মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে অপমান! পাবনায় নাম বদলে বিতর্কে মহম্মদ ইউনুস
২৩ মে ২০২৫ | আপডেট: রাত ৭:০০

ঐতিহাসিক অপমান: সুচিত্রা সেনের নামে থাকা হোস্টেলের নাম বদলে দিলেন ইউনুস
ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলায়। সেখানেই কেটেছিল শৈশবকাল। পরে কলকাতায় পাড়ি দিয়ে হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্র জগতের এক অবিস্মরণীয় চরিত্র।
তাঁকে সম্মান জানিয়ে পাবনার একটি ছাত্রীনিবাসের নামকরণ করা হয়েছিল "সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস"। কিন্তু সম্প্রতি এই নামটি রাতারাতি পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে "জুলাই ৩৬ ছাত্রীনিবাস"। আর এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস।
নাম পরিবর্তন ঘিরে চরম বিতর্ক
মঙ্গলবার পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ তিনটি ছাত্র-ছাত্রী নিবাসের নতুন নামফলক উন্মোচন করেন। সেখানে দেখা যায়:
- সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস → জুলাই ৩৬ ছাত্রীনিবাস
- শেখ রাসেল হোস্টেল → বিজয়-২৪ ছাত্রবাস
- বেগম ফজিলাতুন্নেসা হোস্টেল → আয়েশা সিদ্দিকা
এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত এবং অপমানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী মহলে এই পদক্ষেপ নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুচিত্রা সেনের উত্তরাধিকার নিয়ে প্রশ্ন
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের জন্ম হয়। তাঁর পৈতৃক ভিটেবাড়ি এখনও সেখানে রয়ে গেছে। একসময় ঘোষিত হয়েছিল যে বাড়িটি সংগ্রহশালা হিসেবে সংরক্ষিত হবে। কিন্তু নাম বদলের পর এই উদ্যোগ আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজনৈতিক বার্তা না ব্যক্তিগত অপমান?
অনেকেই বলছেন, ইউনুসের এই সিদ্ধান্ত ভারতের সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষের প্রতিফলন। অতীতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নাম ঘিরেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। এবার সুচিত্রা সেনের নাম মুছে দিয়ে আবারো সেই বিতর্কে আগুন ঢেলেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এই ঘটনা একটি সাধারণ নাম পরিবর্তনের চেয়ে অনেক বড়—এটি একটি সাংস্কৃতিক বার্তা, যা দুই বাংলার আবেগ ও ইতিহাসকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে।
0 comments:
Post a Comment