একই সময়ে নাসার প্রধান বিজ্ঞানীর পদত্যাগ পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, বর্তমানে মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের একমাত্র সক্রিয় মিশন পরিচালনা করছে চীন।
দেশটির জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (CNSA) পরিচালিত তিয়ানওয়েন-৩ মিশনের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে মঙ্গল থেকে ৬০০ গ্রাম শিলা ও মাটি পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। মার্চ মাসে এই মিশনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে চীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পিছু হটা আন্তর্জাতিক মহাকাশ নেতৃত্বে চীনের এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী চিয়েন ইউকি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যখন বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তখন মহাকাশ খাতে তারা সেই নেতৃত্ব হারাচ্ছে। বিষয়টি তাদের মিত্রদের মাঝেও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) যৌথ মঙ্গল নমুনা সংগ্রহ কর্মসূচি বাতিল হওয়া তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। অথচ ২০২১ সাল থেকে নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করেছে।”
চীনের মহাকাশ কর্মসূচিও এখন অনেক বেশি সংগঠিত এবং উচ্চাভিলাষী। বিশ্লেষক নম্রতা গোস্বামীর মতে, CNSA ইতোমধ্যে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে—যার আওতায় ২০৩৭ সালের মধ্যে মঙ্গলে ঘাঁটির সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত, ২০৪১ সালের মধ্যে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ এবং ২০৪৩ সালের মধ্যে মঙ্গল-পৃথিবী কার্গো পরিবহন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া, তারা পারমাণবিক প্রপালশন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কও এই বাজেট কাটছাঁট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। “আমি বিজ্ঞানের পক্ষে, কিন্তু নাসার বাজেট আলোচনায় অংশ নিতে পারি না, কারণ স্পেসএক্স নাসার ঠিকাদার,” বলেন মাস্ক।
এদিকে, শুধু মঙ্গল অভিযান নয়, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনায় নাসার ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ এবং একটি ভেনাস মিশনও বাতিলের শঙ্কায় রয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ও বিজ্ঞানীর কর্মস্থল গদার্দ স্পেস ফ্লাইট সেন্টারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আপনি
কী মনে করেন—মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব হারানো যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে?
0 comments:
Post a Comment