🐾 বন্য প্রাণী দিয়ে কোরবানি: শরিয়তের নির্দেশনা
কোরবানি মুসলিম জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হজরত ইবরাহীম (আ.)-এর মহান ত্যাগের স্মৃতি বহন করে এই ইবাদত। হজরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সন্তানকে কোরবানি দিতে চেয়েছিলেন। আল্লাহর কাছে এই ত্যাগ এতই প্রিয় হয়েছিল যে, সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব করা হয়েছে।
❝ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোরবানি করা হজরত ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নত। সাহাবায়ে-কেরাম (রা.) জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে সওয়াব দেওয়া হবে। কোরবানির দিন আল্লাহর কাছে পশু জবাইয়ের চেয়ে প্রিয় আর কোনো কাজ নেই। (মুসনাদে আহমাদ)
ℹ রাসুল (সা.) আরও বলেন, “প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য প্রতি বছর কোরবানি করা কর্তব্য। যার সামর্থ্য নেই, তার ওপর কোরবানি আবশ্যক নয়।” (তিরমিজি)
🐮 বৈধ কোরবানির পশু
- ✓ উট
- ✓ গরু
- ✓ মহিষ
- ✓ ছাগল
- ✓ ভেড়া
- ✓ দুম্বা
⌛ ছাগল, ভেড়া, দুম্বার বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে। ছয় মাসের ভেড়া যদি দেখতে বড় হয়, এক বছরের মতো মনে হয়, তাহলেও বৈধ।
⏰ গরু-মহিষের বয়স দুই বছর এবং উটের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (হিদায়া)
⛔ বন্য প্রাণী দিয়ে কোরবানি জায়েজ?
⚠ শরিয়তে বন্য প্রাণী (যেমন: হরিণ, বন্য গরু) দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নয়। কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট ৬টি গৃহপালিত পশুই অনুমোদিত। অন্য কোনো প্রাণী দিয়ে কোরবানি করলে তা হবে হারাম। (কাযীখান ৩/৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫)
⭐ সুতরাং, কোরবানি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে করতে হবে, যেন আমাদের নিয়ত হয় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
0 comments:
Post a Comment