প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম পারভেজের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স দুই ছাত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পারভেজের মৃত্যুতে তারা গভীর শোকও সমবেদনা জানিয়েছে এবং ঘটনার পরপরই একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বহিষ্কৃতদের একজন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের, অপরজন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
রেজিস্ট্রার মোবাশ্বের আলী খন্দকার বলেন, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায়। এরপর প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, তদন্তের সময় প্রক্টোরিয়াল কমিটি বহিষ্কৃতদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তদন্তের স্বার্থে এবং পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের ছাত্রত্ব স্থগিত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের ছাত্রত্ব স্থায়ীভাবে বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. রায়হানা বেগম জানান, ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি জানান, পারভেজ হত্যাকাণ্ডে স্কলার্স ইউনিভার্সিটির দুই নারী শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পাওয়ার পরপরই প্রাইম এশিয়া কর্তৃপক্ষ স্কলার্স ইউনিভার্সিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়।
0 comments:
Post a Comment