Wednesday, April 30, 2025

মাটি ছাড়াই সবজির চারা উৎপাদনে সফল টাইটান এগ্রো, ঝিনাইদহের কৃষকদের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:

কৃষিতে আসছে প্রযুক্তির নতুন ছোঁয়া। ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বাজারের পাশে 'টাইটান এগ্রো' নামের একটি নার্সারিতে মাটিবিহীন পদ্ধতিতে উৎপাদন হচ্ছে উন্নতমানের সবজির চারা—তাও আবার বিশাল পরিসরে। শুধু নিজের ব্যবসা নয়, আশপাশের শত শত কৃষকও এই চারার মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন।

মাটি ছাড়াই সবজির চারা উৎপাদনে সফল টাইটান এগ্রো, ঝিনাইদহের কৃষকদের মুখে হাসি

কোকোপিট প্রযুক্তির চমক

এই আধুনিক প্রযুক্তিতে মাটি নয়, চারা জন্মাচ্ছে কোকোপিটে—যা তৈরি হয় নারিকেলের ছোবড়া, জৈব সার এবং জীবাণুমুক্ত পরিবেশের সমন্বয়ে। ফলে নেই পোকামাকড় বা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি, চারা হয় সবল ও সমানতালে বড় হওয়া নিশ্চিত।

টাইটান এগ্রোর পলিনেট হাউজে সারিবদ্ধভাবে প্লাস্টিক ট্রেতে জন্ম নিচ্ছে টমেটো, মরিচ, বেগুন, ব্রকলি, লেটুসপাতা, পেঁপে, ফুলকপি, গাজরসহ প্রায় ১৫-২০ ধরনের সবজির চারা।

করোনা থেকেই শুরু, আজ লাখ টাকার ব্যবসা

২০২১ সালের করোনা মহামারিতে সব কিছু থমকে যাওয়ার পর কৃষিকাজে ঝুঁকেন উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান। ভালো চারার অভাবে তিনি নিজেই উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ৫ হাজার চারার সক্ষমতা নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ৩ লাখ চারা উৎপাদন করছে টাইটান এগ্রো, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা।

সাইদুর রহমান বলেন:
“ভালো ফসলের জন্য ভালো চারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই দায়িত্বটা নিচ্ছি, যাতে কৃষকদের সময় ও খরচ দুটোই বাঁচে।”

কৃষকের আস্থা, শ্রমিকের কর্মসংস্থান

চারা কিনতে আসা কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, “ভালো মানের চারা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে এখানে। তাই আমি এখন শুধু এখান থেকেই চারা সংগ্রহ করি।”

আরেক কৃষক সজিব হাসান জানান, “বাজারে ভালো বীজও পাওয়া যায় না অনেক সময়। কিন্তু এখানে কম দামে উন্নত মানের চারা পাওয়া যাচ্ছে।”

বর্তমানে নার্সারিতে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের আয় মাসে ১৮-২০ হাজার টাকা।

কৃষি বিভাগের স্বীকৃতি

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় বলেন, “এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের ফলে পোকামাকড় কম এবং ফলন বেশি হচ্ছে। আমরা কৃষকদের মধ্যে এই আধুনিক পদ্ধতির প্রচার করছি।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, কোকোপিট প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়লে দেশের কৃষিতে আসবে বড় পরিবর্তন।

নড়াইলে এক দশক ধরে অচল সেচপাম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ একর জমি

১০ বছরেও চালু হয়নি নড়াইলের সেচপাম্প, চরম বিপাকে কৃষকরা

নড়াইল প্রতিনিধিঃ
এক সময় যেটা ছিল কৃষকদের জন্য আর্শীবাদ, এখন সেটাই হয়ে উঠেছে দুর্ভোগের কারণ। নড়াইলের কমলাপুর ও গন্ধবখালী এলাকায় থাকা দুটি সেচপাম্প গত ১০ বছর ধরে অচল। ফলে প্রায় ৫৪০ একর কৃষিজমিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকদের এখন চড়া দামে বিকল্প উপায়ে পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে—যা সরাসরি তাদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

নড়াইলে এক দশক ধরে অচল সেচপাম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ একর জমি

এই পাম্প দুটোর মাধ্যমে একসময় সরাসরি নদী থেকে জমিতে পানি সরবরাহ করা হতো। এতে করে কম খরচে তিনটি মৌসুমি ফসল উৎপাদন সম্ভব হতো। কিন্তু গত এক দশকে এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন দারুণ চাপে।

“৯-১০ বছর আগে বিনা খরচে পানি পেতাম সেচপ্রকল্প থেকে। পরে বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে টাকা নেওয়া শুরু হলো। হঠাৎই শুনি বিশাল অঙ্কের বকেয়া, তারপর থেকেই পাম্প অচল। এখন এক কানি জমিতে সেচ দিতে ১০০ টাকা খরচ হয়।”
চুন্নু গাজী, কৃষক, কমলাপুর

“আমার ৯০ শতক জমিতে ধান চাষ করছি। আগে পাম্প থেকে পানি পেলে খরচ অনেক কম পড়ত। এখন শ্যালো মেশিনে পানি তুলতে গিয়ে ডিজেল খরচে মাথায় হাত।”
টুটুল মোল্যা, কৃষক, নাকশিগ্রাম

কেন বন্ধ হয়ে আছে পাম্প?

১৯৮৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাম্প দুটি স্থাপন করা হয়। লক্ষ্য ছিল কৃষকদের স্বল্প খরচে পানি সরবরাহ করা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পাম্প দুটি অকেজো হয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে পাম্প মেরামতের জন্য ৩৫ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।

কী বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড?

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন,
“সেচপাম্পগুলো চালু করতে আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। বাজেট বরাদ্দ পেলেই দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে।”

রসে টইটম্বুর পাহাড়ি আনারস: সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

শেরপুরের গারো পাহাড়ে কৃষিতে খুলেছে সম্ভাবনার নতুন এক দরজা—আনারস চাষ। বন্য হাতির আক্রমণে ধানসহ অন্যান্য ফসল বারবার নষ্ট হওয়ায় বিকল্প খুঁজতে কৃষকরা এখন ঝুঁকছেন জলডুবি জাতের আনারসের দিকে। রসালো ও সুস্বাদু এই আনারস স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জেলাতেও।


রসে টইটম্বুর পাহাড়ি আনারস: সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের কৃষক জমশন ম্রং জানান, চট্টগ্রাম থেকে এনে তিনি ২০ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন, যাতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আশাবাদী, এবার দ্বিগুণ লাভ হবে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আনারস চাষ করবেন।

একই এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা আশরাফুল আলম জানান, তিনি আট একর জমিতে দ্বিতীয় বারের মতো আনারসের আবাদ করছেন। এবার দুই লাখ চারা রোপণে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। তিনি বলেন, "ধান বা অন্যান্য ফসল হাতির আক্রমণে নষ্ট হলেও আনারস তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও বেশি লাভজনক। গতবারের মতো এবারও ভালো মুনাফার আশা করছি।"

চাষি সুব্রত জানান, তিনি গত দুই বছর ধরে জলডুবি জাতের আনারস চাষ করছেন। আগেরবার দারুণ ফলন পেয়েছেন, এবারও একই সাফল্যের প্রত্যাশা করছেন। আনারস চাষের কারণে কৃষকের পাশাপাশি অনেক শ্রমিকেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা এই পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে এনেছে।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, গারো পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া আনারস চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ঝিনাইগাতীর সাফল্য দেখে এখন নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীতেও এই চাষ ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, "সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো এবং বন্য হাতির আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া গেলে শেরপুর অঞ্চল খুব দ্রুত দেশের অন্যতম প্রধান আনারস উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে।"

বেগুনিরঙের ধান চাষে সাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমেছে কৌতূহলী দর্শনার্থীর ভিড়

সবুজ মাঠের ভেতর বেগুনিরঙা ধান! চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এমন চিত্র দেখে বিস্মিত অনেকেই ছুটে আসছেন কৃষক মো. রবিউল ইসলামের খেতে। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ শুধু মানুষকে আকর্ষণই করেনি, বরং স্থানীয় কৃষকদের মাঝেও আগ্রহের ঢেউ তুলেছে।

বেগুনিরঙের ধান চাষে সাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমেছে কৌতূহলী দর্শনার্থীর ভিড়


রবিউল ইসলাম প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন ‘পার্পল লিফ রাইস’ নামের এক বিশেষ ধান, যার গাছের পাতা বেগুনি, ধান সোনালি, আর চালও বেগুনিরঙা! গাইবান্ধা থেকে সংগ্রহ করা এই জাত আগে দেশে খুব একটা দেখা যায়নি। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম, আর ফলনও বেশ ভালো—একরে ৫৫-৬০ মণ পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি জানান, ইউটিউবে ধানটির ভিডিও দেখে আগ্রহ জন্মায়, পরে অনলাইনে ৩০০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি বীজ কিনে চারা রোপণ করেন। “রঙ, সৌন্দর্য আর ফলন—সবকিছুতেই আমি সন্তুষ্ট,” বলেন রবিউল। তাঁর পরিকল্পনা, ফলন ভালো হলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষ করবেন।

প্রতিদিন আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই ধান দেখতে আসছেন। কেউ বলছেন, “এমন ধান আগে কখনো দেখিনি।” কেউ আবার নিজেও আগামী মৌসুমে এই ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, “এই ব্যতিক্রমী ধানের মাঠ আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। ফলন ভালো হলে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে এই ধান ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”

এই ধানকে কেউ কেউ আদর করে ‘দুলালি সুন্দরী’ নামেও ডাকছেন।

কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল:

ফল, সবজি ও মসলা—এ ধরনের কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত দিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীনেতারা। অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ

রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। সভায় অংশ নেন ভুটানের রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচার মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিসের আঞ্চলিক পরিচালক মি. দাওয়া ডাকপা, ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর (বাণিজ্য) মি. দাওয়া শেরিং এবং এফবিসিসিআইয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি

বৈঠকে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরবরাহ চেইন শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, এবং অ্যাগ্রোফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএম আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।


কাশ্মিরে ফের উত্তেজনা: এলওসি-তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি

🔴 পেহেলগামে পর্যটক হত্যার পর নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি দুই দেশের বাহিনী, বন্ধ হচ্ছে সীমান্ত ও কূটনৈতিক সুবিধা

পেহেলগামে পর্যটক হত্যার পর নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি দুই দেশের বাহিনী, বন্ধ হচ্ছে সীমান্ত ও কূটনৈতিক সুবিধা

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। এই উত্তেজনার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দু’দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় সেনা চৌকির দিকে গুলি ছোড়ে পাকিস্তানি সেনারা। 

এর পাল্টা জবাবে ভারতীয় বাহিনীও গুলিবর্ষণ করে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে কিছু এলাকায় গুলি চালানো হয়েছিল, যার যথাযথ জবাব দেওয়া হয়েছে।”

এর আগে কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা, সামরিক কর্মকর্তাদের বহিষ্কার, বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানও দ্বিপাক্ষিক সব চুক্তি স্থগিত করে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

গরমে স্বস্তি ও সতেজতার প্রাকৃতিক সমাধান: প্রতিদিন সকালে খান কিশমিশ ভেজানো পানি

গরমে স্বস্তি ও সতেজতার প্রাকৃতিক সমাধান: প্রতিদিন সকালে খান কিশমিশ ভেজানো পানি

গরমে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে: প্রতিদিন সকালে খান কিশমিশ ভেজানো পানি

গ্রীষ্মকালে শরীরকে হাইড্রেটেড ও সতেজ রাখতে চাইলে কিশমিশ ভেজানো পানি হতে পারে একটি সহজ ও কার্যকর সমাধান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে শরীর পায় প্রাকৃতিক শক্তি, হজমে সহায়তা ও ক্লান্তি দূরীকরণে সাহায্য।

প্রস্তুত প্রণালী:

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে ৮-১০টি কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করুন এবং ভেজানো কিশমিশগুলো চিবিয়ে খান।

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  • শক্তি বৃদ্ধি: কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও খনিজ পদার্থ শরীরে শক্তি জোগায়।

  • হজমে সহায়তা: হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।

  • ডিটক্সিফিকেশন: লিভার ও কিডনিকে ডিটক্স করতে সহায়তা করে।

  • পেশি ও স্নায়ু কার্যকারিতা: পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পেশি ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ায়।

  • রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: আয়রন রক্তস্বল্পতা রোধে সহায়ক।

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কোষকে রক্ষা করে।

সতর্কতা:

ডায়াবেটিস বা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এই অভ্যাস গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

স্বাস্থ্য টিপস:

  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করুন।

  • গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

  • সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন।

কিশমিশ ভেজানো পানি গরমের দিনে শরীরকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে একটি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়। প্রতিদিনের রুটিনে এটি অন্তর্ভুক্ত করে আপনি গরমের ক্লান্তি কাটিয়ে সুস্থ ও সতেজ থাকতে পারেন।

নাসার বাজেট কাটছাঁটে শঙ্কা: মহাকাশ নেতৃত্ব চীনের দিকে ঝুঁকছে?

নাসার বাজেট কাটছাঁটে শঙ্কা: মহাকাশ নেতৃত্ব চীনের দিকে ঝুঁকছে?

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁটের কারণে। এই প্রস্তাবে নাসার মঙ্গল অভিযান বাতিল এবং মিশন পরিচালনা বিভাগের বাজেট প্রায় ২০ শতাংশ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

একই সময়ে নাসার প্রধান বিজ্ঞানীর পদত্যাগ পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, বর্তমানে মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের একমাত্র সক্রিয় মিশন পরিচালনা করছে চীন। 

দেশটির জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (CNSA) পরিচালিত তিয়ানওয়েন- মিশনের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে মঙ্গল থেকে ৬০০ গ্রাম শিলা মাটি পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। মার্চ মাসে এই মিশনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে চীন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পিছু হটা আন্তর্জাতিক মহাকাশ নেতৃত্বে চীনের এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী চিয়েন ইউকি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যখন বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তখন মহাকাশ খাতে তারা সেই নেতৃত্ব হারাচ্ছে। বিষয়টি তাদের মিত্রদের মাঝেও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।” 

তিনি আরও বলেন, “নাসা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) যৌথ মঙ্গল নমুনা সংগ্রহ কর্মসূচি বাতিল হওয়া তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। অথচ ২০২১ সাল থেকে নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করেছে।” 

চীনের মহাকাশ কর্মসূচিও এখন অনেক বেশি সংগঠিত এবং উচ্চাভিলাষী। বিশ্লেষক নম্রতা গোস্বামীর মতে, CNSA ইতোমধ্যে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেযার আওতায় ২০৩৭ সালের মধ্যে মঙ্গলে ঘাঁটির সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত, ২০৪১ সালের মধ্যে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ এবং ২০৪৩ সালের মধ্যে মঙ্গল-পৃথিবী কার্গো পরিবহন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। 

এছাড়া, তারা পারমাণবিক প্রপালশন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে। 

স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কও এই বাজেট কাটছাঁট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।আমি বিজ্ঞানের পক্ষে, কিন্তু নাসার বাজেট আলোচনায় অংশ নিতে পারি না, কারণ স্পেসএক্স নাসার ঠিকাদার,” বলেন মাস্ক। 

এদিকে, শুধু মঙ্গল অভিযান নয়, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনায় নাসার ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ এবং একটি ভেনাস মিশনও বাতিলের শঙ্কায় রয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসার প্রায় ১০ হাজার কর্মী বিজ্ঞানীর কর্মস্থল গদার্দ স্পেস ফ্লাইট সেন্টারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

আপনি কী মনে করেনমহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব হারানো যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে?

ইয়েমেনে সাতটি ড্রোন হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ক্ষতির পরিমাণ ২,৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল


ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিয়ে গত ১৫ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সাতটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। প্রতিটি ড্রোনের মূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৩৬৫ কোটি। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,৫৫৫ কোটি টাকা।

মার্চের মাঝামাঝি থেকে ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই ড্রোনগুলো ব্যবহার করা হয় অনুসন্ধান আক্রমণের জন্য।

একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানায়, লোহিত সাগরে অবস্থানরত বিমানবাহী রণতরী USS Harry S. Truman থেকে একটি F/A-18E সুপার হর্নেট মডেলের যুদ্ধবিমান পানিতে পড়ে গেছে। বিমানের সঙ্গে একটি টো ট্রাক্টরও সমুদ্রে পড়ে। প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার (৮১০ কোটি টাকা) মূল্যের বিমানটি সরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় নৌবাহিনী। এতে একজন নাবিক সামান্য আহত হন।


ইয়েমেনে সাতটি ড্রোন হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ক্ষতির পরিমাণ ২,৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল

বিষয়ে তদন্ত চলছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, অন্যসব বিমান নিরাপদ আছে এবং রণতরীটি তার পূর্বের অবস্থানেই রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন রয়েছে, যার একটি হলো ট্রুম্যান। এখান থেকেই ইয়েমেনের ওপর পরিচালিত হচ্ছে মার্কিন বিমান হামলা।

পদ্মা নদীতে জলঘূর্ণির মতো ঘটনা, ভাইরাল ভিডিও

পদ্মা নদীতে জলঘূর্ণির মতো ঘটনা, ভাইরাল ভিডিও

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে হঠাৎ জলঘূর্ণির মতো একটি দৃশ্য দেখা গেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে, উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীর মাঝখানে হঠাৎ একটি ঘূর্ণি তৈরি হয়ে পানি আকাশের দিকে উঠে যেতে দেখা যায়। দৃশ্য প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী ছিল। আতঙ্কিত স্থানীয়রা মোবাইলে সেই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “ঘটনাটি সত্য, তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা ঘটনাটিকেটর্নেডোবললেও, আবহাওয়াবিদদের মতে এটি হতে পারে একটি প্রাকৃতিক জলঘূর্ণি বাওয়াটার স্পাউট

হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি হচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, ভাবনা ও জায়েদ খান

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, এবং নায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনয়শিল্পীকে আসামি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুজন হক। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলায় মোট ২৮৩ জনকে আসামি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৭ জন হচ্ছেন চলচ্চিত্র টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। মামলার প্রক্রিয়া এখনো চলমান, চূড়ান্তভাবে মামলা রুজু হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে ঢাকার সিএমএম আদালতে এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি মামলার আবেদন করেন, যেখানে ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তবে কবে আবেদনটি করা হয়েছিল তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।

এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে বিএনপিকর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ২০ এপ্রিল একটি মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি, দুই মেয়র, ব্যবসায়ী, আইনজীবী নির্বাচন কমিশনারসহ ৪০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন অভিনেতা ইরেশ যাকেরও।

নিয়ে আলোচনা শুরু হলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলাকেবিরক্তিকরবলে মন্তব্য করেছেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করবে বিএনপি সরকার: মির্জা ফখরুলের দাবি

আওয়ামী লীগ দেশকে জাহান্নামে পরিণত করেছে, এখন মানুষ মুক্তি চায়—পথসভায় মন্তব্য বিএনপি মহাসচিবের

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঠাকুরগাঁও | মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলেই দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ভালো থাকবে। বিএনপি এমন একটি দল, যারা সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করে।”

মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশটাকে জাহান্নামে পরিণত করেছিল। তারা দেশে কোনো গণতন্ত্র রাখেনি, মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমরা এখন রক্ষা পেয়েছি। শেখ হাসিনা ছিলেন ডাইনি, আর এখন আমরা তার হাত থেকে মুক্ত।”

এর আগে জামালপুর ইউনিয়নের মালিগাঁও কাশিডাঙ্গা এলাকায় গণসংযোগ শেষে মির্জা ফখরুল রায়পুর ও চিলা রং ইউনিয়নে প্রবেশ করলে হাজারো মানুষ তাকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন। এ সময় অনেক নারী ও শিশু তার সঙ্গে সেলফি তুলতে এগিয়ে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাসে মির্জা ফখরুল আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচনি প্রচারণার দ্বিতীয় দিনের এই গণসংযোগে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সভায় তিনি আসন্ন নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

রাত জাগার ক্ষতিকর প্রভাব: জীবাণুদের জন্য দেহে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়

সুস্থ মানুষের দেহেও নানা ধরনের জীবাণু থাকে—কিছুই তাদের সক্রিয় না, কারণ তাদের বিরুদ্ধে দেহে ইমিউনিটি শক্তিশালী। তবে এই জীবাণুগুলোর একটি গ্রুপ রয়েছে, যারা অপেক্ষায় থাকে দেহের ইমিউনিটি দুর্বল হওয়ার। এদের বলে 'অপারচুনিস্টিক প্যাথোজেন'। নিউমোনিয়া, যক্ষা, চিকেন পক্স বা ঠোঁটে ফোস্কার জীবাণুও এই দলে পড়ে, যারা রোগ সৃষ্টির জন্য সুযোগ খোঁজে।

রাত জাগার ক্ষতিকর প্রভাব: জীবাণুদের জন্য দেহে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়



অপরদিকে, রাত জাগাকে দেহের জন্য একটা বিপদ হিসেবে দেখা হয়। যখন দেহে নিদ্রাহীনতা ঘটে, তখন দেহ একটি প্রোটিন তৈরি করে—সাইটোকাইন, যা যুদ্ধের সংকেত দেয়। এই প্রোটিনের মাধ্যমে দেহ সতর্ক হয়, রোগের বিরুদ্ধে প্রস্তুত হয়ে ওঠে।

তবে নিয়মিত রাত জাগলে দেহের এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি কমে যায়। ফলে, যখন সত্যিকারের সংক্রমণ বা অসুখ দেখা দেয়, দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা মোকাবেলায় হিমশিম খায়।

অন্তত এক রাতের নির্ঘুম থাকলেও দেহের ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগ কাজে লাগায় সেই সক্রিয় জীবাণুগুলো, যাদের জন্য আগে থেকেই ঝুঁকি ছিলো। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। তাই, সুস্থ থাকতে চাইলে রাত জাগা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আপনি কি কোনো দিন বুঝতে পারলেন রাত জাগার প্রভাব কতটা বড়? আপনার কি অভিজ্ঞতা আছে? শেয়ার করুন।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্য: আমি আইএমএফের সব শর্ত মেনে ঋণ নেওয়ার জন্য রাজি নয়

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশ সব শর্ত মানতে চান না আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে

মন্ত্রিসভা অব্যাহত অনির্দিষ্টকালীন কারখানা বন্ধের ঘোষণা**

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, "আমরা সব শর্ত মেনে আইএমএফের ঋণ নেওয়ার পক্ষে নই।"

ড. সালেহউদ্দিন আরও জানান, বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের ওপর বেশি নির্ভরশীল নয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক $1.2 বিলিয়ন বাজেট সাপোর্টের জন্য আইএমএফের কাছে আবেদন করেছে, যা তারা অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়াও, $470 মিলিয়ন বিতরণের ষষ্ঠ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে তাদের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।

তীব্র মার্কিন শুল্ক নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে, ড. সালেহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং বড় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে কোনো বিরোধে ঝড়তে চায় না।

তিনি আরও বলেন, তিন মাসের মধ্যে শুল্ক নীতির পরিবর্তন সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, থানায় অভিযোগ দায়ের

অভিনেতা সিদ্দিকের মারধর ও অপহরণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, থানায় অভিযোগ

অভিনেতা সিদ্দিকের মারধর ও অপহরণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, থানায় অভিযোগ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় অভিনেতা সিদ্দিককে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভিডিওতে স্পষ্ট মনে হচ্ছে, একদল যুবক তার গায়ে হাত তুলতে থাকেন, কাঁদছিলেন তিনি নিজেও। এই ঘটনা চলাকালে তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন, যারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন, তারা বলে থাকেন, আওয়ামী লীগের দোসর। রাস্তার পাশে হাঁটতে হাঁটতে সিদ্দিককে রমনা থানার পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে আজ, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল), রাজধানীর কাকরাইল এলাকায়।

এক ভিডিওতে একজন যুবক বলতে শোনা যায়, “সিদ্দিককে থানা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” তবে কোন থানায় নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করা যায়নি।

সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি পাওয়া যায়নি। তার ঘনিষ্ট কারো পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে এই ভাইরাল ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।


অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। তিনি দুই যুগের বেশি সময় ধরে অভিনয় ক্যারিয়ারে রয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কিছু বছর ধরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যান, তবে সেগুলো তিনি পাননি।

Popular News

Categories

accident (5) actor (1) agriculture (6) bangladesh (50) bd model (1) BDR (1) business (12) campus (1) crime (18) drama (5) Economy (5) education (14) entertainment (12) environment (17) gardening (9) gaza (1) goat (1) hadees (7) health (37) heath (1) holiday (1) hsc (1) india (6) inspiration (1) international (42) ipl (3) italy (1) jobs (6) life style (8) media (4) movie (7) national (3) newzealand (1) online job (1) pakistan (4) pets (1) politics (15) quran (2) qurbani (3) railway (1) red carpet (3) religion (6) science news (3) sports (32) story (4) suicide (1) technology (14) tours and travels (1) weather (7)