আরাফার রোজা: সৌদির হিসাবে রাখবেন, নাকি বাংলাদেশের?
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
প্রতি বছর জিলহজ মাসের ৯ তারিখে পালিত হয় ‘ইয়াওমে আরাফা’ বা আরাফার দিন, যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা হজে যাচ্ছেন না, তাদের জন্যও এই দিনটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে বর্ণিত—এই দিনে রোজা রাখলে আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন। (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)

ইসলামি ব্যাখ্যা কী বলছে?
ইয়াওমে আরাফা মানে হল জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। এটি কেবল মক্কার হাজিদের জন্য নির্ধারিত কোনো ঘটনা নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট চন্দ্র-তারিখ, যা স্থানীয় চাঁদের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। কোরবানির দিন (১০ জিলহজ) ঠিক তার পরদিনই আসে, এবং হাদিস অনুযায়ী এই দুটি দিনের মাঝে কোনো ব্যবধান নেই।
স্থানীয় চাঁদের অনুসরণ করা শরিয়তসম্মত
ইসলামি ফিকহ অনুযায়ী, রোজা, ঈদ, হজ ইত্যাদি পালন করতে হয় নিজ নিজ দেশের চাঁদের হিসাব অনুসারে। সৌদি আরবের অনুসরণ করা আবশ্যক নয়। রদ্দুল মুহতার, আহসানুল ফতোয়া, ফতোয়ায়ে উসমানি—এসব গ্রন্থে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।
২০২৫ সালের আরাফার রোজা কবে?
- সৌদি আরব: ৫ জুন, বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ)
- বাংলাদেশ: ৬ জুন, শুক্রবার (৯ জিলহজ)
বাংলাদেশের মুসলমানরা আরাফার রোজা রাখবেন ৬ জুন, শুক্রবার। অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে শুক্রবার রোজা রাখতে হবে।
দুই দিন রোজা রাখা যাবে কি?
ইচ্ছা করলে কেউ চাইলে ৫ ও ৬ জুন—উভয় দিন রোজা রাখতে পারেন, যেন ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হন। তবে শরিয়ত অনুযায়ী সুন্নত রোজা হিসেবে আরাফার রোজা হবে শুধুমাত্র ৬ জুনেই।
শেষ কথাঃ
শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, স্থানীয় চাঁদের হিসাব মেনে ইবাদত পালন করাই সঠিক পদ্ধতি। সৌদি আরবের অনুসরণে বিভ্রান্ত না হয়ে জাতীয় হেলাল কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী রোজা রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন। আমিন।
0 comments:
Post a Comment