🐑 কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য: ইসলামি দৃষ্টিতে পশু জবাইয়ের গুরুত্ব ও বিধান
📖 কোরবানি করা হয় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে। আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেছেন:
“আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।”
(সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)

🌟 ইবাদত কী?
ইবাদত বলতে বোঝায়, যেসব কাজ বা কথা আল্লাহ পছন্দ করেন এবং ভালোবাসেন, তা প্রকাশ্যে বা গোপনে করা। কোরবানি এ ধরনের ইবাদতেরই অংশ। আল্লাহ কোরবানি শুধু তার জন্যই করার আদেশ দিয়েছেন। যেমন বলা হয়েছে:
“বলুন, আমার নামাজ, কোরবানি, জীবন-মরণ—সবই আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। তার কোনো শরীক নেই।”
(সূরা আনআম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
🕌 কোরবানি ও তাওহিদের শিক্ষা:
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, মুশরিকরা মূর্তির নামে পশু জবাই করতো। মুসলিমদের সব ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য হতে হবে। আল্লাহ বলেন:
“তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।”
(সূরা কাউসার, আয়াত: ২)
⚠️ কঠোর সতর্কবার্তা:
রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে পশু জবাই করে, আল্লাহ তার ওপর লানত করেন।”
(সহিহ মুসলিম, শরহে নববী)
📜 কোরআনের সতর্কতা:
“তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জবাই করা হয়েছে…”
(সূরা মায়িদা, আয়াত: ৩)
💡 কোরবানির মূল শিক্ষা:
আল্লাহর কাছে কোরবানির গোশত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না। পৌঁছায় শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আন্তরিকতা। যেমন বলা হয়েছে:
“আল্লাহর কাছে কোরবানির গোশত ও রক্ত কিছুই পৌঁছায় না; পৌঁছায় শুধু তোমাদের তাকওয়া।”
(সূরা হজ, আয়াত: ৩৭)
✅ সুতরাং, কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং তার ইবাদতের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ শিক্ষা অনুযায়ী চলার তাওফিক দিন। 🤲
0 comments:
Post a Comment