মেক্সিকোর অভিশপ্ত ‘পুতুল দ্বীপ’: গাছে গাছে ঝোলে শত শত ভাঙা পুতুল, পিছনে লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর কাহিনি!
নিজস্ব প্রতিবেদক | বিশেষ প্রতিবেদন
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু রহস্যময় স্থান রয়েছে, যেগুলোর নাম শুনলেই গা ছমছম করে ওঠে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, জাপানের ‘সুইসাইড ফরেস্ট’ কিংবা রাশিয়ার পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের মতোই এক ভয়ঙ্কর দ্বীপ রয়েছে মেক্সিকোতে—“দ্য আইল্যান্ড অফ দ্য ডলস্”। বাংলায় যাকে বলা যেতে পারে ‘মৃত পুতুলের দ্বীপ’।
দূর থেকে দেখে দ্বীপটি যতই নিরীহ ও সবুজে মোড়া মনে হোক, কাছে গেলে ভয় আর রহস্যের মিশেল আপনার মনকে গ্রাস করবে। কারণ এখানে প্রতিটি গাছের ডালে ঝুলছে শত শত ভাঙাচোরা পুতুল, যেগুলোর অনেকেরই হাত নেই, কারও মাথা নেই, কারও শরীর বিকৃত!
❓ কিন্তু কেন ঝোলে এসব পুতুল?
এই দ্বীপকে ঘিরে রয়েছে এক গা ছমছমে কিংবদন্তি। বিংশ শতকের মাঝামাঝি, ডন জুলিয়ান সান্তানা ব্যারেরা নামের এক ব্যক্তি পরিবার ছেড়ে এই দ্বীপে বসবাস শুরু করেন। তাঁর দাবি, দ্বীপে থাকার কিছুদিন পর তিনি একটি কিশোরীর মরদেহ পান খালে ভেসে আসতে। তারপর থেকেই শুনতে পান আর্তনাদ—“আমি আমার পুতুল চাই!”
তিনি একটি পুতুল পেয়ে তা গাছে ঝুলিয়ে দেন কিশোরীর আত্মাকে শান্ত করতে। এরপর থেকে যতবারই কোনো পুতুল পেতেন, সেটি ঝুলিয়ে দিতেন গাছে। বিশ্বাস করতেন, এতে তিনি মন্দ আত্মা থেকে রক্ষা পাবেন।
🧸 ৫০ বছরের পুতুল সংগ্রহের ভয়ঙ্কর ইতিহাস
ডন জুলিয়ান প্রায় ৫০ বছর ধরে এই কাজ চালিয়ে যান। তিনি মারা যান ২০০১ সালে। তখন দ্বীপে ঝুলন্ত পুতুলের সংখ্যা ছিল শতাধিক। পুতুলগুলো বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পোড়া আর ধুলায় মলিন হয়ে আজ ভয়ঙ্কর চেহারা ধারণ করেছে।
মৃত্যুর আগে ও পরে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়ে। দ্বীপটি হয়ে ওঠে রহস্যময় পর্যটন গন্তব্য। অনেক পর্যটক আজও পুতুল নিয়ে যান আত্মাকে খুশি করতে।
🎬 চলচ্চিত্র আর অনুভূতির দ্বীপ
দ্বীপ নিয়ে তৈরি হয়েছে হরর ডকুমেন্টারি ও চলচ্চিত্র। যদিও নিশ্চিত কোনো অতিপ্রাকৃত ঘটনার প্রমাণ নেই, তবে পর্যটকরা জানান—দ্বীপে পা রাখার পর থেকেই এক ধরনের শ্বাসরুদ্ধ, নেতিবাচক অনুভূতি কাজ করে।
এককথায়, পুতুলের এই দ্বীপ নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় ও ভয়াবহ পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি।
0 comments:
Post a Comment