সুস্থ মানুষের দেহেও নানা ধরনের জীবাণু থাকে—কিছুই তাদের সক্রিয় না, কারণ তাদের বিরুদ্ধে দেহে ইমিউনিটি শক্তিশালী। তবে এই জীবাণুগুলোর একটি গ্রুপ রয়েছে, যারা অপেক্ষায় থাকে দেহের ইমিউনিটি দুর্বল হওয়ার। এদের বলে 'অপারচুনিস্টিক প্যাথোজেন'। নিউমোনিয়া, যক্ষা, চিকেন পক্স বা ঠোঁটে ফোস্কার জীবাণুও এই দলে পড়ে, যারা রোগ সৃষ্টির জন্য সুযোগ খোঁজে।
অপরদিকে, রাত জাগাকে দেহের জন্য একটা বিপদ হিসেবে দেখা হয়। যখন দেহে নিদ্রাহীনতা ঘটে, তখন দেহ একটি প্রোটিন তৈরি করে—সাইটোকাইন, যা যুদ্ধের সংকেত দেয়। এই প্রোটিনের মাধ্যমে দেহ সতর্ক হয়, রোগের বিরুদ্ধে প্রস্তুত হয়ে ওঠে।
তবে নিয়মিত রাত জাগলে দেহের এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি কমে যায়। ফলে, যখন সত্যিকারের সংক্রমণ বা অসুখ দেখা দেয়, দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা মোকাবেলায় হিমশিম খায়।
অন্তত এক রাতের নির্ঘুম থাকলেও দেহের ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগ কাজে লাগায় সেই সক্রিয় জীবাণুগুলো, যাদের জন্য আগে থেকেই ঝুঁকি ছিলো। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। তাই, সুস্থ থাকতে চাইলে রাত জাগা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনি কি কোনো দিন বুঝতে পারলেন রাত জাগার প্রভাব কতটা বড়? আপনার কি অভিজ্ঞতা আছে? শেয়ার করুন।
0 comments:
Post a Comment