাদেশের মুদ্রা ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৫ সালের ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে আসছে একেবারে নতুন ডিজাইনের টাকা, যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—কোনও ব্যক্তির ছবি থাকবে না

কেন এই পরিবর্তন?

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণদের সংগ্রামকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ। নতুন টাকায় ব্যবহৃত অবয়বগুলো কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির মুখ নয়; বরং তা তরুণদের চেতনার প্রতীক।

“নতুন টাকা শুধু লেনদেনের মাধ্যম নয়—এটি একটি রাষ্ট্রীয় বার্তা, যা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংযোগ ঘটায়।”

নতুন টাকার ডিজাইন একনজরে

মূল্যমান ডিজাইন উপাদান
৫ টাকাতরুণদের সাহসিকতার প্রতীকী অবয়ব
১০ টাকাজাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ও যুব ঐক্য
২০ টাকাসংগ্রামী গ্রাফিতি ও ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম
৫০ টাকাসাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
১০০ টাকাসুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণ
২০০ টাকাধর্মীয় বৈচিত্র্য
৫০০ টাকাঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল
১০০০ টাকাআধুনিক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি

নোট ছাপার অগ্রগতি

গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনে নতুন নোট ছাপার কাজ চলছে। প্রথমে আসছে ২০ টাকার নোট। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্যান্য মূল্যমানের নতুন মুদ্রা বাজারে ছাড়া হবে।

নতুন নোট কোথায় পাওয়া যাবে?

প্রথম ধাপে এগুলো সরবরাহ করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক শাখায়। এরপর বাণিজ্যিক ব্যাংকেও বিতরণ শুরু হবে।

গুজব বনাম বাস্তবতা

সামাজিক মাধ্যমে গুজব উঠেছে যে ‘আবু সাঈদ ও মুগ্ধের ছবি’ থাকবে ৫ টাকার নোটে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করে বলেছে, এটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন গুজব

বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা

এই নতুন নোট দেশের ইতিহাস, সংগ্রাম ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি। এটি কোনো দলের নয়, পুরো জাতির জন্য এক অন্তর্ভুক্তিমূলক বার্তা

শেষ কথা: ২০২৫ সালের নতুন টাকা শুধু ডিজাইন নয়, বরং একটি রাষ্ট্রীয় ও সাংস্কৃতিক বার্তা—যেখানে রয়েছে অতীতের গৌরব, বর্তমানের লড়াই এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনার ছাপ।

SEO কিওয়ার্ড: নতুন টাকা ২০২৫, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট, ব্যক্তি মুক্ত নোট, নতুন ডিজাইন টাকা, বাংলাদেশ মুদ্রানীতি ২০২৫, ঈদুল আজহা নতুন টাকা, বাংলাদেশি কারেন্সি আপডেট
ট্যাগসমূহ: #নতুন_টাকা, #বাংলাদেশ_ব্যাংক, #মুদ্রানীতি, #২০২৫, #ঈদুল_আজহা, #তরুণদের_সংগ্রাম, #বিনাব্যক্তি_নোট, #বাংলাদেশের_নতুন_মুদ্রা

Wednesday, May 21, 2025

ইসলামের দৃষ্টিতে সুস্থতা ও অসুস্থতা || Bukhari 5646

সুস্থতা ও অসুস্থতা: ইসলামের দৃষ্টিতে রহমত, পরীক্ষা ও পাপ মোচনের উপায়

সুস্থতা ও অসুস্থতা: ইসলামের দৃষ্টিতে রহমত, পরীক্ষা ও পাপ মোচনের উপায়

সুস্থতা নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলার এক বিরাট নেয়ামত। আর অসুস্থতা হতে পারে তাঁর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা।

মানবজীবনে সুস্থতা ও অসুস্থতা—এই দুটোই অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকেই ভুল করে মনে করেন, অসুস্থ হওয়া মানেই আল্লাহর অসন্তুষ্টি বা পাপের ফল। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। কোরআন ও হাদিস আমাদের জানান, আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবীদেরও মাঝে মাঝে অসুস্থতা দিয়েছেন।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-ও অসুস্থ হয়েছেন এবং কষ্ট ভোগ করেছেন।

হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মতো এত বেশি রোগ-যন্ত্রণা ভোগকারী আর কাউকে দেখিনি।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৪৬)

রোগ-ব্যাধির মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের দুনিয়ার কষ্টের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্ত করেন। শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়—যেকোনো দুঃখ, কষ্ট, উদ্বেগ, মানসিক যন্ত্রণা—সবই পাপ মোচনের মাধ্যম হতে পারে।

রাসুল (সা.) বলেন, “একজন মুসলিমের ওপর যে কষ্ট, ক্লেশ, রোগ, দুশ্চিন্তা বা যন্ত্রণাই আসুক না কেন—even যদি তার গায়ে একটি কাঁটা ফুটে—সব কিছুর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর গুনাহ মাফ করে দেন।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৪১)

বিপদে ভরসা রাখতে হবে আল্লাহর ওপর

পরীক্ষা জীবনের অংশ, এবং এই পরীক্ষাগুলো হয় মুমিনের ঈমানের শক্তি অনুযায়ী। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:

“আমি তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করব—ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতি এবং ফল-ফসলের অভাব দিয়ে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।”
(সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫)

আর রাসুল (সা.) বলেন:

“আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, তাকেই তিনি দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৪৫)

হতাশা নয়, বরং আস্থা ও দোয়ার মাধ্যমে এগিয়ে চলা

প্রত্যেক মুমিনের উচিত—কোনো দুঃখ, বিপদ বা রোগ-ব্যাধিতে হতাশ না হয়ে বরং আল্লাহর ওপর দৃঢ় আস্থা রাখা। তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া এবং ধৈর্য অবলম্বন করা।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন, আর যাঁরা অসুস্থ—তাঁদের দ্রুত আরোগ্য দান করুন। আমিন।

ট্যাগসমূহ: ইসলামিক শিক্ষা, হাদিস ও কোরআন, রোগ ও চিকিৎসা, আল্লাহর রহমত, মুমিনের পরীক্ষা, আত্মশুদ্ধি, দোয়া ও ধৈর্য, নবীজি (সা.)-এর জীবন

রোগের রহস্য ও রহমত

রোগের মাধ্যমে বোঝা যায় আল্লাহর রহমত ও পরীক্ষা

রোগের মাধ্যমে বোঝা যায় আল্লাহর রহমত ও পরীক্ষা

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক—জীবনে নানা রকম রোগ-ব্যাধি ও কষ্টের সম্মুখীন আমরা হই। এই দুঃখগুলো কেবল মর্যাদা কমানোর জন্য নয়, বরং এগুলিই এমন একটি আল্লাহর অসীম দয়া, যা আমাদের পাপমুক্তি ও আমল উন্নত করার সুযোগ বানিয়ে দেয়। আজ আমরা এই বিষয়ে একটু নতুনভাবে ভাবব।

আল্লাহের দয়া: কষ্টের ভিতর লুকানো রহমত

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি আল্লাহ তার কল্যাণ চান, তাকে দুঃখ-কষ্টে পতিত করেন।" (আধুনিক অনুবাদে)

অর্থাৎ, আমাদের জীবনে যেসব কষ্ট আসে, সেগুলিই হয়তো আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি পরিশুদ্ধির পথ। রোগ ও দুঃখ কখনোই আল্লাহর অমনোভাব নয়, বরং এটা সেই প্রেমের দেখানো রাস্তা—প্রতিষ্ঠিত হৃদয়কে নির্মল করে, দুর্বলতা দূর করে।

রোগের মাধ্যমে ক্ষমা পাওয়া ও উন্নতি

প্রতিদিনই শরীরের অসুস্থতা একজনের জন্য নানা রকম জাগরণের বার্তা নিয়ে আসে। মনে রাখা দরকার, এই কষ্টগুলো হয়তো আমাদের গুনাহের কাফফারা, বা পাপের চাপ কমানোর উপায়। এই সময়ে ধৈর্য্য ও বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর দিকে মনোযোগ দিলে, কেউ যেন অপেক্ষাকৃত শক্ত, ধৈর্য্যশীল ও খুশিমনে পরিণত হন।

নতুন ভাবনা: এই কষ্টগুলো কি আমাদের জন্য উপকারী?

অবশেষে বলা যায়, এই কষ্টগুলো আমাদের জন্য নির্দেশনা দেয়—আল্লাহ আমাদের কতটা ভালোবাসেন, এই মুহূর্তেই আমাদের মনোযোগ যেন তার দিকে থাকে। ধৈর্য্য ও প্রত্যয় দিয়ে এগুলির মোকাবেলা করলেই—the রোগের কাফফারা এবং আমলের উন্নতি হয়ে থাকে। এই ভাবনা মানসিক স্বস্থ্য ও আত্মিক উন্নয়নের দরজা খোলে।

উপসংহার

তাহলে, পরম করুণাময় আল্লাহ যখন আমাদের পরীক্ষায় ফেলেন, তখন মনে রাখতে হবে, এই কষ্টগুলোই সম্ভবত আমাদের জন্য রহমতের এক গভীর উপহার। পড়ে থাকুন ধৈর্য্য, ভরসা রাখুন, আর মনে রাখবেন—প্রতিটি কষ্টের মধ্যে লুকানো আছে এক নতুন জীবন প্রদানের সুযোগ।

আল্লাহ সবাইকে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি দিন ও আমাদের সব দুঃখ-কষ্টের কাফফারা হিসেবে এই সব কষ্ট স্বীকার করার শক্তি দিন। আমিন।

২০২৫ সালে রাজশাহী থেকে ঢাকায় আম পরিবহন: কেজিতে খরচ মাত্র ১২ টাকা

রাজশাহী থেকে ঢাকায় আম পরিবহন: কেজিতে ১২ টাকায় গুটি আমের মৌসুমি যাত্রা

রাজশাহী অঞ্চলে গুটি আম পাড়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ। চলবে আগস্ট পর্যন্ত। এই মৌসুমে জেলার বাগানগুলো থেকে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

মহানগর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার আম বাগান থেকে এখন কাঁচা ও পাকা আম সরবরাহ হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। শুধু তাই নয়, পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী আমের দোকান ও আড়ৎ। আমকে ঘিরে সৃষ্ট হয়েছে উৎসবের আবহ—পাড়া, বিক্রি, আত্মীয়দের জন্য পাঠানো ও আম-চিড়ার আয়োজন গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে উঠেছে।

তবে কিছু অসন্তোষও আছে চাষিদের মধ্যে। তারা অভিযোগ করছেন, ব্যবসায়ীরা মণ হিসেবে ৪০ কেজি আম কেনার কথা বলে ৪৫ থেকে ৪৮ কেজি পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা।

এ বছর রাজশাহী থেকে ঢাকায় প্রতি কেজি আম পরিবহনে খরচ পড়ছে ১২ টাকা। ঢাকার বাইরে দূরত্ব অনুযায়ী এই খরচ বেড়ে ২০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

আমচাষিরা জানিয়েছেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি বোঝা না গেলেও, ফলন বেশি হলে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। গুটি আমের পর ধাপে ধাপে বাজারে আসবে গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি ও আশ্বিনা জাতের আম।

রাজশাহীর বানেশ্বর বাজার, যা জেলার সবচেয়ে বড় আম হাট, সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার বসে। শুক্রবার এই হাটে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আম বিক্রি করতে এসেছেন।

ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আনোয়ার হোসেন জানান, সাগরিকা জাতের গুটি আম নামানো শুরু হয়েছে। প্রায় ৩০০ রকমের গুটি জাত রয়েছে যেগুলো অন্যান্য জাতের আগে পাকে। এর মধ্যে রয়েছে চোষা, বৈশাখী ও চাপড়া।

বাঘা উপজেলার আমচাষি আনোয়ার হোসেন পলাশ জানান, বড় গুটি আম মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১,৪০০ টাকায়, আর ছোট জাতের আম বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকায়। গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম হলেও, মৌসুমের শুরুতেই চাহিদা ভালো।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, \"গুটি জাতের আম পাড়া শুরু হয়ে গেছে, যা জুলাই পর্যন্ত চলবে। আমরা আশা করছি, এবার আম উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।\"

চলতি বছর রাজশাহীতে ১৯,৬০৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন।

Keywords: রাজশাহী আম পরিবহন, গুটি আম ২০২৫, আমের দাম রাজশাহী, রাজশাহী থেকে ঢাকায় আম, রাজশাহীর আম বাজার, গুটি আমের মৌসুম, আমচাষি সমস্যা, আমের হাট বানেশ্বর, আম পরিবহন খরচ, আম চাষ বাংলাদেশ

Tags: Mango Transport Cost, Rajshahi Mango Season, Guṭi Aam Bangladesh, Aam Business 2025, Rajshahi to Dhaka Mango Delivery, Seasonal Fruit Bangladesh

প্রাণ গ্রুপ এবার সংগ্রহ করবে ৬০ হাজার টন আম: কৃষক ও রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা

প্রাণ-এর উদ্যোগে মৌসুমি আম সংগ্রহে নতুন মাইলফলক

দেশের শীর্ষ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ এবারও আম সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিশাল উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মৌসুমে তারা ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে, যা থেকে তৈরি হবে ম্যাংগো ড্রিংক, জুস, ম্যাংগো বারসহ নানা পণ্য। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ভোক্তাদের মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের দিকেই নয়, কৃষক-ভিত্তিক একটি টেকসই চেইন গড়তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রাণ গ্রুপ ৬০ হাজার টন আম সংগ্রহ

রাজশাহীর গোদাগাড়ি বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা। এই কার্যক্রমের আওতায় রাজশাহী ও নাটোরে অবস্থিত কারখানাগুলোতে আম সংগ্রহ এবং পাল্পিং কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১২ হাজার চুক্তিভিত্তিক আম চাষির কাছ থেকে আম সংগ্রহ করা হবে। নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও সাতক্ষীরা—এই জেলাগুলো প্রাণ-এর আম সংগ্রহের মূল কেন্দ্র।

সেরা মানের পাল্প পেতে প্রতিষ্ঠানটি গুটি ও আশ্বিনা জাতের আম বেছে নিচ্ছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তার মাধ্যমে উৎপাদনের মানও বাড়ানো হয়েছে। এই সহায়তার ফলে এসব অঞ্চলে গুটি ও আশ্বিনা জাতের আমের চাষ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

আম সংগ্রহের পর একাধিক ধাপে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়। পাকা, পোকামুক্ত ও নিরাপদ আম বাছাই করে তা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এরপর স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির সাহায্যে পাল্প তৈরি করে অ্যাসেপটিক ব্যাগে করে কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়।

এই পাল্প পরবর্তী সময়ে প্রাণ-এর নিজস্ব কারখানায় নিয়ে গিয়ে তৈরি হয় ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক ও জুস। সবকিছুই হয় সম্পূর্ণ অটোমেটেড এবং স্পর্শবিহীন প্রযুক্তিতে। প্রাণ-এর এই পণ্য বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

ইলিয়াছ মৃধা বলেন, "মানসম্পন্ন কাঁচামালই উৎকৃষ্ট পণ্যের মূল ভিত্তি। তাই আমরা সরাসরি উৎপাদনের এলাকায় কারখানা স্থাপন করেছি যাতে কৃষকদের কাছ থেকে সহজেই আম সংগ্রহ করা যায়। এতে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।"

তিনি আরও জানান, শুরুতে গুটি আম এবং পরে আশ্বিনা আম দিয়ে পাল্প তৈরি হবে, এবং এই কার্যক্রম আমের সরবরাহ থাকা পর্যন্ত চলবে।

বাংলাদেশের ফ্রুট ড্রিংক ও জুস বাজার বর্তমানে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার, এবং প্রতিবছর তা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। প্রাণ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবনী উদ্যোগই এই বাজারের প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখছে।

Tags: Pran Group, Mango Pulping, Agro Industry, Contract Farming, Mango Juice Export, Fruit Drink Market, Rajshahi Mango, Natore Agro Factory, Bangladesh Export, Seasonal Fruit Processing

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টির কারণে আমের ব্যাপক ক্ষতি ও বাজারে দরকারি পতন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আমের ক্ষতি: দাম কমে যাওয়ায় চাষিদের দুশ্চিন্তা


চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আমের ক্ষতি ভয়াবহ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান মৌসুমে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণেই ব্যাপক আমের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গোমস্তাপুরসহ জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় আমের ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে, যার ফলে আমের দাম পড়েছে চড়ান্তভাবে। এই ক্ষতিগ্রস্ত আমগুলো সাধারণত সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা দেখে ভুক্তভোগী কৃষক ও ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত আমের প্রকারভেদ ও বিক্রির অবস্থা

বিশেষ করে, ১৬-১৭ মে রাতে ঝড়বৃষ্টির কারণে ফজলি, গোপালভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতি, গুটিসহ বিভিন্ন আমের অপ্রাপ্তবয়স্ক ফল ঝরে পড়ে যায়। অধিকাংশ আমই কুড়িয়ে বিক্রি করছেন স্থানীয় মানুষ, দাম পড়েছে খুবই অপর্যাপ্ত। সম্প্রতি এই আমগুলো কেবল আচারের জন্য বিক্রি হচ্ছে, তবে দাম স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।

কৃষকদের মন্তব্য ও ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া

আমচাষী তামিম জানালেন, শুক্রবার রাতে ঝড় ও বৃষ্টির ফলে অনেক আম পড়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমরা এসব আম কুড়িয়ে বিক্রি করছি, দাম সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজি।”

একজন পাইকারি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, “ঝড়ে ঝরে পড়া আমগুলো বেশির ভাগই অপরিপক্ব। এগুলো আমের জন্য উপযুক্ত নয়, তাই এখন মাত্র সস্তায় বিক্রি করছি।” অন্য ব্যবসায়ী মাসুদ হাসান জানান, ঝড়ে পড়ে যাওয়া আমের দাগ পড়ে গেলে অনেক সময় এগুলোর ব্যবহার হয় না, ফলে জুস ফ্যাক্টরিতে যায় না। তিনি বলছেন, এখন এই অপ্রাপ্তবয়স্ক আম ঢাকায় ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ ও সরকারি প্রতিবেদন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী

Tuesday, May 20, 2025

জান্নাতের স্তর ও জিহাদের ফজিলত: ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ || Bukhari 2790

জান্নাতের মর্যাদা ও আল্লাহর পথে জিহাদের তাৎপর্য: এক বিশ্লেষণ

কীওয়ার্ড: জান্নাতের মর্যাদা, আল্লাহর পথে জিহাদ, ফেরদাউস জান্নাত, আরশে রহমান, রসূলুল্লাহর হাদিস

ইসলামের মৌলিক শিক্ষা হিসেবে জান্নাত ও জিহাদের গুরুত্ব অতীব স্পষ্ট। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বাণীটি প্রদান করেছেন, তা ইসলামের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক স্তরে গভীর প্রভাব ফেলে। এখানে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান, নিয়মিত সালাত ও রমজানের সিয়ামের পাশাপাশি আল্লাহর পথে জিহাদের বিষয়টি ‘জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা’ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।

জান্নাতের মর্যাদা ও আল্লাহর পথে জিহাদের তাৎপর্য

জান্নাতের স্তর ও মর্যাদা

হাদিসে উল্লেখিত একশ’টি মর্যাদার স্তর ধারণা দেয় যে জান্নাত কোনো একমাত্রিক বা একরকম জায়গা নয়; বরং এটি বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত একটি জটিল ও সুউচ্চ বসতি। দুই স্তরের ব্যবধান আসমান ও যমীনের দূরত্বের মতো বিশাল, যা জান্নাতের মর্যাদার পরিসর ও ভিন্নতা বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ।

ফেরদাউস জান্নাতের উচ্চতা ও মর্যাদা

রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফেরদাউসকে সর্বোচ্চ জান্নাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা আল্লাহর কাছে বিশেষ আবেদনযোগ্য। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে জীবনের চরম লক্ষ্য ও পরম বাসনা হিসেবে ফেরদাউসকে গ্রহণ করা উচিত, যেখানে আল্লাহর নৈকট্য পাওয়া যায়।

আরশে রহমানের উপরের অবস্থান

আরশের ওপর জান্নাতের অবস্থান বিষয়ক বর্ণনা হাদিসে এসেছে, যা আধ্যাত্মিক মহত্ত্বের একটি উচ্চতর স্তর নির্দেশ করে। আরশের নিচ দিয়ে প্রবাহিত নদি জান্নাতের নদীগুলো, আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতের ধারাকে প্রকাশ করে, যা জান্নাতের বাসিন্দাদের জন্য অবিরাম বরকত বয়ে আনে।

জিহাদের বিশ্লেষণ

হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো যে, আল্লাহর পথে জিহাদ করুক বা জন্মভূমিতে থাকুক, যারা ঈমান, সালাত ও সিয়াম পালন করে তাদের জান্নাতে প্রবেশ নিশ্চিত। এটি বুঝায় যে শুধুমাত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করাই নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠা ও সততা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ‘জিহাদ’ একটি বিস্তৃত ধারণা হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।

উপসংহার

এই হাদিসের মাধ্যমে ইসলামের গভীর শিক্ষা উঠে আসে যে, জান্নাতের মর্যাদা ও স্তরসমূহ অত্যন্ত বিশাল এবং ঈমানদারদের জন্য আল্লাহর পথে অবিচল থাকা অপরিহার্য। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ধারাবাহিক ইবাদত ও জিহাদ আমাদের জীবনের মূল চালিকা শক্তি হওয়া উচিত।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَصَامَ رَمَضَانَ، كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ جَاهَدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوْ جَلَسَ فِي أَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا ‏"‏‏.‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نُبَشِّرُ النَّاسَ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ أَعَدَّهَا اللَّهُ لِلْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، مَا بَيْنَ الدَّرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ، فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ، فَإِنَّهُ أَوْسَطُ الْجَنَّةِ وَأَعْلَى الْجَنَّةِ، أُرَاهُ فَوْقَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ، وَمِنْهُ تَفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ ‏"‏‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ عَنْ أَبِيهِ ‏"‏ وَفَوْقَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ ‏"‏‏.‏

ট্যাগ: #ইসলামিক_বিশ্লেষণ #জান্নাতের_মর্যাদা #আল্লাহর_পথে_জিহাদ #ফেরদাউস_জান্নাত #আরশে_রহমান

হাদীসের আলোকে জিহাদের সত্য রূপ: আত্মত্যাগ ও নৈতিকতার শিক্ষা || Bukhari 2787

জিহাদের প্রকৃত শিক্ষা: হাদীসের আলোকে আত্মত্যাগ ও নৈতিকতা

ইসলাম শান্তি, ন্যায় ও আত্মত্যাগের ধর্ম। এ ধর্মে "জিহাদ" কেবল অস্ত্র ধারণের নাম নয়; বরং এটি একটি বিস্তৃত ধারণা—যেখানে একজন মুমিন তার সময়, শক্তি, সম্পদ এমনকি জীবন দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করে।

জিহাদের প্রকৃত শিক্ষা

এ প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

“আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি:
আল্লাহর পথে যে মুজাহিদ জিহাদে অংশ নেয়—আসলে কে সত্যিকারভাবে আল্লাহর জন্য জিহাদ করছে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন—সে একজন নিয়মিত রোজাদার ও সালাত আদায়কারীর মতো।
আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য এই অঙ্গীকার করেছেন—যদি সে শহীদ হয়, তাহলে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; আর যদি ফিরে আসে, তাহলে গনীমতসহ নিরাপদে ফিরিয়ে আনবেন।”

(সহীহ বুখারী, হাদীস: ২৭৮৭)

📌 এই হাদীস থেকে আমরা কী শিখি?

১. নিয়তের বিশুদ্ধতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

জিহাদ মানে শুধু বাহ্যিক যুদ্ধ নয়—আসল বিষয় হলো নিয়ত। কে প্রকৃতভাবে আল্লাহর জন্য কিছু করছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। আমাদের প্রত্যেক কাজেই এই নিয়তের শুদ্ধতা থাকা জরুরি।

২. আত্মত্যাগের চূড়ান্ত মর্যাদা

আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা এমন এক ইবাদত, যার প্রতিদান দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই পাওয়া যায়। একজন মুজাহিদ যদি শহীদ হন, তার জন্য জান্নাত নিশ্চিত। আর জীবিত ফিরে এলে থাকছে নিরাপত্তা ও পুরস্কার।

৩. সিয়াম ও সালাতের মর্যাদা

জিহাদের তুলনা করা হয়েছে নিয়মিত রোজা রাখা ও সালাত আদায়ের সঙ্গে। এটি ইঙ্গিত দেয়—এই আমলগুলোও আত্মগঠনমূলক জিহাদের অংশ। তাই প্রতিদিনকার ইবাদতও জিহাদের একটি রূপ।

৪. দায়িত্ব গ্রহণের শিক্ষা

আল্লাহ তাআলা নিজেই মুজাহিদের প্রতিদানের দায়িত্ব নিয়েছেন। এটা আমাদের শেখায়—যখন আমরা আল্লাহর জন্য কিছু করি, তখন তাঁর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও পুরস্কার অবশ্যম্ভাবী।

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَثَلُ الْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ـ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَنْ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِهِ ـ كَمَثَلِ الصَّائِمِ الْقَائِمِ، وَتَوَكَّلَ اللَّهُ لِلْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِهِ بِأَنْ يَتَوَفَّاهُ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ، أَوْ يَرْجِعَهُ سَالِمًا مَعَ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ ‏"‏‏.‏

Narrated Abu Huraira: I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "The example of a Mujahid in Allah's Cause-- and Allah knows better who really strives in His Cause----is like a person who fasts and prays continuously. Allah guarantees that He will admit the Mujahid in His Cause into Paradise if he is killed, otherwise He will return him to his home safely with rewards and war booty."

Sahih al-Bukhari 2787

🔍 উপসংহার

এই হাদীস আমাদের এক গভীর বার্তা দেয়—আল্লাহর পথে চেষ্টা ও আত্মত্যাগ কখনোই বৃথা যায় না। জিহাদ শুধু যুদ্ধ নয়, এটি আত্মশুদ্ধির, নৈতিকতা রক্ষার, ও সৎ পথে দৃঢ়তার প্রতীক। আমাদের উচিত, প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে যাওয়া—হোক তা ছোট্ট একটি সৎকাজ বা বড় কোনো ত্যাগ।


📚 ইসলামকে জানতে হলে, কেবল চিহ্নিত আমল নয়—তার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য ও নৈতিকতাকেও বোঝা জরুরি। জিহাদের এই হাদীস আমাদের সেই পথেই আলোকপাত করে।

মহেশখালীতে সৌদি রিফাইনারি: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ইতিহাস গড়ার পথে

সৌদি বিনিয়োগে মহেশখালীতে বিশাল তেল রিফাইনারি: বদলে যাবে বাংলাদেশের জ্বালানি খাত?

বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি জায়ান্ট Saudi Aramco চট্টগ্রামের মহেশখালীতে একটি অত্যাধুনিক তেল পরিশোধনাগার স্থাপনে আলোচনায় বসেছে। সফল হলে এটি হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক বিনিয়োগগুলোর একটি।

মহেশখালী রিফাইনারি চিত্র

বাংলাদেশে বর্তমানে বার্ষিক ৬০ লাখ টন তেলের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু ইস্টার্ন রিফাইনারি পারছে মাত্র ১৫ লাখ টন পরিশোধন করতে। ফলে প্রতিবছর ৪৫ লাখ টন তেল আমদানিতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়।

Saudi Aramco ২০১৯ সাল থেকেই মহেশখালীতে একটি রিফাইনারি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করে, যার পরিশোধন ক্ষমতা হবে বছরে ৩-৬ মিলিয়ন টন। বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ২০-৩০ বিলিয়ন ডলার।

জ্বালানি খাতে সম্ভাব্য লাভ

  • প্রতি বছর ৫,০০০+ কোটি টাকার তেল আমদানির খরচ কমবে
  • ৪,০০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়
  • ৬,০০০ নতুন স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ
  • মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার আরও সক্ষম হবে
  • স্থানীয় জ্বালানি শিল্পে বড় উন্নয়ন

যদি সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়, তাহলে ২০২৫ সালের মধ্যেই ফিনান্সিয়াল ক্লোজিং হবে। এরপর মহেশখালী হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রিফাইনারি হাব।


#মহেশখালী_রিফাইনারি #SaudiAramco_Bangladesh #বাংলাদেশ_জ্বালানি_স্বাধীনতা #তেল_পরিশোধনাগার #বৈদেশিক_বিনিয়োগ #Maheshkhali_oil_project

স্কুবা ডাইভিংয়ের সূচনা কি আসলে ৩,০০০ বছর আগেই হয়েছিল? অ্যাসিরীয়দের প্রযুক্তির চমক

প্রাচীন অ্যাসিরীয়দের ‘স্কুবা ডাইভিং’: ৩,০০০ বছর আগেই পানির নিচে নিঃশ্বাস নেওয়ার চমকপ্রদ উদ্ভাবন!

প্রাচীন অ্যাসিরীয় ফলক

আজকের আধুনিক স্কুবা ডাইভিং প্রযুক্তি দেখে অনেকেই ভাবেন, পানির নিচে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা হয়তো আধুনিক বিজ্ঞানের দান। কিন্তু ইতিহাস বলছে ভিন্ন কথা! প্রায় ৩,০০০ বছর আগে, প্রাচীন অ্যাসিরীয় সভ্যতার যোদ্ধারাই যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করত এক ধরনের প্রাথমিক ‘স্কুবা গিয়ার’—তা-ও ছাগলের চামড়ায় তৈরি!

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি মাটির ফলকে দেখা যায়, এক অ্যাসিরীয় সৈনিক ডুবসাঁতার দিচ্ছেন, আর তার শরীরে বাঁধা রয়েছে এক ধরনের ফোলানো থলে। গবেষকদের ধারণা, ছাগলের চামড়ায় তৈরি এই থলেটি তার জন্য কাজ করত ভাসমান বয়া এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার উপকরণ হিসেবে। অর্থাৎ, এই থলের মাধ্যমে সৈনিকটি দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকতে পারতেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শ্বাস নিতে পারতেন।

অ্যাসিরীয় যুদ্ধ কৌশলের প্রাচীন চিত্র

এই অসাধারণ ফলকটি খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতাব্দীর, এবং বর্তমানে এটি সংরক্ষিত আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। প্রাচীন অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য কেবল অস্ত্র বা সেনাবাহিনীর জোরে নয়, বরং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কৌশলের মাধ্যমেও তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। শত্রুর চোখ ফাঁকি দিতে সৈন্যদের এভাবেই নদীর নিচ দিয়ে পাঠানো হতো—এক অভাবনীয় কৌশল।

এই ঐতিহাসিক উদাহরণটি প্রমাণ করে যে প্রাচীন প্রযুক্তি ও সামরিক কৌশল আজকের আধুনিক প্রযুক্তির অনেক ভিত্তিই স্থাপন করে দিয়েছে।


🔑 কীওয়ার্ড: প্রাচীন স্কুবা ডাইভিং, অ্যাসিরীয় সভ্যতা, পানির নিচে নিঃশ্বাস, প্রাচীন যুদ্ধ কৌশল, ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ইতিহাসের অজানা তথ্য, প্রাচীন প্রযুক্তি, Assyrian underwater tactics

🏷️ ট্যাগ: #ইতিহাস #প্রাচীনপ্রযুক্তি #স্কুবাডাইভিং #অ্যাসিরীয়সভ্যতা #ব্রিটিশমিউজিয়াম #UnderwaterHistory #AncientTechnology #MilitaryTactics

Monday, May 19, 2025

১৯ মে ২০২৫: বাংলাদেশের আবহাওয়ার সতর্কবার্তা | ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হবে এই জেলাগুলোতে

🌪️ ১৪ জেলায় ঝড়ের সতর্কতা, নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত | আজকের আবহাওয়ার খবর

🗓️ প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৫ | ✍️ 

Bangladesh Storm Warning May 2025

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সোমবার জানিয়েছে, দেশের ১৪টি জেলার ওপর দিয়ে দমকা হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে। এসব জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

⏰ কখন ঝড়ের সম্ভাবনা?

ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে দুপুর ২:৩০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। ঝড়ের গতি হতে পারে ৪৫ থেকে ৬০ কিমি/ঘণ্টা

📍 ঝড়প্রবণ ১৪টি জেলা:

  • রংপুর
  • দিনাজপুর
  • বগুড়া
  • রাজশাহী
  • পাবনা
  • যশোর
  • কুষ্টিয়া
  • ফরিদপুর
  • ঢাকা
  • কুমিল্লা
  • নোয়াখালী
  • টাঙ্গাইল
  • ময়মনসিংহ
  • সিলেট

🌧️ আজকের আবহাওয়ার সারাংশ:

  • রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
  • ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় হালকা/মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
  • রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের আশঙ্কা।

✅ জনসাধারণের জন্য পরামর্শ:

  • নদীপথে চলাচল এড়িয়ে চলুন বা সতর্ক থাকুন।
  • বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা ও গাছের নিচে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন এবং আবহাওয়ার আপডেট অনুসরণ করুন।

📌 গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড (SEO Keywords):

বাংলাদেশের আবহাওয়া ২০২৫, আজকের আবহাওয়ার খবর, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত, ঝড়ের পূর্বাভাস বাংলাদেশ, বৃষ্টি ও বজ্রপাত ১৪ জেলা, বাংলাদেশ ওয়েদার আপডেট, মে ২০২৫ আবহাওয়ার পূর্বাভাস

🏷️ ট্যাগ (Tags):

#বাংলাদেশআবহাওয়া #ঝড়বৃষ্টি #নদীবন্দরসতর্কতা #WeatherAlert #StormWarningBD #বজ্রপাত #বৃষ্টিপাত #BangladeshWeather2025 #May2025Weather #নদীবন্দরসংকেত

📢 আপনার আশেপাশে যারা নদীপথে চলাচল করেন বা খোলা জায়গায় কাজ করেন, তাদের সঙ্গে এই খবরটি শেয়ার করুন।

২১ মে সচিবালয় অভিমুখে শিক্ষকদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা

📢 সচিবালয় অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লংমার্চ ২১ মে

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৫

Teacher Long March to Secretariat
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লাগাতার কর্মসূচির অংশ লংমার্চ

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও আর্থিক বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২১ মে বুধবার দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে “লংমার্চ টু সচিবালয়”।

✊ চলবে লাগাতার আন্দোলন

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। তিনি বলেন—

“যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা না হবে, ততদিন পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান চলবে। ২১ মে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে।”

📌 শিক্ষকরা কী দাবি করছেন?

  • শতভাগ উৎসবভাতা প্রদান
  • সরকারি শিক্ষকদের মতো বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা
  • মাধ্যমিক শিক্ষার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয়করণ
  • শিক্ষাক্ষেত্রে সকল ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ

জাতীয় পর্যায়ের এক শিক্ষক আল আমিন বলেন—

“আমরা কোনো পার্সেন্ট চাই না, চাই ১০০% উৎসবভাতা। ঈদের আগেই ঘোষণা চাই।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করছি— মাধ্যমিক শিক্ষা দ্রুত জাতীয়করণ করুন ও একটি স্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি করুন।”


🔍 Keywords:

এমপিওভুক্ত শিক্ষক, সচিবালয় লংমার্চ, শিক্ষক আন্দোলন, শিক্ষা জাতীয়করণ, উৎসবভাতা, সরকারি বেতন, MPO teacher protest, Teacher Long March 2025

🏷️ Tags:

#জাতীয়করণ #শিক্ষা_আন্দোলন #MPO2025 #TeacherProtest #শিক্ষকসমস্যা #বাংলাদেশ_শিক্ষা

📢 আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন । আপনার মতামত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন।

সাকিব-মোস্তাফিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে হতাশাজনক পারফরম্যান্স

🏏 পিএসএল ও আইপিএলে প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ সাকিব-মোস্তাফিজ

তারিখ: ১৯ মে ২০২৫
লিখেছেন: স্পোর্টস ডেস্ক

Shakib and Mustafiz fail on return to PSL and IPL

বাংলাদেশের দুই ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানমোস্তাফিজুর রহমান ফের মাঠে নামলেন তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হয়ে। তবে পিএসএল ২০২৫ এবং আইপিএল ২০২৫–এর প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন এই দুই অভিজ্ঞ তারকা।

✦ সাকিবের নিষ্প্রভ ফেরা পিএসএলে

১৬৯ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, পিএসএলে লাহোর কালান্দার্স-এর হয়ে। তবে প্রথম বলেই আউট হয়ে ব্যাট হাতে ফিরেছেন হতাশাজনকভাবে। বোলিংয়েও ছিলেন নিষ্প্রভ—২ ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান, কোনো উইকেট পাননি।

তবে দলগত দিক থেকে সাকিবের লাহোর কালান্দার্স ভালো করেছে। বৃষ্টির কারণে ১৩ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচে ২৬ রানে জয় পায় তারা। আগে ব্যাট করে লাহোর তোলে ১৪৯ রান, জবাবে পেশোয়ার জালমি থামে ১২৩ রানে।

✦ মোস্তাফিজের ম্লান পারফরম্যান্স আইপিএলে

অন্যদিকে, শারজায় বাংলাদেশের হয়ে খেলার পর একদিনের ব্যবধানে দিল্লিতে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস-এর হয়ে মাঠে নামেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে পড়েন খরুচে। তিন ওভারে দেন ২৪ রান, উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।

গুজরাট টাইটান্স কোনও উইকেট না হারিয়ে দিল্লির করা ১৯৯ রান টপকে যায়, লোকেশ রাহুল-এর দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে।

মোস্তাফিজ আইপিএলের জন্য ২৪ মে পর্যন্ত এনওসি পেয়েছেন। তাই লিগ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে দিল্লির স্কোয়াডে থাকবেন তিনি। সাকিব অবশ্য লাহোরের হয়ে পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলোয় খেলবেন পূর্ণ সময় ধরে।


🔍 মূল কীওয়ার্ড (Keywords):

সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, পিএসএল ২০২৫, আইপিএল ২০২৫, লাহোর কালান্দার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, গুজরাট টাইটান্স, ক্রিকেট আপডেট, বাংলাদেশ ক্রিকেটার

🏷️ ট্যাগ (Tags):

#ShakibAlHasan, #MustafizurRahman, #PSL2025, #IPL2025, #BangladeshCricket, #LahoreQalandars, #DelhiCapitals, #CricketNews, #MatchHighlights, #CricketBlog

📢 আরও ক্রিকেট আপডেট পেতে চোখ রাখুন
✍️ আপনার মতামত নিচে কমেন্টে জানান!

Sunday, May 18, 2025

আইপিএল ফাইনাল ইডেনেই, কোহলির অবসরে চমকে গেলেন সৌরভ

সৌরভ আশাবাদী, ইডেনেই হবে আইপিএলের ফাইনাল — অবাক কোহলির অবসরে

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কোহলির অবসরের আলোচনা

আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে জল্পনা বাড়লেও, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পরিষ্কার করে জানিয়েছেন— ইডেন গার্ডেন্সেই হবে ফাইনাল। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেন, “বোর্ডের সঙ্গে কথা বলছি। এত সহজে ফাইনাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইডেনেই প্লে-অফ ও ফাইনাল হবে বলে আমরা আশাবাদী।”

বৃষ্টির শঙ্কায় ফাইনাল ম্যাচ অন্য মাঠে—বিশেষ করে আহমেদাবাদে—সরিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন চললেও, সৌরভ বিষয়টিকে নাকচ করে দেন। তিনি মনে করেন, ইডেন থেকে ম্যাচ সরানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “প্রতিবাদ করে খুব একটা কিছু হয় না। বোর্ড ও সিএবির সম্পর্ক খুব ভালো। কলকাতায় লিগের ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ায় সূচিতে ইডেনের নাম নেই।”

কোহলির হঠাৎ অবসরে বিস্মিত সৌরভ

সম্প্রতি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। সৌরভ এই সিদ্ধান্তে অবাক। তিনি বলেন, “বিরাটের অবসর আমাকে চমকে দিয়েছে। ওর ক্যারিয়ার অসাধারণ। রোহিতের ক্ষেত্রেও তাই। তবে এটি অবশ্যই ওদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”

নতুন টেস্ট অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা চলছে। শুভমন গিল কিংবা ঋষভ পন্থের নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই বিষয়ে সৌরভের মন্তব্য, “নির্বাচকদের বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় যেতে হবে। যেমন বুমরাহর ইনজুরি প্রবণতা বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি।”

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আইপিএল ফাইনাল ২০২৫, ইডেন গার্ডেন্স, বিরাট কোহলি অবসর, রোহিত শর্মা অবসর, টেস্ট অধিনায়ক ভারত, শুভমন গিল অধিনায়ক, বুমরাহ ইনজুরি, কোহলি টেস্ট অবসর, IPL 2025 Eden, Sourav Ganguly on Kohli retirement
      

মুস্তাফিজ আজই মাঠে, বাংলাদেশের হয়ে খেলার পরদিন দিল্লির একাদশে

মুস্তাফিজ আজই মাঠে, বাংলাদেশের হয়ে খেলার পরদিন দিল্লির একাদশে

Mustafizur Rahman Playing for Delhi Capitals

বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান আবারও আলোচনায়। শনিবার (১৭ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার পর রোববার (১৮ মে) আইপিএলের ম্যাচ খেলছেন তিনি। মাত্র একদিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষে আইপিএল খেলতে রওনা দিয়েছেন এই গতিময় পেসার।

দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আজ রাত ৮টায় বাংলাদেশ সময় মাঠে নামছেন মুস্তাফিজ। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির হোম গ্রাউন্ডে। টস জিতে গুজরাট ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, ফলে ব্যাটিং দিয়ে শুরু করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

মুস্তাফিজ আছেন দিল্লির আজকের একাদশে। ইনজুরির কারণে না থাকা মিচেল স্টার্কের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন ফিজ। তিন পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে দল সাজিয়েছে অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল।

তবে ফিজকে একাদশে রাখা নিয়ে আগে থেকেই কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ মাত্র একদিন আগেই দুবাইয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ভ্রমণ ও ক্লান্তির বিষয়টি মাথায় রেখেও দিল্লির টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করেছে, ফিজ খেলার জন্য প্রস্তুত। ফলে ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নিশ্চিত হয় তার একাদশে থাকা।

উল্লেখ্য, এবারের আইপিএলে মাঝপথে দলে যোগ দেন মুস্তাফিজ। ১৪ মে তাকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। বিসিবি থেকে ৭ দিনের এনওসি পেয়েছেন তিনি, যার মেয়াদ ১৮ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত। এই সময়কালে দিল্লির রয়েছে তিনটি ম্যাচ—যার প্রথমটিতেই আজ মাঠে নামলেন মুস্তাফিজ।

মুস্তাফিজুর রহমান, আইপিএল ২০২৫, দিল্লি ক্যাপিটালস, গুজরাট টাইটান্স, আজকের ম্যাচ, mustafizur rahman ipl, mustafiz plays for delhi, বিসিবি এনওসি, national team to ipl, cricket news bangla, mustafiz latest news

ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে নুসরাত ফারিয়া: সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য?

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে নুসরাত ফারিয়াকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | আপডেট: ১৯:০০, মে ১৮, ২০২৫

নুসরাত ফারিয়া

ঢাকা: ঢাকায় সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর ভাটারা এলাকায় শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি হিসেবে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। রোববার (১৮ মে) রাজধানীর ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

ওসি বলেন, "এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি, তবে প্রক্রিয়াধীন আছে এবং আশা করা হচ্ছে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।"

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও জানান, "রিমান্ডের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।"

বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) রবিউল হোসেন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন যে, নুসরাত ফারিয়াকে ভাটারা থানার সেখান থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।"

এর আগে, দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে। এরপর তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগকে অর্থের জোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

#নুসরাত_ফারিয়া, #হত্যাচেষ্টা, #ভাটারা_থানা, #ঢাকা, #সিনেমার_অভিনেত্রী, #ইমিগ্রেশন_পুলিশ, #বাংলাদেশ_বিমান, #বৈষম্যবিরোধী_আন্দোলন, #গ্রেপ্তার_দেখানো, #মামলা, #পুলিশ_জিজ্ঞাসাবাদ

রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রী চেম্বার কাণ্ড: ভিডিও, ভয়ভীতি আর টাকার লেনদেনের অভিযোগ

রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রী চেম্বার বিতর্ক: ভিডিও, ব্ল্যাকমেইল ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

শিক্ষক বলছেন ব্ল্যাকমেইলের শিকার, শিক্ষার্থী বলছেন ভয়েই লুকিয়েছিলাম

লিখেছেন: ১৮ মে ২০২৫

RU student accuses 4 of blackmail over viral video

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর চেম্বারে এক ছাত্রীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার ঘটনা এখন দেশের শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের মুখে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।

📌 ঘটনাটির শিক্ষকীয় ব্যাখ্যা

হেদায়েত উল্লাহ জানান, ১১ মে বিকেলে এক ছাত্রী তার চেম্বারে এসেছিল শুধু পড়া বুঝতে। কিছুক্ষণ পর চারজন যুবক হঠাৎ চেম্বারে ঢুকে পড়ে। তাদের মধ্যে ছিলেন আইন বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব এবং আরও তিনজন, যারা নিজেদের সাংবাদিক ও ক্যাম্পাস সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দেন।

তার অভিযোগ অনুযায়ী, তারা ভয়ভীতি দেখায়, ছাত্রীকে হেনস্তা করে এবং ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে। প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়, পরে তিনি এক লাখ টাকা দেন এবং পরদিন আরও দুই লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। মোট তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায়ের দাবি করেন তিনি।

👩 ছাত্রীর বক্তব্য

ঘটনার জেরে আলোচনার মুখে থাকা ছাত্রী বলেন, “পরীক্ষা সামনে থাকায় আমি স্যারের কাছে পড়া বুঝতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কিছু ছেলে রুমে ঢুকে বাজে আচরণ করে, ওড়না টেনে ফেলে দেয়, ধর্ষণের হুমকি দেয়।”

তিনি জানান, ভয়ে তিনি টেবিলের নিচে লুকিয়ে পড়েন। পরে শিক্ষক তাকে বাইরে যেতে বলেন এবং তার নিরাপত্তার জন্য অর্থ দিয়ে দেন।

🧑‍💼 অভিযুক্ত সাংবাদিকদের পাল্টা বক্তব্য

অভিযুক্ত সাংবাদিকরা বলেন, তারা প্রক্টরের মৌখিক অনুমতি নিয়ে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর চেম্বারে যান। সেখানে গিয়ে রুমের লাইট ও দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। নক করলে শিক্ষক নিজেই দরজা খুলে দেন।

রুমে ঢুকে তারা ছাত্রীকে টেবিলের নিচে লুকিয়ে থাকতে দেখেন। ছাত্রী ও শিক্ষকের অনুরোধে ভিডিও প্রকাশ না করলেও পরে সেটি ভাইরাল হয়।

📢 শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ভিডিও ভাইরালের পর ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন এবং হেদায়েত উল্লাহর বহিষ্কারের দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত।

🏷️ ট্যাগসমূহ:

  • #রাবি
  • #রাজশাহী_বিশ্ববিদ্যালয়
  • #শিক্ষক_বিতর্ক
  • #চেম্বার_ভিডিও
  • #ছাত্রী_হয়রানি
  • #চাঁদাবাজি
  • #ব্ল্যাকমেইল
  • #সাংবাদিকতা_বিতর্ক
  • #শিক্ষা_খবর

🔍 SEO কীওয়ার্ডস:

রাবি শিক্ষক ছাত্রী বিতর্ক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চেম্বার কেলেঙ্কারি, শিক্ষক চাঁদাবাজির অভিযোগ, হেদায়েত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলন, রাবি ভিডিও ভাইরাল

Popular News

Categories

accident (5) actor (1) agriculture (6) bangladesh (50) bd model (1) BDR (1) business (12) campus (1) crime (18) drama (5) Economy (5) education (14) entertainment (12) environment (17) gardening (9) gaza (1) goat (1) hadees (7) health (37) heath (1) holiday (1) hsc (1) india (6) inspiration (1) international (42) ipl (3) italy (1) jobs (6) life style (8) media (4) movie (7) national (3) newzealand (1) online job (1) pakistan (4) pets (1) politics (15) quran (2) qurbani (3) railway (1) red carpet (3) religion (6) science news (3) sports (32) story (4) suicide (1) technology (14) tours and travels (1) weather (7)