
বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংক। স্যাটেলাইট-ভিত্তিক এই ইন্টারনেট সেবাটি চালুর জন্য দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন নির্মাণ এবং কারিগরি সহায়তায় স্টারলিংকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় একাধিকবার সংযোগ স্থাপন ও গতি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখন মূল প্রশ্ন— তুলনামূলক বেশি মূল্যের এই সেবা বাংলাদেশের বাজারে আদৌ টিকবে কি না?
এদিকে বর্তমানে দেশে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে ৫–২০ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পাওয়া যায়, যা স্টারলিংকের চেয়ে প্রায় দশগুণ সস্তা। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি (বিএসসিএল) সম্প্রতি ব্যান্ডউইথের দাম ১০ শতাংশ কমিয়েছে— যা স্টারলিংকের জন্য প্রতিযোগিতা আরও কঠিন করে তুলবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত:
অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর বলেন, “দামের কারণে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকবে এটা। কিন্তু যারা প্রিমিয়াম ইন্টারনেট চান, তাদের জন্য এটি ভালো অপশন হতে পারে।”
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, আফ্রিকার কিছু দেশে স্টারলিংক ১০ থেকে ৩০ ডলারের মধ্যে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। বাংলাদেশেও যদি শুরুতে এমন প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তবে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে পারে এবং বাজারে স্টারলিংক টিকে থাকার সম্ভাবনাও বাড়বে।
0 comments:
Post a Comment