জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় আটজন উপ-রেজিস্ট্রার এবং একজন সহকারী রেজিস্ট্রার অন্তর্ভুক্ত।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৮তম সভায় এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হয়।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
এবারের অবসর প্রদানের সিদ্ধান্তটি ২৫ বছরের চাকরি পূর্ণ হওয়ার পর তাদের জন্য ঐচ্ছিক অবসরের আওতায় নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, দীর্ঘ কর্মজীবন পূর্ণ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের স্বেচ্ছায় অবসরে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মঙ্গলবার ধানমণ্ডির নগর কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা
এবারের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে রয়েছেন:
-
মো. শাহ আলম ঢালী
-
মো. মোহসীন ইকবাল
-
প্রেমানন্দ শীল
-
মোহাম্মদ শামীম আলম মৃধা
-
জিন্নাত আরা
-
অমিত কুমার দাম
-
মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান
-
মো. মতিউর রহমান মোল্লা
এছাড়া সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে অবসরে পাঠানো হয়েছেন:
-
এ কে এম বদরুল আলম।
চাকরি জীবনের শেষ অধ্যায়:
এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নীতির অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যা কর্মীদের দীর্ঘদিনের সেবার পর তাদের পেশাদার জীবনকে সম্মান প্রদর্শন করে এবং প্রতিষ্ঠানকে আরও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। অবসর গ্রহণের পর, এসব কর্মকর্তা নতুন পথ বেছে নিতে পারেন বা বিভিন্ন পরামর্শক কাজেও যুক্ত হতে পারেন।
এখন দেখা উচিত, এসব কর্মকর্তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা কী হতে পারে, এবং এই পদক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে কিভাবে পরিবর্তন আনবে।
0 comments:
Post a Comment