বিকেএসপি থেকে আরও সাকিব আসছে না কেন? ভর্তিতে স্বজনপ্রীতির অবস্থা বললেন মহাপরিচালক

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। এখান থেকেই উঠে এসেছে বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা, যেমন সাকিব আল হাসান, রাসেল মাহমুদ জিমি, মামুনুল ইসলাম ও জাহিদ হাসান এমিলির মতো তারকা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিকেএসপি থেকে এই রকম উচ্চমানের খেলোয়াড় আসার সংখ্যা কমেছে।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, যদি আমি খেলোয়াড় সিলেকশনে আত্মীয়স্বজনদের জন্য আলাদা সুযোগ দিয়ে থাকি, তাহলে ৬-৭ বছর চেষ্টা করেও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আমরা শুধু ভাড়া করা খেলোয়াড় বা স্থানীয় পর্যায়ের কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব।
তিনি স্বীকার করেন যে অতীতে ভর্তিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছিল। তবে তার বক্তব্য, সর্বশেষ ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে যেখানে কোনো রকম রিকোয়েস্ট বা অনুরোধ ছিল না। যোগ্যতা ভিত্তিক যারা ছিল, তারা ভর্তি হয়েছে। আশা করছি আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এর ফলাফল পাওয়া যাবে।
বিকেএসপি মহাপরিচালক গত বছর ডিসেম্বরে এই প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি কার্যক্রম চালিয়েছেন। বিকেএসপি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান যা নিয়মিত প্রধান পদে বদল হয়।
তবে ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনুরোধ, রাজনৈতিক ও সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের চাপের কারণে বিকেএসপির ভর্তিতে অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। কখনো বিকেএসপি অনুরোধগুলো মেনে নেয়, আবার কখনো পক্ষপাতমূলক ভর্তি নিয়ে আলোচনা চলেছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম এইসব চাপ মোকাবেলায় সততা বজায় রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার আশা প্রকাশ করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে বিকেএসপি থেকে আবারো বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা উঠে আসতে পারে।
সাকিবের সাথে এক মত,আমার কাছে নিউজ পেপারটি খুবই ভালো লেগেছে।
ReplyDeleteআমি সাকিবের সাথে এক মত।পত্রিকাটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
ReplyDelete