সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার নীতিগত অনুমোদন
২২ মে ২০২৫ | ২২:২৮

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর প্রস্তাব জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটিতে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। প্রথম থেকে নবম গ্রেডের সরকারি কর্মীদের জন্য ১৫ শতাংশ এবং ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সুবিধা আগামী ১ জুলাই থেকে পাওয়া যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা এই ঘোষণা দিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পেছনের প্রেক্ষাপট ও বেতন কাঠামো
সরকারি কর্মচারীদের বেতন পুনর্গঠন পাঁচ বছর অন্তর হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে অষ্টম বেতন স্কেল কার্যকর হয়। এর পর আর নতুন স্কেল হয়নি। মূল্যস্ফীতির কারণে সরকারি কর্মচারীরা প্রতি বছর ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়ে আসছেন। তবে গত জাতীয় নির্বাচন আগে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়, যা এখনও কার্যকর রয়েছে।
মহার্ঘ ভাতা চালুর সঙ্গে সঙ্গে এই ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা বাতিল হবে।
অর্থনৈতিক প্রভাব ও বাজেট বরাদ্দ
অনুমোদিত মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নের ফলে সরকারের বার্ষিক ব্যয় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়বে। চলতি বাজেটে সরকারি বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২,৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০.৪১ শতাংশ। মহার্ঘ ভাতা যুক্ত হলে আগামী বাজেটে এই বরাদ্দ প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকা ছুঁতে পারে।
পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ
গত বছর ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়, যারা মহার্ঘ ভাতা বিষয়ক সমীক্ষা করে গ্রেডভিত্তিক বেতন থেকে ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করে। পরিকল্পনা ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এটি কার্যকর করার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এখন আবার নীতিগত অনুমোদন মিলেছে, ফলে শিগগিরই এটি কার্যকর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।