নাসার বাজেট কাটছাঁট
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁটে মঙ্গলগ্রহ অভিযান বাতিল এবং মিশন পরিচালনার বাজেট প্রায় ২০% কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে নাসার প্রধান বিজ্ঞানীর পদত্যাগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে—নাসা কি তাহলে মহাকাশে নেতৃত্ব হারাতে চলেছে?
🚀 চীনের দিকেই কি ঝুঁকছে নেতৃত্ব?
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম South China Morning Post জানায়, বর্তমানে তিয়ানওয়েন-৩ মিশনের মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহ থেকে ৬০০ গ্রাম পাথর ও মাটি পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনায় এগিয়ে চলছে চীন। এই মিশনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরও আহ্বান জানিয়েছে তারা।
“যুক্তরাষ্ট্র যখন বৈশ্বিক নেতৃত্বে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তখন মহাকাশ খাতে তারা সেই নেতৃত্ব হারাচ্ছে।” — চিয়েন ইউকি, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়
📅 চীনের সুস্পষ্ট মহাকাশ রোডম্যাপ
- ২০৩৭ সালের মধ্যে মঙ্গলে ঘাঁটির সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত
- ২০৪১ সালের মধ্যে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ
- ২০৪৩ সালের মধ্যে মঙ্গল-পৃথিবী কার্গো পরিবহন চালু
তারা পাশাপাশি পারমাণবিক প্রপালশন প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে, যা ভবিষ্যতের গভীর মহাকাশ যাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
🚨 নাসার প্রকল্প বন্ধের আশঙ্কা
ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ ও একটি ভেনাস মিশনও বাতিলের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি, গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার—যেখানে প্রায় ১০,০০০ কর্মী কাজ করেন—সেটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ইলন মাস্ক বলেছেন, “আমি বিজ্ঞানের পক্ষে, কিন্তু নাসার বাজেট আলোচনায় অংশ নিতে পারি না, কারণ স্পেসএক্স নাসার ঠিকাদার।”
🌐 মহাকাশ নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ?
এই পরিস্থিতি শুধু মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে কারা মহাকাশের নেতৃত্বে থাকবে—এই প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
🗣️ আপনার মতামত
আপনি কী মনে করেন? যুক্তরাষ্ট্রের পিছু হটা এবং চীনের অগ্রগতি ভবিষ্যতের বৈশ্বিক ভারসাম্যে কী প্রভাব ফেলবে? নিচে কমেন্টে আপনার মত জানান।
0 comments:
Post a Comment