বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলো, দেশের বাজারেও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা

ফিউচার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম ১.৭% কমে প্রতি আউন্সে ৩,৩৩৬ ডলার-এ নেমে এসেছে। বাজার বিশ্লেষক রিকার্ডো ইভাঞ্জেলিস্টা জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখন ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন, ফলে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। তবে তিনি মনে করেন, স্বর্ণের দাম সহজে ৩,০০০ ডলারের নিচে নামবে না এবং ৩,৩০০ ডলারে এটি শক্তিশালী সহায়তা পেতে পারে।
যুদ্ধবিরতি ও অর্থনৈতিক প্রভাব
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর বিশ্ব শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী এবং অপরিশোধিত তেলের দামও কমেছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা, এই যুদ্ধবিরতি হয়তো সংঘাতের অবসানের সূচনা হতে পারে। তবে পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে তিনি তেহরানে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।
মার্কিন সুদের হার ও স্বর্ণের ভবিষ্যৎ
অন্যদিকে, ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল আজ হাউস ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিটিতে বক্তব্য দেবেন। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। সাধারণত সুদের হার কমলে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ বাড়ে কারণ এটি সুদবিহীন সম্পদ।
বিনিয়োগকারীদের ধারণা, ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছর প্রায় ৫৭ বেসিস পয়েন্ট সুদ হার কমাতে পারে। ANZ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম ৩,৬০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে, তবে ২০২৬ সালের দিকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ফিরলে আবার দাম কমে যেতে পারে।
দেশীয় বাজারে প্রভাব
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমলে দেশের বাজারেও তা প্রতিফলিত হয়।
সর্বশেষ গত ১৪ জুন বাজুস প্রতি ভরিতে ২,১৯২ টাকা বাড়িয়েছিল। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ ১,৭৪,৫২৮ টাকা প্রতি ভরিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্য ক্যারেট অনুযায়ী দাম নিচের মতো:
- ২১ ক্যারেট: ১,৬৬,৫৯৭ টাকা
- ১৮ ক্যারেট: ১,৪২,৮০২ টাকা
- সনাতন পদ্ধতি: ১,১৮,১৬৮ টাকা
0 comments:
Post a Comment