গরমে পেট সুস্থ রাখতে প্রোবায়োটিক না প্রিবায়োটিক, কোনটি উপকারী?
গরমে শরীরের হজম ক্ষমতা বজায় রাখতে প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকের গুরুত্ব
গরমে শরীরের হজম ক্ষমতা বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞরা প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিকের প্রতি গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন। যদিও অনেকেই এই দুটি উপাদানকে এক মনে করেন, তবে এগুলোর কার্যকারিতা আলাদা। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক— দুটি খাবারই গরমে পেটের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
প্রোবায়োটিক: শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া
প্রোবায়োটিক হলো এমন কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং হজম প্রক্রিয়া সুগম করে। এটি খাদ্য বিপাকের জন্য অপরিহার্য এবং শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে, যা দূর করতে প্রোবায়োটিক প্রয়োজন।
প্রিবায়োটিক: হজম প্রক্রিয়া সহায়ক ফাইবার
অন্যদিকে, প্রিবায়োটিক হলো এক ধরনের ফাইবার যা সরাসরি হজম হয় না, তবে এটি অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলির বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি পেটের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক একসাথে কেন গ্রহণ করবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক একসাথে গ্রহণ করা বেশি উপকারী। টক দই প্রোবায়োটিকের সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন টক দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যা লাচ্ছি বা ঘোল হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া, ইডলি, দোসা, দই এবং আচারেও প্রোবায়োটিক উপাদান পাওয়া যায়।
প্রিবায়োটিকের উৎস
প্রিবায়োটিকের জন্য দইয়ের সঙ্গে ওটস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে, কারণ ওটসে প্রিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। কলাতেও প্রচুর ফাইবার থাকে, যা প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, কাঁচা রসুনে প্রিবায়োটিকের পরিমাণ ১৭.৫% থাকে, তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শেষ কথা
প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক একসাথে গ্রহণ করলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে, যা হজম প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করে। তাই গরমে পেট সুস্থ রাখতে এই দুটি উপাদান খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
আরও স্বাস্থ্য পরামর্শ পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আরও পড়ুন
0 comments:
Post a Comment