পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিন সামরিক বাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংবাদসংস্থা পিটিআই’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারতের সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা যখন ইচ্ছে এবং যেখানে ইচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে পারে। হামলার পরিকল্পনা, কৌশল ও Timing—all এই বিষয়ে কোনো একবিড়ম্বনা থাকবে না, সবার স্বাধীনতা থাকবেৎ।
মোদী দেশের তিন বাহিনীর উপর আস্থা রেখেছেন
পাহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের হাঁটু কাঁপছে বলে ধারনা করতে পারেন, কারণ হামলার পর থেকে ভারত কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একতরফা বন্ধ করেছে ও জঙ্গি দমন অভিযান জোরদার করেছে। তবে, বাস্তবে পাকিস্তানের সম্পূর্ণ অবস্থা স্পষ্ট জানা যায় না, তারা কি মানসিকভাবে ভঙ্গুর নাকি শক্তিশালী হচ্ছে—এ প্রশ্নটি এখনও অমূল্য।
সাম্প্রতিক সার্জিক্যাল ও এয়ারস্ট্রাইককে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে গুরুতর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান মনে করছে যে ভারত আবারও সামরিক অভিযান চালাতে পারে, যার কারণে দেশটি ব্যাপক নিরাপত্তা ও সতর্কতা অবলম্বন করছে। এক মনীষী দাবি করেছেন যে ভারতের দিকে ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তু করে রাখা হয়েছে এবং কেউ কেউ সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়ে বলছেন যে ভারতের সামরিক অভিযান অবশ্যম্ভাবী।
প্রধানমন্ত্রীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ভারতীয় কূটনৈতিক ও সামরিক গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে, এবং অনেক মহল মনে করছে যে, মোদি সরকার যথেষ্ট প্রস্তুত এবং কঠোর মনোভাব নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এ অবস্থা পাকিস্তানের জন্য উদ্বেগজনক, কারণ সামরিক বা কৌশলগত আঘাতের আশঙ্কা এখনও অব্যাহত।
0 comments:
Post a Comment