ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পরিবর্তন
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি সাধারণ ছুটির তারিখ পরিবর্তন করেছে সরকার।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি সাধারণ ছুটির তারিখ পরিবর্তন করেছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকরা মানুষের শরীরে বিরল এক মাংসখেকো পরজীবী শনাক্ত করেছেন—যা আগে কেবল প্রাণীদের দেহে দেখা যেত। রোগীর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বিরল হলেও জনস্বাস্থ্যের জন্য সতর্কবার্তা।
প্রকাশনা: আজ · স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকরা মানুষের শরীরে প্রথমবারের মতো এমন একটি পরজীবী শনাক্ত করেছেন, যা আগে শুধু প্রাণীদের দেহে দেখা যেত। রোগীর টিস্যু নমুনা পরীক্ষায় পরজীবীর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। গোপনীয়তা নীতির কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘটনার বিরলতা সত্ত্বেও সতর্ক থাকতে হবে। জীবাণু বা পরজীবী প্রাণী-মানুষ সংযোগে প্রজাতি বাধা অতিক্রম করলে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। ল্যাবরেটরিতে পরজীবীর মরফোলজি ও জেনেটিক বিশ্লেষণ চলছে।
দায়স্বীকার: এই প্রতিবেদনটি চলমান পরীক্ষাগার বিশ্লেষণের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত। চিকিৎসা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সর্বদা নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এটা কি ছোঁয়াচে?
এখনো নিশ্চিত নয়। সংক্রমণের পথ ও ঝুঁকি নির্ণয়ে গবেষণা চলছে।
কীভাবে বোঝা যাবে?
অস্বাভাবিক ক্ষত/টিস্যু ক্ষয় হলে বায়োপসি ও ল্যাব টেস্টে শনাক্ত হয়।
চিকিৎসা কী?
প্রজাতিভেদে অ্যান্টিপ্যারাসিটিক ওষুধ/সার্জিকাল ডেব্রাইডমেন্ট নির্ধারিত হয়—ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি।
বারো, আলাস্কা | জুন ২০০৭ — বিজ্ঞান ও পরিবেশ ডেস্ক
আলাস্কার উত্তরের বারো অঞ্চলে ইনুপিয়াত শিকারিরা এক বিরল আবিষ্কারের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারা শিকার করা একটি বিশাল বো-হেড তিমির শরীরে পেয়েছিলেন ১৯ শতকের এক মরচে ধরা হারপুনের টুকরো। অস্ত্রটি ছিল একটি “বম্ব ল্যান্স”—যা তিমির দেহে প্রবেশ করে ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল।
ঘটনাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, কারণ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও তিমিটি এক শতাব্দীরও বেশি সময় বেঁচে ছিল। বন্যপ্রাণীবিদরা অনুমান করেছিলেন, তিমিটির বয়স অন্তত ১১৫ থেকে ১৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ এটি টিকে ছিল দুটি বিশ্বযুদ্ধ, বিদ্যুতের বিস্তার, মহাকাশযাত্রা এবং ইন্টারনেটের যুগ পর্যন্ত।
বন্যপ্রাণীবিদ ক্রেগ জর্জ মন্তব্য করেছিলেন যে, এ ধরনের সরাসরি প্রমাণ পাওয়া অত্যন্ত বিরল এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল; সাধারণত তিমির বয়স নির্ধারণে চোখের লেন্স বিশ্লেষণ প্রাধান্য পেত। তিমি-গবেষক জন বকস্টোসেও বলেছিলেন, উদ্ধার হওয়া এই অস্ত্রাংশ বো-হেড তিমির দীর্ঘায়ু সম্পর্কে দৃঢ় প্রমাণ দিয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া হারপুনের টুকরোটি পরবর্তীতে আলাস্কার ইনুপিয়াত হেরিটেজ সেন্টারে সংরক্ষিত হয়েছিল। শিকার-ইতিহাসের এই নিদর্শনটি প্রকৃতির অদম্য শক্তি এবং প্রাণের টিকে থাকার সংগ্রামের জীবন্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
“হারপুনের টুকরো থেকে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম—বো-হেড তিমি পৃথিবীর দীর্ঘায়ু স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম।”
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ২০০৭ সালে আলাস্কার বারো অঞ্চলে শিকার করা একটি বো-হেড তিমির শরীরে ১৯ শতকের “বম্ব ল্যান্স” হারপুনের টুকরো পাওয়া গিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, তিমিটির বয়স ছিল ১১৫–১৩০ বছর; অস্ত্রাংশটি পরে সংরক্ষিত হয়েছিল ইনুপিয়াত হেরিটেজ সেন্টারে।
যখন আমরা ঘুমাই:
কিন্তু ঘুমের অভাবে ঘটে ভয়াবহ বিপর্যয়—
সম্প্রতি পৃথিবীর বুকে ঘটে যাওয়া একের পর এক আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠা, ভূমিকম্পের ঘনঘটা ও অস্থির ভৌগোলিক গতিপ্রকৃতি আমাদের সামনে বড় এক প্রশ্ন তুলে ধরছে— প্রকৃতি কি কিছু বলতে চাইছে? আর আমরা কি সে ভাষা বুঝে নিজেদের প্রস্তুত করছি?
রাশিয়ার ক্লুচেভস্কয় হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট রেনিয়ারে ভূগর্ভে নড়াচড়া বেড়েছে। আলাস্কার আগ্নেয়গিরি স্পার এবং গ্রেট সিটকিন আবার জেগে উঠেছে। জাপানের সাকুরাজিমা, ইন্দোনেশিয়ার লেওটোবি ও মেরাপি এবং মেক্সিকোর পোপোক্যাটেপেটল — যেন সারাবিশ্বে একযোগে ভূমিক্ষরণ ও আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটছে।
এগুলো কি নিছক আলাদা আলাদা ঘটনা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো বড় প্রাকৃতিক বার্তা? ভূবিজ্ঞানীরা আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। কারণ, এই ঘটনাগুলোর মাত্রা, সময়কাল ও বিস্তৃতি কাকতালীয় বলে মনে হচ্ছে না আর।
আমরা ভুলে যাই, পৃথিবী একটি জীবন্ত গ্রহ। এর ভূগর্ভে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন চলছে, আর প্রতিটি পরিবর্তন আমাদের ওপরও প্রভাব ফেলছে — কখনও সরাসরি, কখনও পরোক্ষভাবে।
এই ধারাবাহিক অস্থিরতা শুধুই ধ্বংস নয়, বরং একটি হুঁশিয়ারি — প্রকৃতি তার ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। আর আমরা, যারা এই প্রকৃতির অংশ, সেই পরিবর্তনের জন্য কতটা প্রস্তুত?
প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমরা মহাকাশে পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি, অথচ নিজের পায়ের নিচে জমে থাকা আগ্নেয় বিপদের পূর্বাভাস এখনও পর্যাপ্তভাবে নিতে পারছি না। শুধু উন্নয়ন নয়, আমাদের প্রয়োজন পরিবেশ-সচেতন পরিকল্পনা, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রকৃতির সংকেতকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা।
প্রতিটি ভূমিকম্প, প্রতিটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত আমাদের মনে করিয়ে দেয় — আমরা প্রকৃতির নিয়ন্ত্রক নই, বরং সহযাত্রী। তাই নিজেদের রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রকৃতির ভাষা শেখা, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং আগেভাগেই প্রস্তুত হওয়া।
যদি আমরা চোখ-কান খোলা রাখি, তাহলে বুঝতে পারব — পৃথিবীর প্রতিটি নড়াচড়া আসলে একটি বার্তা। সেই বার্তা হলো: "আমি বদলে যাচ্ছি, তুমি কি প্রস্তুত?"
🕘 প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০০ পিএম |
জাতিসংঘের পাঁচটি শীর্ষ সংস্থার যৌথ প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীন দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রাখা হয়েছে। 'গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস ২০২৫'-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৭ কোটি ৭১ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাচ্ছেন না।
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বলতে বোঝানো হয়েছে ব্যক্তি বা পরিবারের পর্যায়ে অর্থ বা অন্যান্য সম্পদের অভাবে পর্যাপ্ত ও সুষম খাদ্যপ্রাপ্তির সীমিত সুযোগকে।
তীব্র খাদ্য সংকটে থাকা শীর্ষ পাঁচ দেশ হলোঃ নাইজেরিয়া, সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, বাংলাদেশ এবং ইথিওপিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে খাদ্য ঘাটতিতে পাকিস্তান (৬০%) এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশেও তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক (৪৪%)।
অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, "সরকার সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখলেও ব্যক্তিপর্যায়ে ‘চাপা ক্ষুধা’ বিদ্যমান। মানুষ বাধ্য হয়ে কম খাচ্ছে।"
কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মন্ডল বলেন, "খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও দুর্বল বণ্টন ব্যবস্থার কারণে তা সবার কাছে পৌঁছায় না। ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আরও জোরদার করা জরুরি।"
তবে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (FPMU) বলছে, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। তবে তারা জাতিসংঘের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
FPMU-এর মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সবার কাছে পৌঁছায় কি না, সেটাই আসল প্রশ্ন।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে এখন খাদ্যের প্রাপ্যতা নয়, বরং যথাযথ বণ্টন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চীনা সামরিক প্রযুক্তি বর্জন করে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কেনার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে মার্কিন বোয়িং বিমান ও যন্ত্রাংশ ক্রয়ে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এলএনজি ও খাদ্যপণ্য আমদানিতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষ বাজার নিশ্চিত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও লজিস্টিক খাতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার শর্ত রয়েছে। এছাড়াও, মার্কিন আইন ও নজরদারি ব্যবস্থাও বাংলাদেশে প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। এতে বাংলাদেশ তার স্বাধীন নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।” অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, “শুল্ক ছাড়ের নামে মার্কিন পণ্যের বাজারে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ, যা অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য সংকটজনক।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই চুক্তি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। অনেকেই এটিকে দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপস এবং সার্বভৌমত্ব বিক্রির সমতুল্য মনে করছেন।
বিশ্লেষকরা সরকারকে এই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, “জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় এই চুক্তির সকল শর্তের জনসাধারণের সামনে পুরোপুরি তথ্য উপস্থাপন করা আবশ্যক।”
এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে কিছু জীব অত্যন্ত দীর্ঘ সময় পর্যন্ত হিমায়িত অবস্থায় টিকে থাকতে সক্ষম এবং পরে পুনরায় সক্রিয় হতে পারে। নেমাটোড প্রজাতির এই কৃমিগুলো মাটির গভীরে বাস করে এবং অতীতের জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, তাদের টিকে থাকার রহস্য তাদের দেহের বিশেষ জৈবিক গঠনে নিহিত, যা কোষের ক্ষতি রোধ করে।
এই গবেষণার গুরুত্ব শুধু প্রাণীবিদ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মহাকাশ বিজ্ঞান ও এক্সোপ্ল্যানেটারি জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এটি নতুন প্রশ্ন ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। যদি এমন প্রাণী হাজার হাজার বছর ধরে বরফে আটকে থেকে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে, তাহলে আমাদের সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ ও উপগ্রহেও জীবনের অস্তিত্ব থাকা কি অসম্ভব? মঙ্গল কিংবা ইউরোপার মতো স্থানগুলো এখন নতুন দৃষ্টিতে দেখা দরকার।
বিশ্বব্যাপী এই আবিষ্কার আমাদের শেখায় যে প্রকৃতি কতটা রহস্যময় এবং জীবন কতটা স্থায়ী হতে পারে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই রহস্যগুলো আরও জানব এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করব।
আমাদের অবশ্যই এই ধরনের গবেষণাকে উৎসাহিত করতে হবে এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতন হতে হবে, যেন আমরা পৃথিবীর এই বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করতে পারি।
মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পুরো দেশ শোকাহত। এমন সময়ে জনগণের প্রতি সহানুভূতি জানানো ও দায় স্বীকারের পরিবর্তে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “এই ঘটনার দায় প্রত্যেক নাগরিকের।”
এ বক্তব্য শুধু অমানবিকই নয়, এটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বহীনতারও প্রতিফলন। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশা করে সহানুভূতি, জবাবদিহিতা ও সমাধানের পথ দেখানো। কিন্তু এই বক্তব্য বরং জনগণকে দোষারোপ করার মাধ্যমে পুরো ব্যর্থতা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
শিশুদের মৃত্যুর মতো একটি ঘটনায় যদি সরকার নিজেই দায় নিতে না চায় এবং বরং দোষ চাপাতে চায় সাধারণ নাগরিকদের ওপর, তাহলে এটি স্পষ্ট করে দেয়—রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে একটি বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে। নূরজাহান বেগমের বক্তব্য সেই বিভেদেরই এক নিষ্ঠুর উদাহরণ।
রাষ্ট্রের উচিত ব্যর্থতা স্বীকার করে ব্যবস্থা নেওয়া, তদন্ত করা, এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু এখানে উল্টো দেখা যাচ্ছে—রাষ্ট্র জনগণের দিকেই আঙুল তুলছে।
এই মন্তব্য ইতিহাসে থাকবে একটি কলঙ্ক হিসেবে—যেখানে একটি শোকাবহ ঘটনার সময় একজন সরকারি উপদেষ্টা জনগণের দিকেই দোষ চাপিয়ে দেন। এটি শুধু প্রশাসনিক ঔদ্ধত্য নয়, এটি জাতির প্রতি অবজ্ঞার প্রতীক।
রাষ্ট্র কোনো প্রভু নয়, রাষ্ট্র জনগণের সেবক। যারা জনগণের করের টাকায় বেতন পান, তাঁদের কাজ হলো দায়িত্ব নেওয়া—not blame shifting. জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলেই সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে।
এ দেশের মানুষ ভুলে যাবে না এই অবমাননাকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। এই ঘটনাটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে—শুধু নীতিবোধ নয়, নেতৃত্বের মধ্যেও মানবতা থাকা জরুরি।
— সম্পাদকমণ্ডলী
Trending Flash News
বিশ্বের বৃহত্তম পাখি হিসেবে পরিচিত, তিন মিটার (প্রায় ১০ ফুট) উচ্চতার ডানাবিহীন বিশাল মোয়া পাখি একসময় ঘুরে বেড়াতো নিউজিল্যান্ডের বন-জঙ্গলে। শত শত বছর ধরে এই নিরীহ শাকাহারী প্রাণীটি বেঁচে ছিল প্রকৃতিতে, কিন্তু প্রায় ৬০০ বছর আগে, প্রথম পলিনেশীয় জনগোষ্ঠীর আগমনের পর অদৃশ্য হয়ে যায় এই প্রজাতি। আজ তার অস্তিত্ব কেবল সংরক্ষিত হাড়, শুকনো চামড়া, কিছু পালক এবং মাওরি জনগোষ্ঠীর মৌখিক ইতিহাসে সীমাবদ্ধ।
সম্প্রতি মার্কিন জেনেটিক প্রযুক্তি কোম্পানি Colossal Biosciences ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা এই বিলুপ্ত মোয়া পাখিকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ডোডো, উলি ম্যামথ এবং তাসমানিয়ান টাইগার-এর পর তাদের 'ডি-এক্সটিংশন' প্রকল্পে যুক্ত হলো মোয়াও।
Colossal Biosciences-এর লক্ষ্য আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ডিএনএ সংগ্রহ ও জিন সম্পাদনার মাধ্যমে মোয়া প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনা। fossil (জীবাশ্ম) থেকে ডিএনএ নিয়ে তা মোয়ার ঘনিষ্ঠ জীবিত আত্মীয় যেমন ইমু পাখির জিনে সম্পাদনা করে একটি নতুন জীব তৈরি করা হবে। এর পর সেই পাখিগুলোকে নির্ধারিত ‘rewilding site’-এ ছাড়া হবে।
এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের University of Canterbury-এর Ngāi Tahu Research Centre। আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যার পিটার জ্যাকসন, যিনি Colossal-এর একজন বিনিয়োগকারী ও মোয়া হাড় সংগ্রহকারী হিসেবেও পরিচিত।
"যদি সত্যিই কয়েক বছরের মধ্যে আবার মোয়া দেখতে পাই, তাহলে আমার জীবনে আর কোনো সিনেমা যতটা আনন্দ দিয়েছে, তার চেয়েও বেশি সন্তুষ্টি পাব।"
— স্যার পিটার জ্যাকসন
তবে বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের একাংশ এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে বলছেন, এটি বাস্তবতাবিবর্জিত এবং বিজ্ঞাপনী প্রচারণা মাত্র। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ‘ডি-এক্সটিংশন’ কথাটিই বিভ্রান্তিকর, কারণ প্রকৃত মোয়া আর ফিরে আসবে না—বরং সৃষ্টি হবে একটি জিনগতভাবে সম্পাদিত নতুন প্রজাতি।
ড. টরি হেরিজ (ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড) বলেন:
অনেক গবেষক আশঙ্কা করছেন, বিলুপ্ত প্রজাতি ফিরিয়ে আনার এই প্রচেষ্টা বর্তমানে বিপন্ন প্রজাতিগুলোর সংরক্ষণ থেকে গুরুত্ব সরিয়ে দিচ্ছে। Nature Ecology & Evolution জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলোতে অর্থ ব্যয় জৈববৈচিত্র্য রক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার সদস্য আরোহা টে পারেক মীড বলেন:
"এই প্রকল্পগুলো বাস্তব সংরক্ষণের চেয়ে ব্যক্তি ও করপোরেট গর্বের প্রকাশ। মোয়া ফিরলেও সে কোথায় থাকবে? কীভাবে বাঁচবে? সম্মানজনক জীবন পাবে কি?"
Colossal Biosciences-এর এই সাহসী ঘোষণাগুলো প্রযুক্তির সীমা ছাড়িয়ে সম্ভাবনার দিগন্তে পৌঁছানোর চেষ্টা। বাস্তববাদী বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি একটি বিজ্ঞান-সংশ্লিষ্ট কল্পনা, যা হয়তো নতুন জিনবিজ্ঞান চর্চার দরজা খুলবে, তবে প্রকৃত মোয়া পাখি আর কখনোই ফিরে আসবে না।
#মোয়া #ডি-এক্সটিংশন #Colossal #বিজ্ঞান #বিলুপ্তপ্রাণী
উৎস: উইকিপিডিয়া
মোয়া ছিল নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী এক প্রকার বিশাল, উড়তে অক্ষম পাখি, যারা ডাইনরনিথিডি (Dinornithidae) পরিবারভুক্ত। আজ থেকে কয়েক শতাব্দী আগে পর্যন্ত এরা জীবিত ছিল, কিন্তু মানুষের আগমনের কিছুদিন পরেই এরা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
মোয়া শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ড-এ পাওয়া যেত এবং এদের অন্য কোথাও দেখা যায়নি। মোয়া পাখির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল – এরা একেবারেই উড়তে পারত না এবং পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ পাখি হিসেবে পরিচিত ছিল।
মোয়া ছিল নিরামিষভোজী। এরা গাছের পাতা, ডালপালা, নরম গুল্ম এবং ফল খেয়ে জীবনধারণ করত। বড় আকৃতির গ্রীবা ও মুখের গঠন অনুযায়ী বোঝা যায়, তারা গাছের উচ্চ অংশ থেকেও খাবার সংগ্রহ করত।
খ্রিস্টীয় ১৩০০–১৪০০ সালের দিকে পলিনেশিয়ান (মাওরি) জনগোষ্ঠী নিউজিল্যান্ডে বসতি স্থাপন করে। অতিরিক্ত শিকার এবং বন উজাড়ের কারণে মোয়া পাখি দ্রুত হারে কমে যেতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
শ্রেণী | তথ্য |
---|---|
রাজ্য (Kingdom) | Animalia |
শ্রেণি (Class) | Aves |
অধিশ্রেণি | Palaeognathae |
পরিবার (Family) | Dinornithidae |
যাত্রীবাহী একটি বিশাল বিমান উড়ছিল আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে—৩০ হাজার ফুট উচ্চতায়, ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার গতিতে। হঠাৎ, এক তীব্র গতির ওয়ারক্রাফট জেট এসে দাঁড়াল বিমানের পাশে।
জেটের পাইলট গতি কমিয়ে বিমানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শুরু করল। এরপর রেডিওতে বিমানের পাইলটকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলল,
“বিমানে বসে নিশ্চয়ই বিরক্ত হচ্ছেন? দেখুন, আমি কী করতে পারি!”
বলেই সে তার দুরন্ত গতির প্রদর্শনী শুরু করল—জেটটি বিদ্যুতের মতো কখনও সামনে ছুটে গেল, কখনও পেছনে, কখনও বিমানের চারপাশে পাক খেল, আবার গভীর সমুদ্রের কাছাকাছি নিচু স্তরে নেমে এসে মুহূর্তেই ফিরে এল বিমানের পাশে।
তারপর সে জিজ্ঞেস করল,
“কেমন লাগল?”
বিমানের পাইলট হেসে উত্তর দিলেন,
“চমৎকার! এবার দেখুন, আমি কী করি।”
জেট-পাইলট অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কিছুই ঘটল না। বিমানের গতি অপরিবর্তিত রইল—একইভাবে সোজা চলতে থাকল।
সময় গড়াল। প্রায় ১৫ মিনিট পর, বিমানের পাইলট রেডিওতে বললেন,
“তা, কেমন লাগল?”
জেট-পাইলট বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“আপনি করলেনটা কী?”
বিমানের পাইলট হেসে উত্তর দিলেন,
“আমি আসন থেকে উঠে দাঁড়ালাম, পা ঝাঁকিয়ে নিলাম, বিমানের পেছনে গিয়ে ওয়াশরুম ব্যবহার করলাম, এক কাপ কফি বানালাম এবং চকোলেট পেস্ট্রি খেলাম।”
“যেখানে গতি থেমে যায়, সেখানে শুরু হয় উপলব্ধির গভীরতা।”
লিখেছেন: বিজ্ঞান প্রতিবেদক | প্রকাশকাল: ২৭ জুলাই ২০২৫
সমুদ্র জুড়ে ঘুরে বেড়ানো এই বিশাল স্তন্যপায়ী প্রাণী তিমি ভূমিকা রাখে শুধু সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষাতেই নয়, বরং পরোক্ষভাবে স্থলভাগের পরিবেশেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রথমবারের মতো পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে যে, তিমির মূত্রও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এক অপ্রত্যাশিত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি Nature Communications জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়, বিশেষ কিছু প্রজাতির তিমি প্রতিদিন প্রায় ৯৫০–১০০০ লিটার মূত্র ত্যাগ করে। এই মূত্র সমুদ্রজলে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস সরবরাহ করে, যা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের বৃদ্ধিতে সহায়ক। সালোকসংশ্লেষণের হার বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন বছরে বায়ুমণ্ডল থেকে গড়ে ১৮,১৮০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে — যা বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্লু হোয়েল বা স্পার্ম হোয়েল প্রতিদিন শত শত লিটার মূত্র ত্যাগ করে, যা সমুদ্রের পানিতে মিশে গিয়ে এক ধরনের প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজ করে। বিজ্ঞানীরা এই প্রক্রিয়াকে “whale pump” নাম দিয়েছেন—যার মাধ্যমে তিমিরা গভীর সমুদ্র থেকে পুষ্টি উপরে নিয়ে আসে ও তা ছড়িয়ে দেয় অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এলাকায়।
তাদের চলাচলের কারণে পুষ্টি উপাদান যেমন নাইট্রোজেন ও ফসফরাস সমুদ্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়। পুষ্টি-স্বল্প অঞ্চলে তিমিরা তাদের মূত্রের মাধ্যমে একটি নতুন খাদ্যজাল সৃষ্টি করে, যা প্ল্যাঙ্কটন থেকে শুরু করে মাছ, পাখি ও সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী পর্যন্ত বিস্তৃত।
সালোকসংশ্লেষণকারী ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন সমুদ্রজলে CO₂ শোষণ করে এবং অক্সিজেন উৎপাদন করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তিমির উপস্থিতি ও মূত্রের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া প্রায় ৪০% পর্যন্ত কার্যকর হয়। অর্থাৎ তিমি না থাকলে সমুদ্রের কার্বন শোষণ ক্ষমতা নাটকীয়ভাবে কমে যেতে পারে, যা জলবায়ু পরিবর্তন আরও ত্বরান্বিত করবে।
বর্তমানে মানবসৃষ্ট দূষণ, অতিরিক্ত মাছ ধরার চাপ, জাহাজ চলাচল এবং শব্দদূষণের কারণে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। আশঙ্কাজনক হারে কমছে তিমির সংখ্যা, যা সমুদ্রের পুষ্টিচক্র ও বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
নতুন গবেষণাগুলোর মাধ্যমে এখন এটা স্পষ্ট যে তিমি কেবল প্রাণীর রাজ্যের এক বিস্ময়কর সদস্যই নয়, বরং তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এক অতন্দ্র প্রহরী। তাই শুধু সংরক্ষণ নয়, আমাদের এখন তিমির বাসস্থান রক্ষা, খাদ্য সরবরাহ ও চলাচলের পথ সুরক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।
তিমির মূত্র হয়তো প্রথম শুনতে তুচ্ছ মনে হতে পারে, কিন্তু এটি আসলে এক জটিল ও মহৎ পরিবেশগত প্রক্রিয়ার অংশ। এটি আমাদের শেখায়, প্রকৃতিতে এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলোর গোপন অবদান ছাড়া পুরো বাস্তুতন্ত্রই ভেঙে পড়তে পারে। তাই তিমিকে বাঁচানো মানে, সমুদ্রকে বাঁচানো; আর সমুদ্রকে বাঁচানো মানে, পৃথিবীকে রক্ষা করা।
সেফটি পিন, ববি পিন এবং বলপয়েন্ট কলম—তাদের মৌলিক রূপে “শতাব্দীর পর শতাব্দী” টিকে আছে, যা তাদের অসাধারণ কার্যকারিতা এবং সরলতার প্রমাণ। কিছু নকশা সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়, কিন্তু কিছু ডিজাইন এমন থাকে যা যুগ যুগ ধরে নিজেদের মৌলিকত্ব ধরে রাখে।
চলুন জেনে নিই এই অমর নকশাগুলোর উৎস!
আপনি কি জানেন, প্রতিদিনের ব্যবহৃত “সেফটি পিন” প্রায় ১৭৫ বছর ধরে তার মূল নকশা ধরে রেখেছে?
আমেরিকান উদ্ভাবক ওয়াল্টার হান্ট ১৮৪৯ সালের ১০ এপ্রিল এটি পেটেন্ট করেন (ইউ.এস. পেটেন্ট নং ৬,২৮১)। তার তৈরি এক-টুকরো, কুণ্ডলিত স্প্রিং এবং আটকানো ডগা সম্বলিত নকশাটি আজও বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৯২০-এর দশকে যখন ‘বব’ চুলের স্টাইল জনপ্রিয় হয়, তখনই এর জন্ম। সান ফ্রান্সিসকোর কসমেটিক উদ্যোক্তা লুইস মার্কাস আধুনিক স্প্রিং-ক্লিপ “ববি পিন” ডিজাইন করেন এই বিশেষ স্টাইলকে ধরে রাখার জন্য।
এরপর থেকে এটি চুলের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। আশ্চর্য হলেও সত্যি, এর মৌলিক রূপটি আজও প্রায় অপরিবর্তিত।
বলপয়েন্ট কলমের ধারণা প্রথম আসে ১৮৮৮ সালে “জন জে. লাউড”-এর পেটেন্টে।
তবে এর আধুনিক এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল রূপটি আসে ১৯৪৩ সালে, যখন লাসলো বিরো এটি উন্নত করেন। পরে ১৯৫০ সালে Société Bic এর বিখ্যাত ‘Bic Cristal’ কলম বাজারে আনে।
এই নকশাগুলো প্রমাণ করে যে, প্রকৃত উদ্ভাবন আর সরলতা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তাদের স্থায়িত্ব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলেছে।
Phascolarctos cinereus, বা কোয়ালা, অস্ট্রেলিয়ার একটি স্থলচর থলিধারী প্রাণী। দেখতে ভালুকের মতো হলেও এটি একটি মারসুপিয়াল — অর্থাৎ, একটি থলিধারী স্তন্যপায়ী প্রাণী।
কোয়ালা শুধুমাত্র ইউক্যালিপটাস পাতাই খায়। পাতাগুলি থেকে খুব কম শক্তি পাওয়া যায়, তাই এটি দিনে প্রায় ১৮–২২ ঘণ্টা ঘুমায়। তারা সাধারণত গাছে বাস করে এবং একাকী থাকে।
মারসুপিয়াল প্রাণী হিসেবে, কোয়ালার মায়েরা তাদের শিশুদের থলির ভিতরে রাখে। শিশু কোয়ালাকে বলা হয় joey, যা প্রায় ৬ মাস থলির ভিতরে থাকে এবং পরে মায়ের পিঠে চড়ে চলে।
বন উজাড়, যানবাহনের ধাক্কা, কুকুরের আক্রমণ এবং chlamydia রোগ কোয়ালার জন্য বড় হুমকি। IUCN অনুযায়ী, কোয়ালাকে Vulnerable বা "হুমকির মুখে থাকা" প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কোয়ালা কেবলমাত্র একটি প্রাণী নয়, বরং প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর সংরক্ষণে সচেতনতা ও বন রক্ষা জরুরি। আমাদের উচিত এই প্রজাতির সুরক্ষায় সক্রিয় হওয়া।
ঘুম আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য রিচার্জের মতো। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে, মস্তিষ্কের কোষগুলো নিজেই নিজেকে নষ্ট করতে শুরু করে — যেটা একেবারেই ভয়ংকর!
এর ফলে হতে পারে:
⭐ তাই সুস্থ, সতেজ এবং প্রোডাক্টিভ থাকতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন।
❝নিজেকে ভালোবাসুন, ঘুমকে গুরুত্ব দিন!❞
তারিখ: ২৫ জুলাই ২০২৫ | স্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১:০৬ মিনিটে একটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ জেট (F-7 BGI) ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভবনে আঘাত হানে।
ভবনটির দুটি তলা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহুজন পুড়ে যান বা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন।
মঙ্গলবার শত শত শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। তারা উত্তরার ঘটনাস্থলে এবং সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল:
পুলিশ টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।
সরকার মঙ্গলবারকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনুস জানান, “আমরা কিছু গোপন করবো না।”
ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সহায়তায় এসেছে।
"আমি ক্লাসে ছিলাম। বিশাল শব্দ শুনে কাচ ভেঙে পড়ে, এরপর আগুন। শিশুদের আর্তনাদ এখনও কানে বাজছে।"
— একাদশ শ্রেণির ছাত্র
📅 ২১ জুলাই ২০২৫, ঢাকা
✍️ প্রতিবেদক: মো. আহসান আরিফ
ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সোমবার দুপুরে একটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৯ জন শিক্ষার্থী, ২ জন শিক্ষক এবং পাইলট।
একটি F-7 BGI প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুপুর ১:০৬ মিনিটে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুলের ভবনে আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। আগুন ও ধোঁয়ায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা একযোগে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। অনেককে কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
প্রায় ১৭০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ৭৮ জন গুরুতর দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেশিরভাগ আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে বার্ন ইউনিটে ভর্তি।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনুস জাতীয় শোক ঘোষণা করেন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
পরদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা পুরাতন যুদ্ধবিমান বাতিল, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সহানুভূতি জানায় এবং বিশেষ বার্ন চিকিৎসক দল পাঠানোর প্রস্তাব দেয়।
এই দুর্ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে শিক্ষাঙ্গনে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা। একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান এতগুলো তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এমন দুর্ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে — সেটিই জাতির প্রত্যাশা।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন এলন মাস্ক, যার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, যার সম্পদ প্রায় ১৯ হাজার কোটি ডলার।
গত বছর এলন মাস্কের সম্পদ একসময় ৪০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে টেসলার শেয়ারে ধস নামে, ফলে কমে যায় তার সম্পদের পরিমাণ।
অনেকেই মনে করেন, এলন মাস্কই হতে যাচ্ছেন পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার—অর্থাৎ ১ লাখ কোটি ডলারের মালিক। কিন্তু মজার বিষয় হলো, পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হয়তো হবেন না এলন মাস্ক কিংবা জেফ বেজোস!
বরং হবেন এমন একজন, যার নাম অনেকেই শোনেননি। তার নাম সাতোশি নাকামোতো—বিটকয়েনের স্রষ্টা। সাতোশি নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন ১ মিলিয়ন বিটকয়েন একটি ওয়ালেটে—যা একেবারেই প্রকাশ্য, যে কেউ দেখতে পারে, তবে সেটি স্পর্শ করতে পারে না কেউই।
বর্তমানে একটি বিটকয়েনের দাম পৌঁছেছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার মার্কিন ডলার-এ। ক্রিপ্টোবিশ্বের বিশ্লেষকদের মতে, এই দাম যেভাবে বেড়েই চলেছে, শিগগিরই এটি ১ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সেদিনই সাতোশি নাকামোতোর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার—সম্পূর্ণ লিকুইড ডিজিটাল সম্পদ, কোনো শেয়ারের কল্পিত মূল্য নয়।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো—এই সাতোশি নাকামোতো কে, তা আজও কেউ জানে না। তিনি কি একজন ব্যক্তি, নাকি একটি দল—সেই প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্য।
সম্ভবত তিনি যখন ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হবেন, তখনই হয়তো নিজেকে প্রকাশ করবেন। তবে বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, তিনি ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১২তম সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি।
সুতরাং, ইতিহাসে প্রথম ট্রিলিয়ন ডলার আয়কারী ব্যক্তি হয়তো হবেন না কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিইও, বরং হবেন এক রহস্যময় নাম—সাতোশি নাকামোতো। নামটা কিন্তু মনে রাখবেন!
মৌমাছির হুলের বিষ যে বেশ যন্ত্রণাদায়ক, তা সবারই জানা। কিন্তু সেই বিষেই লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক সম্ভাবনাময় অস্ত্র।
অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি পারকিনস ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চ এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া-র বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির বিষে থাকা মেলিটিন (Melittin) নামক একটি যৌগ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই স্তন ক্যানসারের কিছু আক্রমণাত্মক কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। অবাক করার বিষয় হলো, এই বিষ আশপাশের সুস্থ কোষগুলোর ওপর তেমন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
গবেষকদের মতে, মেলিটিন কোষের বাইরের ঝিল্লিতে ছিদ্র সৃষ্টি করে, যার ফলে কোষের অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রক্রিয়া দ্রুত ভেঙে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, বিষ প্রয়োগের মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সংকেত বন্ধ করে দিতে পারে।
গবেষণায় বিশেষ করে ট্রিপল-নেগেটিভ এবং HER2-পজিটিভ ধরনের স্তন ক্যানসার কোষে মেলিটিনের শক্তিশালী কার্যকারিতা দেখা গেছে। এই দুই ধরনের ক্যানসার সাধারণত চিকিৎসা-প্রতিরোধী এবং মৃত্যুঝুঁকিপূর্ণ।
এই গবেষণাটি ২০২০ সালে npj Precision Oncology জার্নালে প্রকাশিত হয়। তবে ২০২৫ সালেও মেলিটিন নিয়ে গবেষণা থেমে নেই। কিছু গবেষণায় মেলিটিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।
তাই ভবিষ্যতের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই এমন প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে, যা সরাসরি টিউমারকে লক্ষ্য করে বিষ প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে।
হয়তো একদিন প্রকৃতির এই উপাদান মরণব্যাধির চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। এটি কেবল গবেষণার ফল নয়, বরং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় চিকিৎসার একটি পথ।
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ির একটি হোটেল থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, খাবার কিনে দেওয়ার পর সখ্যতা গড়ে ১২ বছরের ওই ছেলেশিশুটিকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুই যুবক।
ঘটনাটি ঘটে ১৪ জুলাই দুপুরে "আনোয়ারা" নামে একটি আবাসিক হোটেলের পাঁচতলার একটি কক্ষে।
পিবিআই জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আল–আমিন (৩৪)। তাকে গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আল-আমিন আজ শনিবার (১৯ জুলাই) হত্যা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার আরেকজন অভিযুক্ত, সাদ্দাম,কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পিবিআই জানিয়েছে, ১২ জুলাই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ১২ বছর বয়সী শিশুটির সঙ্গে আল-আমিন ও সাদ্দামের পরিচয় হয়। বরিশাল যাওয়ার ট্রেন কখন ছাড়বে, তা জানতে শিশুটি তাদের কাছে চায়। তখন তারা জানায়, বরিশালে ট্রেন যায় না। একপর্যায়ে শিশুটি তাদের জানায়, সে এক দিন ধরে কিছু খায়নি। পরে তারা শিশুটিকে খাবার ও জুতা কিনে দেয়। সন্ধ্যায় শিশুটিকে যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় তারা। রাতে দুজন মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে, এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকালে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটি বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বেল্ট দিয়ে শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
পিবিআই জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে শিশুটির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
📍 সারিয়াকান্দি, বগুড়া | ১৭ জুলাই ২০২৫ |
বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন শাশুড়ি ও পুত্রবধূ। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ননদ, যিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে লাইলী বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর হাবিবা খাতুনকেও একইভাবে হত্যা করা হয়। বাঁচাতে এগিয়ে এলে বন্যা আক্তারকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির জানান, প্রাথমিক তদন্তে প্রেমসংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি উঠে এসেছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
#বগুড়া_খবর #নৃশংস_হত্যা #প্রেমঘটিত_দুর্বৃত্ততা #আরটিভি_নিউজ #বাংলাদেশ_সংবাদ
📢 দৃষ্টি আকর্ষণ:
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা জরুরি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অপরাধীদের কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আপনার মতামত কমেন্টে জানান এবং সংবাদটি শেয়ার করুন।
চলুন জেনে নিই বিভিন্ন ঘুমানোর ভঙ্গির বৈজ্ঞানিক দিক এবং ইসলামিক নির্দেশনা—
অনেকে অভ্যাসবশত পেটের ওপর ঘুমান। কিন্তু এই ভঙ্গি ফুসফুসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হয়।
👉 চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, পেটের ওপর ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
একসময় এটিকে রাজকীয় ঘুম বলা হতো। কারণ এই ভঙ্গি রাজারা পছন্দ করতেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যেমন: স্নোরিং (নাক ডাকা) বা শ্বাসরোধ।
এই ভঙ্গিতে শরীরের ডান পাশে থাকা ফুসফুস, হৃদপিণ্ড এবং যকৃত একে অপরকে চাপ দেয়। ফলে হজমপ্রক্রিয়া ধীরগতির হয়—দুই থেকে চার ঘণ্টার খাবার হজম হতে লাগে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা।
👉 তাই, এটি সুস্থতার জন্য উপযুক্ত নয়।
এটাই সবচেয়ে উপকারী এবং প্রাকৃতিক ভঙ্গি বলে প্রমাণিত।
🔹 ডান পাশে যকৃত নিচে স্থির থাকে—ফলে হজম দ্রুত হয়
🔹 ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কম পড়ে
🔹 এটি মানসিক প্রশান্তি ও আরামদায়ক ঘুম এনে দেয়
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"যখন তুমি শোবার যাও, তখন নামাযের ওযু করো, তারপর ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়ো এবং বলো:
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ…”
📚 (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
🌟 এবং এটাই ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ঘুমানোর অভ্যাস।
ঘুমানোর ভঙ্গি শুধু অভ্যাস নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় আদর্শ অনুসরণের অংশ। ডান কাত হয়ে ঘুমানো একদিকে যেমন শারীরিকভাবে উপকারী, তেমনি আধ্যাত্মিকভাবে প্রশংসিত।
🕋🤲 আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক ‘আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মদ ﷺ
📢 এই কল্যাণকর তথ্য অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন। কারণ কল্যাণের পথে আহ্বানকারীও তাঁর মতোই পুরস্কৃত হবেন।
টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ হারার পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও সহজে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া দলটি এখন তাকিয়ে সিরিজ জয়ের দিকে—এমনটাই জানালেন অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
রবিবার ডাম্বুলায় দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৩ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ, যা সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে। প্রথম ম্যাচে সাত উইকেটে হারা দল এই জয়ে নিজেদের ফিরে পেয়েছে, আর সামনে তাকিয়ে আছে ১৬ জুলাই কলম্বোতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল সমতুল্য তৃতীয় ম্যাচের দিকে।
"ম্যাচ জেতাটাই সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। সিরিজ এখন সমতায় রয়েছে, তাই এই জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সামনে আমাদের দারুণ একটা সুযোগ রয়েছে সিরিজ জয়ের। যদি এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমরা সিরিজটা জিতব, এটা আমি বিশ্বাস করি।" — শামীম হোসেন
এই জয়ের নায়ক ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস, ৫০ বলে ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে। তাঁর দেখানো পথে শামীমও ঝড় তোলেন—মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রান করে দলের সংগ্রহ নিয়ে যান ১৭৭ রানে।
শুধু ব্যাটে নয়, মাঠেও শামীম ছিলেন দুর্দান্ত। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে সরাসরি থ্রোয়ে ফিরিয়ে দেন ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিসকে। এরপর বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত এক ক্যাচে আউট করেন আভিস্কা ফার্নান্দোকে। ৫ ওভারেই শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ২৫/৩।
বাংলাদেশের বোলাররাও ছিলেন আগুনে। মাত্র ১৫.২ ওভারে অলআউট করে দেন স্বাগতিকদের, মাত্র ৯৪ রানে। রানের ব্যবধানে এটি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
"লিটনের ব্যাটিং ছিল অসাধারণ। ওর ইনিংসটাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে ভালো শুরু খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর লিটনের ইনিংস বড় স্কোরের পথ তৈরি করে দিয়েছে।" — শামীম
মাঝের ওভারে কিছুটা ধীর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, সেটার ব্যাখ্যাও দেন শামীম,
"সবসময় আক্রমণাত্মক খেলা যায় না। তখন আমাদের দরকার ছিল স্থিতিশীল একটা জুটি। আমাদের দলে অনেক পাওয়ার হিটার আছে, তাই উইকেট বাঁচানোই তখন বেশি জরুরি ছিল। লিটন-হৃদয়ের জুটিটা সেই কাজটাই করেছে।"
এখন পুরো দলই সিরিজ জয়ের আশায় বুক বেঁধেছে। টাইগারদের চোখে এখন শুধুই কলম্বোর ফাইনাল ম্যাচ ও সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া।
📍 স্থান: পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ
🗓️ তারিখ: ১১ ও ১২ জুলাই ২০২৫
💔 কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবিতে দুই বোনের মৃত্যুতে এক পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক।
🛶 ভাঙারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী নীপা আক্তার শুক্রবার বিকেলে দুই মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ চরটেকি এলাকায়। মাঝনদীতে পৌঁছেই স্রোতের টানে উল্টে যায় নৌকাটি।
🌊 বড় মেয়ে কাশ্মীরা রহমান নীলা (১৭) ও ছোট মেয়ে ফারিয়া রহমান নীহা (৯) পানিতে তলিয়ে যায়। সাঁতার না জানায় তারা আর বাঁচতে পারেনি। বাবা-মা উদ্ধার হলেও দুই কন্যাকে হারিয়ে শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নীপা আক্তার।
🗣️ “বড় মেয়েকে দাফন করলাম দুপুরে, আর ছোট মেয়েকে বিকেলে। এমন দুর্ভাগ্য যেন আর কোনো বাবা-মায়ের জীবনে না আসে।” — আব্দুর রহমান
🚨 পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনার পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। শনিবার দুপুরে ছোট মেয়ে নীহার মরদেহ ভেসে উঠলে ডুবুরি দল তা উদ্ধার করে।
📛 ঘটনার পর ওই এলাকায় নদীভ্রমণ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, নিরাপত্তা না থাকলে অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানান ইউএনও।
🧑🤝🧑 স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাহার আলী জানান, নীলা ও নীহার মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোক বিরাজ করছে। এর আগে ১ জুলাই একই নদীতে আরও তিন শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছিল।
⚠️ দুর্ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি রোধে নদী ভ্রমণের আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনসচেতনতা।
পুরান ঢাকার ছেলে লাল চাঁদ, সবাই যাকে ‘সোহাগ’ নামেই চিনত। শান্ত স্বভাব, পরিশ্রমী মনোভাব আর সাহসী সিদ্ধান্তে জীবন গড়তে চেয়েছিল ছেলেটি। মিটফোর্ড হাসপাতালের পাশে ছোট্ট এক ব্যবসা চালাত সে। স্বপ্ন ছিল নিজের শ্রমেই দাঁড়িয়ে যাওয়ার।
কিন্তু এই শহরে সততা অনেক সময় শত্রু ডেকে আনে। মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবি সোহাগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ভয় পায়নি, মাথা নিচু করেনি — এটাই তার ‘অপরাধ’।
৭ জুলাই, রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে হামলা হয় তার ওপর। মানুষের সামনে, সিসিটিভির সামনে, একটি জীবনের অবসান ঘটে চরম নির্মমতায়।
তার মৃত্যু শুধু একটি প্রাণহানিই নয় — এটি ছিল এক তরুণের ন্যায়ের পথে শেষ হাঁটা। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় গোটা দেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম — সব জায়গায় উঠেছে এক স্লোগান:
“সোহাগের হত্যাকারীদের বিচার চাই।”
সোহাগ হয়তো আর নেই, কিন্তু তার গল্প এখন প্রতিরোধের প্রতীক। সে বলে গেছে:
"ভয় নয়, প্রতিবাদই মুক্তির পথ।"
❗দেশে কখনোই ন্যায়বিচার হয়নি এবং হয়তো ভবিষ্যতেও হবে না। ব্যক্তির দায় দল গ্রহণ করে না, কিন্তু চাঁদার ভাগ সাদা খামে দিতে বাধ্য।
📅এই জুলাই মাসে, শেখ হাসিনার নামে শত শত মামলা হয়েছে। তিনি খুনের আসামি হিসেবে চিহ্নিত হলেও, তার বাহিনী ও নেতাকর্মীদের জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। তাহলে অন্য দলগুলোর নেতাকর্মীদের অপরাধের দায়ও তাদের দলকেই নিতে হবে।
💔সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই নির্মম হত্যাকাণ্ড আগের সব নৃশংসতার চেয়েও ভয়াবহ। চাঁদার দাবিতে এক ব্যবসায়ীকে নগ্ন করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাথর দিয়ে তার শরীর ও মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। হত্যার পর সেই মৃতদেহের ওপর উঠে নৃত্য করেছে দুর্বৃত্তরা।
👁️🗨️সবার চোখের সামনে, প্রকাশ্যে এই বীভৎস ঘটনা ঘটিয়েছে যুবদলের নেতা মহিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। দলের নেতাদের আসামি করে মামলা করা উচিত।
⛪একটি ঘটনাও নজরকাড়া — খতিবের বক্তব্য পছন্দ না হওয়ায় মসজিদে ঢুকে কুপিয়ে মুসল্লিকে আঘাত করা হয়।
😔এই দেশে বেঁচে থাকা মানেই অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। দুই যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে, আর যদি কোনো দলীয় নেতা হস্তক্ষেপ করতে চান, তাকে পর্যন্ত ক্রসফায়ার করা হয়।
⚖️এখন সময় নয় রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাগাভাগি করে দেখার, কঠোর বিচার করতে হবে এই প্রকাশ্য হত্যাকারীদের। তাদের বিচারও হওয়া উচিত জনসম্মুখে, যাতে সবাই দেখে সত্যিই ন্যায়বিচার হয়।
*(ফ্যাক্ট: ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড পুরান ঢাকায় ঘটে)*
একদিন এক ক্ষুধার্ত ইঁদুর খাবার খুঁজতে খুঁজতে ঢুকে পড়ল রাজপ্রাসাদের ভিতরে। চারপাশে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো খাবার না পেয়ে হঠাৎ তার নজর গেল এক উজ্জ্বল জিনিসের দিকে। না জেনেই সে গিলে ফেলল সেটি—আসলে সেটা ছিল এক টুকরো হীরা!
ইতিমধ্যে রাজপ্রাসাদে শুরু হয়ে গেল তোলপাড়—রাজার প্রিয় হীরা চুরি হয়েছে! রাজার নির্দেশে ডাকা হলো জ্যোতিষীকে। জ্যোতিষী গণনা করে জানালেন, হীরাটি একটি ইঁদুর গিলে ফেলেছে।
রাজা সঙ্গে সঙ্গে সেনাপতিকে নির্দেশ দিলেন হীরা উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে। ঢেঁড়া পিটিয়ে ঘোষণা করা হলো পুরস্কারের। এক অভিজ্ঞ শিকারি রাজসভায় এসে বলল, সে ইঁদুর খুঁজে হীরা উদ্ধার করতে পারবে।
শিকারি যখন ইঁদুর খুঁজতে বের হলো, সে দেখতে পেল, হাজার হাজার ইঁদুর দল বেঁধে একসাথে চলাফেরা করছে। তবে সবার থেকে আলাদা করে একটি ইঁদুর বসে আছে এক কোণায়, একটি ইটের ওপর—ঠিক যেন রাজাসুলভ ভঙ্গিতে।
শিকারি বুঝে ফেলল, এটাই সেই চোর! সে ইঁদুরটিকে ধরে তার পেট চিরে হীরার টুকরোটি বের করল এবং রাজাকে ফিরিয়ে দিল।
রাজা খুবই খুশি হয়ে পুরস্কার দিলেন শিকারিকে এবং জানতে চাইলেন, "তুমি এত হাজার ইঁদুরের মাঝে কীভাবে বুঝলে, এই ইঁদুরটিই হীরা গিলে ফেলেছিল?"
শিকারি হেসে বলল, "মহারাজ, এটি খুবই সহজ। যখন কোনো মূর্খ ব্যক্তি হঠাৎ ধনী হয়ে যায়, তখন সে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা ভাবতে শুরু করে। নিজের সমাজ, বন্ধু, আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, একপ্রকার রাজাসুলভ আচরণ করে। এই ইঁদুরটিও তাই করেছিল—হীরার মালিক হয়ে নিজেকে রাজা ভেবেছিল।"
এ সময়ে এক চালকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়, যিনি তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেন। পরে তিনি তাকে সিলেটের এক বাসায় নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে। অভিযুক্তের নাম আক্তার আলী (২৮), সে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কায়স্থগ্রামের বাসিন্দা এবং প্রাইভেটকার চালক।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত তরুণীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তার পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই ঘটনায় কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয় এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে মৌলভীবাজারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় সমাজে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন ঘটনার পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও প্রশ্ন উঠেছে, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজ ও প্রশাসনের করণীয় কী? তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।